খালেদা জিয়াই ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদা জিয়া-ছবি: সংগৃহীত।

খালেদা জিয়া-ছবি: সংগৃহীত।

  • Font increase
  • Font Decrease

কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী! সরকার বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে মূল নেতৃত্ব কার হাতে থাকবে? কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? অস্পষ্ট এ প্রশ্নের উত্তরটি জানার আগ্রহ আন্তর্জাতিক মহল, ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক, দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল, এমনকি সাধারণ জনগণেরও।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট না করলেও সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াই হবে প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে ড. কামাল ও তারেক রহমানকে নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও তারা ভোটে না থাকায়  এখন আর গুঞ্জনেরেও অবকাশ নেই। ফলে ঐক্যফ্রন্ট জিতলে খালেদা জিয়াই হবেন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

তবে খালেদা জিয়া একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি আছেন। একটি মামলায় ১৫ বছর আরেক মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব মামলায় সাজা কাটিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ যেখানে অনিশ্চিত সেখানে মুক্ত খালেদাকে নির্বাচনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানানোর চিন্তা আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। যদিও ইতোমধ্যে ফেনী ১, বগুড়া ৬ এবং ৭ আসনে দলের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল, কারামুক্তি লাভ, নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে অনিশ্চিত বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়াটা উচ্চ আদালতের ব্যাপার। আপিল ডিভিশন যদি উনাকে জামিন দেয় তাহলে উনি জামিন পাবেন। এবং যদি বলে উনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন তাহলে তো নির্বাচন করতে পারবেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে তার দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ খোলা থাকবে। কিন্তু এটা এখনও অনেক অনিশ্চিত। তিনি জামিন পাবেন কিনা সেটা অনিশ্চিত, দণ্ড স্থগিত হবে কিনা সেটা অনিশ্চিত, উনার দল জিতবে কিনা কিংবা জিততে দেয়া হবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত। এতগুলো অনিশ্চিয়তা যদি দুর করা যায় তাহলে উনার প্রধানমন্ত্রী হবার চান্স থাকবে। তবে সে সম্ভাবনা কম। এতো গুলো অনিশ্চিয়তা দুর হবে সে সম্ভাবনা কম বলেই মনে হয়।    

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান হোটেল লেকশোরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কূটনীতিকদের বৈঠকে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয় সরকার বিরোধী এই জোট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এর কিছুদিন পরেই একই হোটেলে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোর অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রশ্নটির পুনরাবৃত্তি হয়। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?

এছাড়াও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলে জানতে চেয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী কে থাকবেন? বিভিন্ন মহলের এই প্রশ্ন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এমনকি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। এর পরপরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে আলোচনা শুরু হয় আলোচিত এই প্রশ্নটি নিয়ে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের প্রথম পর্যায়ে তাদের ঐক্যমত ছিল খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে ড. কামালই হবেন নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিএনপির নীতিনির্ধারক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতাদের মাঝে মতানৈক্য তৈরি হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামটি প্রস্তাবনায় আসে। কিন্তু তারা দুজন ভোটে না থাকায় এখন সে আলোচনারও অবকাশ নেই।

এরপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্তে আসে, যে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের প্রেক্ষাপট এবং পরিস্থিতি ঐক্যফ্রন্টের অনুকুলে থাকলে এবং বিজয়ের পাল্লা ভারি থাকলে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াই ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসে।

এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা। এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, সব বিষয় বলা ঠিক হবে না। যেহেতু ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আছি তাই অপেক্ষা করুন কিছুদিনের মধ্যে সবকিছু স্পষ্ট হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি যেহেতু আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে তাই শেষ পর্য‌ন্ত দেখতে চাই কি ঘটে। খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে যে অনেকের স্বপ্ন বুমেরাং হবে এটা নিশ্চিত।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, অবশ্যই পারবেন, কেন পারবেন না। তিনি নির্বাচন করতে পারবেন বলেই তো মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে। অপেক্ষা করেন না কি হয়। আইনী প্রক্রিয়া আমরা গ্রহণ করেছি, অপেক্ষা করেন। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা এখনও আশাবাদি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে মুক্ত হবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, নির্বাচনটা যেহেতু আন্দোলন তাই সেই আন্দোলনের মাধ্যম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং তিনিই হবেন প্রধানমন্ত্রী।যদিও খালেদা  জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সরকারের উপর নির্ভর করছে।

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;