খন্দকার মোশাররফ’র সঙ্গে আইএসআই কর্মকর্তার ফোনালাপ ফাঁস



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এক কর্মকর্তার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ফোনালাপের অডিও রেকর্ডটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে।

থাইল্যান্ড ভিত্তিক একটি নিউজ পোর্টাল সর্বপ্রথম এই ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডটি প্রকাশ করে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) কর্মকর্তা মাহমুদের সঙ্গে খন্দকার মোশাররফের যে কথা হয়েছে সেটি দাবি করে তারা।

সাত মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা এই ফোনলাপ যে তাদের দুই জনেরই সেটা বার্তা২৪ থেকে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে থাকা এই ফোনালাপে কথাগুলো ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করে হুবহু দেওয়া হল।

মোশাররফ: আসসালামু আলাইকুম, ভাইজান।

মাহমুদ: আসসালামু আলাইকুম, ভাইজান। কেমন আছেন?

মোশাররফ: ভালো আছি। ধন্যবাদ।

মাহমুদ: অনেকদিন পর আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে।

মোশাররফ: জী, জী। আমার কথা মনে আছে! ঐ যে শেষবার ইসলামাবাদের একটা হোটেলে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছিলো। 

মাহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। এখন মনে পড়ছে।

মোশাররফ: হোটেলে আপনি একজন অতিথির সঙ্গে এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে।

মাহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। মনে পড়েছে।

মোশাররফ: কেমন আছেন আপনি? কোথায় আছেন?

মাহমুদ: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি এখন দুবাই আছি। যদি সম্ভব হয় এবং সময় পেলে আমার সঙ্গে দেখা করেন। আপনার সঙ্গে দেখা করা জরুরি।

মোশাররফ: অবশ্যই। আমি কিছু বলতে চাই। আমরা এখন বাংলাদেশে বেশ সমস্যার মধ্যে আছি। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। একটি মামলায় আমার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আমি দেশের বাইরে যেতে পারছি না। এই হলো আমার অবস্থা।

মাহমুদ: আমার যতদূর মনে পড়ে আপনি আমাদের একজন এজেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

মোশাররফ: হ্যাঁ, আমি আপনাদের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।

মাহমুদ: ঠিক আছে। তবে আমাদের সঙ্গে আপনার দেখা হওয়াটা জরুরি।

মোশাররফ: দেখা হলে তো ভালই হতো। তবে আমরা এখন ভীষণ সমস্যার মধ্যে আছি। এই বিপদ থেকে আপনারাই আমাদের উদ্ধার করতে পারেন। আপনারা সবই জানেন।

মাহমুদ: জ্বী, জ্বী।

মোশাররফ: আমার মনে হয় আপনি সবই জানেন।

মাহমুদ: আপনি বাংলাদেশে আমাদের একমাত্র প্রকৃত বন্ধু। আমরা আপনার সঙ্গে আমাদের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম।

মোশাররফ: আমি আপনাদের বন্ধু হিসেবেই থাকতে চাই। যদিও আপনাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করাটা আমার পক্ষে এখন সম্ভব নয়। সেটি করতে পারলে উপকৃত হতাম। তবে আমি বাংলাদেশে আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করবো। আপনি সেটার খবর অবশ্যই পাবেন। আমি বলতে চাই, আপনারা যদি চীনকে ম্যানেজ করতে পারেন তবে এই নির্বাচনে আমরা ভালো ফল পেতে পারি।

মাহমুদ: অবশ্যই। আমরা চীনের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ অলরেডি শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হলে আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক সেটি তো আর সম্ভব হচ্ছে না।

মোশাররফ: আপনারা চাইলে এখানে আমি আপনাদের যেকোনো লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলতে পারি। তবে আমার পক্ষে বিদেশে গিয়ে সাক্ষাৎ করাটা সম্ভব নয়। 

মাহমুদ: বুঝতে পেরেছি। তবে আপনি চিকিৎসা বা ওমরাহ করার বাহানায় বিদেশে আসতে পারলে আপনার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক, আমাদের এজেন্ট আপনার সঙ্গে শীঘ্রই দেখা করে কথা বলবে।

মোশাররফ: হুমম। আপনাদের কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্ট যদি আমার সঙ্গে দেখা করে, তবে সেটি উত্তম হয়। সেক্ষেত্রে আমি আপনাদের এজেন্ট বা আপনাদের সঙ্গে পরবর্তীতে আলোচনা করবো।

মাহমুদ: অবশ্যই। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার। আপনি যা বললেন তা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো। আশা করি, বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। একই সঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের এজেন্ট মারফত আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো। আপনাদের জন্য কাজ করার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত।

মোশাররফ: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।

মাহমুদ: আপনাকেও ধন্যবাদ। এখন আমাদের উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। তবেই আমাদের মিশন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

মোশাররফ: আমরা যেটা অনুধাবন করতে পেরেছি যে, একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। কারণ আমরা ভীষণ বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের সাহায্য দরকার।

মাহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেভাবেই হোক বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে হবে। যেহেতু আপনি বলছেন সরাসরি সাক্ষাৎ সম্ভব নয়, তাই আমরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছি। যদি কোনোদিন সম্ভব হয় আপনার সঙ্গে দেখা হবে। 

মোশাররফ: অবশ্যই। আমি চেষ্টা করছি পাসপোর্ট ফিরে পেতে। পাসপোর্ট হাতে পেলেই আপনাদের সঙ্গে দেখা করবো।

মাহমুদ: জ্বী।

মোশাররফ: এবং আমি এখানে (ঢাকায়) আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবো।

মাহমুদ: অবশ্যই। ঢাকায় আমাদের এজেন্টের সঙ্গে আপনার সাক্ষাতের বিষয়টি আমরা দেখছি। এরপরও আপনার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে ইনশাআল্লাহ।

মোশাররফ: আমিও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করবো। সেক্ষেত্রে আপনি আমাকে আপনাদের পুরনো বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারেন।

মাহমুদ: অবশ্যই। এজন্যই কিন্তু আপনার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।

মোশাররফ: আপনার সহযোগিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জানি আপনারা আমাদের ভুলে যাবেন না। যার কারণেই কিন্তু আপনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।

মাহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই।

মোশাররফ: আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবো। বন্ধুত্বের খাতিরে হলেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।

মাহমুদ: ইনশাআল্লাহ। আপনি এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।

   

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;