দেশের রাজনীতিতে ‘সংলাপের’ স্বস্তি



সাব্বির আহমেদ, সি‌নিয়র ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেঘলা আকাশ, দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সবকিছু মিলে কেমন যেন মন খারাপ করা আবহাওয়া। তার উপর পরিবহন ধর্মঘটের ভোগান্তি। তবে দিন শেষে দে‌শের রাজনী‌তি‌তে সারপ্রাইজ বা 'সুবাতাস' বয়ে যাওয়ার এক সংবাদ আসে- ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ’। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনীতির পাল্টা-পাল্টি খেলায় -খবরটি জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলো না। কারণ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ হয়েছে; এমন দৃশ্য মনে করতে হলে একটু কষ্টই করতে হবে মানুষকে।

একদল আরেকদলকে যখন নানাভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছে – ঠিক তখনই দেশের প্রধান দলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক বা সংলাপের খবরে দেশের রাজনীতিতে স্বস্তি আভাস দিচ্ছে। সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে কানাঘুষা। কেউ কেউ সরকারি দল আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। অপরদিকে কেমন সংলাপ হবে তা নিয়ে চলছে চুল-ছেড়া বিশ্লেষণও।

সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,  এটা রাজনীতির একটি ভালো দিক বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন সংস্কৃতি প্রায় উঠেই যেতে বসেছিল। দেশের স্বার্থে এ ধরনের সংলাপ প্রয়োজন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রধান বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি নিজেই সংলাপে প্রতিনিধিত্ব করবেন। আর তার সঙ্গে বসবেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীণ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

রোববার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি প্রদান করেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড.কামাল হোসেন। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে সংলাপের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার বিষয়টি জানান।  

ঐক্যফ্রন্টের ‌আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূর্বশর্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগের সংলা‌পে বসার এ খব‌রে দে‌শের সাধারণ মানুষ বেশ ইতিবাচকভা‌বে নি‌য়ে‌ছেন।

এ বিষয়ে লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে এমন বেশ অবাক হয়েছি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেও তো  বলছিলেন খুনিদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। এটা ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ।  জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো আওয়ামী লীগ কতটা মানবে -সেটা এখন প্রশ্ন। নির্বাচন ভালো হওয়ার জন্য সংলাপ করতে হবে এবং নির্বাচনে পরে জনগণের অধিকার নিয়ে তারা কি করবেন এগুলোর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আসার দরকার।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে সরকারকে ধন্যবাদ জানান জাতীয ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, এর মাধ্যমে জনগণের মনোভাবের প্রাথমিক বিজয় বলে উল্লেখ করেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকও হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন,  আমার কাছে মনে হয় এটা খুব ভালো হলো। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান তিনি।  

সদ্য বিকল্পধারায় যোগ দেওয়া ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মুবীন চৌধুরী বলেন, সংলাপ হওয়াটা অত্যন্ত ভালো দিক। দ্বিমত থাকা স্বত্বেও সংলাপের পথটা বর্জন করা ঠিক হবে না। সাধারণ নাগরিক হিসেবেও আমি এ খবরে আনন্দিত। এই জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব ইতিবাচক। ফলাফল কি হবে তা সংলাপের পরে বলা যাবে। মানুষ একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে যে সংলাপ হবে। আর রাজনীতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করি।

এদিকে সামাজিক যোগমাধ্যমে সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নান শ্রেণি পেশার মানুষ।

অর্থকথার সম্পাদক সৈয়দ রানা মোস্তাফী ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন,  জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার খবরটিতে রাজনীতি নাটকীয় মোড় নিতে পারে।

এজাজ আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ফেসবুকে রাজনীতির সর্বশেষ হালচাল দেখে বুঝা যায় যে, আগামী নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হবে। এখন সংলাপটা যেন অর্থবহ হয় ।

পিয়াস হাসান নামে অপর একজন লিখেছেন, সংলাপটা খোলাখুলি হওয়া চাই, ভেতরে ভেতরে হলে জাতীয় সমস্যার সমাধান হবে না, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করবে ।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানালেও সে সময় দলটি সম্মত হয়নি। এরপর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পর বিএনপি বহুবার সংলাপের আহ্বান জানালেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বহু প্রতীক্ষার পর সম্প্রতি গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানে আওয়ামী লীগ সাড়া দিলে হতে যাচ্ছে কাঙ্খিত এ সংলাপ। আপাতত সংলাপের খবরে স্বস্তি দিলেও নির্বাচনের আগে দেশের রাজনীতিতে  এ বৈঠক কতটা সুফল বয়ে আনবে তা সময়েই বলে দিবে- বলে মনে করেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরা।

   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;