তারেক-বাবর-পিন্টু গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত নয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ বিএনপির কোনো নেতাকর্মী ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রাজনৈতিকভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শহীদ জিয়া স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেডে হামলার ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামীদের না ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম জড়িয়ে তাদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই মামলার রায় কালকে হতে পারে। এই রায় নিয়ে বহু ঘটনা ঘটেছে, কথা বলা হয়েছে। কেউ প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে যাচ্ছে না। আমি হলফ করে বলতে পারি, তারেক রহমান, আবদুস সালাম পিন্টু ও বাবরসহ বিএনপির কোনো নেতাকর্মীই এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যেকোনো হত্যাকাণ্ডের একটা মোটিভ (কারণ ও উদ্দেশ্য) থাকে, এই মামলায় বেনিফিসিয়ারি কে? বেনিফিসিয়িারি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এটাকে ইস্যু করে বিএনপিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সঠিকভাবে তদন্ত করা হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসতো। রাজনৈতিকভাবে তারেক রহমান, পিন্টু সাহেবকে জড়ানোর ফলে এটাই প্রমানিত হয় যে, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের মামলায় জড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা করেননি।
অতীতে কখনও বর্তমানের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আইন দিয়ে, শক্তি দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। দেশের মানুষের মধ্যে অজানা এক ভীতি কাজ করছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
সরকার প্রকৃত আসামীদের বের না করে পুরো বিষয়টাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে তারেক রহমান ও আবদুস সালাম পিন্টুকে এতে জড়ালেন। প্রতিটি মামলায় তারা প্রকৃত আসামীকে না ধরে বিএনপির ওপর চাপিয়েছে দায়। এটা একটা চক্রান্ত। যে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীর দর্শনকে নির্মূল করে দিয়ে, এর ধারক ও বাহক খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। এখনতো শুরু হয়েছে ফিজিক্যালি তাদের সরিয়ে দেওয়ার কাজ।
শহীদ জিয়া স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।