‘সংলাপ’ ব্যর্থ হলে লংমার্চ-হরতাল-অবরোধ



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি

বিএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন নির্বাচনে অংশহণ অথবা দাবি আদায়ে আন্দোলন উভয় পথেই চলতে চায় বিএনপি। চলমান সংলাপ সফল হলে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সফল না হলে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে তৃণমূলকে নির্দেশ দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। তৃণমূলও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন বা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

দলের তৃণমূল ও মহানগরের একাধিক নেতার সাথে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। তাদের মতে, দাবি আদায় না হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে পারে।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত সরকারকে চাপে রাখতে তিনটি কৌশল অবলম্বন করে আন্দোলনের ছক তৈরি করা হয়েছে। আন্দোলনের প্রথম ধাপে মানববন্ধন, গণঅনশন, গণসংযোগ কর্মসূচি থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে লংমার্চ-রোডমার্চ এবং তৃতীয় ধাপে হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে। তবে সরকারের সাথে আলোচনার পথও খোলা রাখতে চায় দলটি।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির আগে ঢাকায় বড় ধরনের জনসভা করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের জনশক্তি না থাকায় জনসভার সব আয়োজন ও কর্মী সংস্থান বিএনপিকেই যোগান দিতে হবে।  আগামী ৬ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই জনসভা করবে ঐক্যফ্রন্ট, যেখান থেকে সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হবে। তারপরও যদি সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়া যায় তাহলে দুই ধাপে কর্মসূচি দেবে জোট। সবশেষে চূড়ান্ত আন্দোলন যাবে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বার্তা২৪.কম’কে  বলেন, ‘সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ নেই। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যা কিছু অর্জন তা ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। তাই সংগ্রাম থেমে থাকবে না, সংগ্রাম চলছে, চলবে। জনগণের দাবি আদায়ের প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে যারাই মাঠে নামবে আমরা তাদের স্বাগত জানাতে পারি। সে যে দলেরই (জামায়াত) হোক। কেউ যদি অতীতে ভুল করে এখন জনগণের পক্ষে থাকে তাকে আমি স্বাগত জানাবো, এটাই রাজনীতির নিয়ম।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এই বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনের ছক আঁকছেন। তবে বিএনপি মনে করে, সরকার সহজে তার অবস্থান থেকে সরে আসবে না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে দলটির।

বিএনপি নেতাদের দাবি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠায় নিজেদের সক্ষমতা বেড়েছে। দলটি মূলত নির্বাচন ও আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু সরকার সংলাপে রাজি হওয়ায় সুযোগটিকে হাতছাড়া করতে চায়না দলটি। তাই আগে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে, পরে আন্দোলন।

বিএনপির সাংগঠনিক পদের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনকে হাতে রেখে একদিকে গতানুগতিক সভা, সমাবেশ করা হবে, অপরদিকে ধারাবাহিকভাবে দেশ অচল করে দেয়ার মতো কর্মসূচিও দেয়া হবে। তবে এখনি এদিকে না গিয়ে সরকার সংলাপ সমঝোতায় কতটা সম্মতি দেয় তা বিবেচনা করা হবে।

সম্প্রতি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কর্যালয় ও নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে সরকারের সঙ্গে সংলাপ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকা ও নিজেদের সক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দলের নেতারা মনে করেন এখনও বিএনপির জনপ্রিয়তা আছে, মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত লোকবল আছে। তবে তৃণমূল চাচ্ছে কেন্দ্রের নির্দেশনা। সরকারকে কেন ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের সুযোগ দেয়া হবে? আন্দোলনের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার পরামর্শ দেন মধ্যম সারির নেতারা। সেখানে যুগপৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;