রাজনৈতিক পরিবেশ কী আবারও উত্তপ্ত হচ্ছে?



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পল্টনে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়, ছবি: সংগৃহীত

পল্টনে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপ হয় বিরোধী দলগুলোর। সংলাপে প্রত্যাশিত সফলতা না আসলেও বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিয়েছে।

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে আসার ঘোষণার পর; কয়েকদিনের জন্য হলেও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনায় আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি নিজেদের ফরম বিক্রি ও জমা দেওয়া শেষ করে।

একইভাবে বিএনপিও প্রথম ২ দিন উৎসাহ ও উদ্দীপনায় নিজ কার্যালয়ে ফরম বিক্রি করে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তৃতীয় দিনে এসে। বুধবার (১৪ নভেম্বর) মনোনয়ন ফরম কিনতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অঙ্গনের সু-বাতাস আবারও পুরোনো ডায়াগ্রামে ফিরে গেছে।

বিশ্লেষকদের অভিমত হলো, পল্টনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী রাজনৈতিক পরিবেশ আবারও সংঘাতের দিকে যেতে পারে। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভূমিকা বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গাড়ি পোড়ানো ও ঘটনার পর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টাপাল্টি অবস্থান নির্বাচনী পরিবেশকে আরও ঘোলাটে করে তুলতে পারে।

ইসির ব্যর্থতার কারণে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলেও অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন। তাদের অভিমত হলো, ইসি যদি সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আগে থেকেই চিঠি দিত যে- মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় মিছিল-শোভাযাত্রা করা যাবে না, তাহলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। ইসি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলেই এ উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/16/1542361881259.jpg

ইতোমধ্যে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পল্টনের সংঘর্ষের ঘটনার অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সবার কাছে সাহায্য চেয়েছে ডিএমপি। আর এর পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৃষ্টি আরেক উত্তপ্ত পরিবেশ। হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নানা তথ্য ছড়িয়ে পরে ভার্চুয়াল জগতে।

বিএনপির নানা পর্যায় থেকে পল্টনের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের দিকে অভিযোগ তুলছে। এদিকে বিএনপির এমন অভিযোগে চটেছে ছাত্রলীগ। মিথ্যাচার করায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রলীগ। অন্যদিকে সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাসের দিকে ফিরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। এক কথায় রাজনীতিতে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ঘটনা।

এসব বিষয় নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, নয়া পল্টনের ঘটনার পর থেকে নির্বাচনী পরিবেশ কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তবে এ অবস্থার সমাধানের ক্ষমতা ইসির রয়েছে। ইসির উচিৎ সব দলের জন্য সমান সুযোগ নির্বাচনে নিশ্চিত করতে। না হলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।

বিএনপির নেতারা শুরু থেকেই পল্টনের ঘটনার জন্য সরকারি দল ও ইসিকে দায়ী করছে। তাদের বক্তব্য হলো, ইসি সরকারের কথা মতো আচরণ করছে এবং বিএনপিকে বিভিন্নভাবে কোণঠাসা করা চেষ্টা করছে। এছাড়া মনোনয়ন নেওয়ার সময় বিএনপির জনসমর্থন দেখে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির নেতারা।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুলিশ ও সরকার ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইসি সরকারের কথা মতো বিএনপির জনসমর্থনকে ঠেকাতে কদিন আগে পুলিশকে আচরণ বিধির চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়নের সময় এটা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, সরকার ও পুলিশ নিজেদের লোক দিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে এর দায়ভার এখন বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে।

অন্যদিকে নয়া পল্টনের ঘটনাকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে এবং (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার নির্বাচিত সরকারকে হটানোর জন্য বিএনপি নয়াপল্টনের কার্যালয়ে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে এবং নাশকতা চালিয়েছে।

পুলিশও পল্টনের সংঘর্ষকে পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জাম মিয়া বলেছেন, ‘নয়াপল্টনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সবাই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। সেখানে পুলিশকে হামলা করার পাশাপাশি বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর একটা পূর্বপরিকল্পনা ছিল।’

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;