নির্বাচন ভাগাভাগির নয়, জয়ের লড়াই: সুব্রত চৌধুরী



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
সুব্রত চৌধুরী

সুব্রত চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ধানের শীষ’ প্রতীকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১৬০ জন প্রার্থীকে প্রস্তুত করেছে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম। তবে বৃহত্তর ঐক্যের প্রশ্নে সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত দলটি। লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ন্যায় ভিত্তিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ। তাই নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা হবে না কারণ জয়ের লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়াটাই মুখ্য- বলেন সুব্রত চৌধুরী। 

বুধবার (২১ নভেম্বর) বার্তা২৪.কমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সমসাময়িক রাজনৈতিক ভাবনা তুলে ধরেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা সুব্রত চৌধুরী।

নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা ফেরানোর বিষয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, এটা একটা চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশন ভোটে আস্থা ফেরাতে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। উল্টো নানারকমের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যেমন সাংবাদিকদের বলা হয়েছে পোলিং স্টেশনে ঢুকবা কিন্তু লাইভ করতে পারবা না এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বলা হযেছে পুতুলের মতো দাড়িয়ে থাকতে হবে। তার মানে কি, যেনতেনভাবে বর্তমান দলকে আবার ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা আছে। সরকার যদি এগুলো করে নিজেরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না। তারা সেই জায়গায় যেনো রাষ্ট্রটাকে না নিয়ে যায়।

ভোটে জনগণ আন্দোলন করে ভোটকেন্দ্রে আসবে, প্রতিরোধ করবে এমনটি কেন মনে করছেন?- এ বিষয়ে বলেন, জনগণ অপেক্ষায় আছে, তাদের অপকর্মের দরুণ এই সরকারকে তারা একদিনের জন্যও সহ্য করতে পারছে না। সেজন্য আমরা বলছি, সামনে আমাদের একটা সুযোগ আসছে। এটা শুধু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুযোগ না, ১৬ কোটি মানুষের সুযোগ। এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লক্ষ্য শহীদের যে স্বপ্ন আওয়ামী লীগ ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে সে জায়গা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই।

তিনি বলেন, এখন মানুষের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া যদি নিশ্চিত করতে পারি, এবং একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যেটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘তিনি কারচুপির নির্বাচন করবেন না।’ এটাকে যদি আমরা ধরে নিই তাহলে আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোটের হিসেব তারা নেবে। জনগণের মধ্যে যদি একটা জোয়ার সৃষ্টি হয়, কোন প্রতিবন্ধকতা, কোন নীল নকশা, কোন রাজ চালাকি কাজে লাগবে না। অতীতে যেমন মানুষ উচিত শিক্ষা দিয়েছে যারা এগুলো করেছে। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, সরকার যদি সে পথে যায়, জনগণ উচিত শিক্ষা দিয়ে দেবে। ইতিহাস থেকে তাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।”

ভোটের মাঠে যেতে দৃশ্যমান কোন বাধা আছে কি-না এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে গিযেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে সংলাপের শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বার সংলাপেও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, দলীয় সরকারের অধিনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিতে চান দলীয় সরকারের অধীনেও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। ‘তিনি আরও বলেছেন কোন কারচুপির নির্বাচন করে আমি (অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) ও আমার দল বিজয়ী হতে চাইনা।’ সেই কারণে ওনার কথার উপর আমরা আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। আমরা আশা করেছিলাম যে, তিনি উনার কথা রাখবেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ এবং বেদনার সঙ্গে বলছি, একটি হচ্ছে সরকারি দলের কর্মকাণ্ড এবং সরকারের কর্মকাণ্ড যেটা নির্বাচন কালীন সরকার হওয়ার কথা ছিল, উনিই বলেছিলেন একটা ছোট সরকার হবে, নিয়ম রক্ষার কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম উনি পুরো বহর রেখে দিয়েছেন এবং অনির্বাচিত উপদেষ্টাদেরও রেখে দিয়েছেন। আবার এমন কিছু কাজ করছেন, জাতীয় পতাকা গাড়িতে রেখে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করছেন যেটা সমস্ত আইন কানুন বিধিবিধান উপেক্ষ করে। নির্বাচন কমিশন তাদের ক্ষমতা থাকা সত্বেও কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।

নির্বাচনে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ভুমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে নানা নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে, ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদেরকে গণভবনে নিযে গিয়ে দলীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সরকারি দলের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যারা প্রিসাইডিং অফিসারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেখানে পুলিশ তাদের পেছনে লেগে গেছে। তাদের বাড়িতে যাচ্ছে এবং নানারকম রাজনৈতিক পরিচয় খুজে বের করার চেষ্ট করছে। এটা একটা ভয় ভীতি আতঙ্কের মধ্যে সবাইকে ফেলে দিয়েছে। তবে কোন কলাকৌশল, নীল নকশা কাজে আসবে না। জনগণ সমুচিত জবাব দেবে।

গণফোরামের নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের গণফোরামের একক প্রার্থী হিসেবে ১৬০ জনকে চূড়ান্ত করা হতে পারে। যেখান থেকেই দেয়া হোক না কেন আমরা প্রস্তুত আছি। তবে বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত আছে গণফোরাম। সেক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে অন্য দলগুলোর একই মানসিকতা থাকতে হবে। এখানে  আসন ভাগাভাগি মুখ্য নয়, জয়ের লড়াই এটা। আমরা আসন নিয়ে কোন ধরনের ঝুঁকি নিবো না। 

ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি হচ্ছে, আরও সপ্তাহ খানিক সময় লাগবে। গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একসঙ্গে ইশতেহার ঘোষণা করবে।

   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;