মেহেরপুর-২, আ'লীগের বিরোধ নিরসনে ঐক্যের ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৈঠক শেষে ঐক্যের ঘোষণা দিচ্ছেন মকবুল হোসেন, ছবি: বার্তা২৪

বৈঠক শেষে ঐক্যের ঘোষণা দিচ্ছেন মকবুল হোসেন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে মেহেরপুর-২ আসেনে (গাংনী) আওয়ামী লীগের দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা কোন্দলের নিরসন হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে উভয় গ্রুপের নেতৃবৃন্দের তিন ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে নতুন শক্তিতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে।

জানা গেছে, মেহেরপুর-২ আসনটি গাংনী উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল হক নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। এরপর অদ্যাবধি কোনো জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেনি। ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মকবুল হোসেন বিজয়ী হন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে মকবুল হোসেন দলীয় মনোনয়ন পান। কিন্তু বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেনের কাছে প্রায় আড়াই হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এছাড়াও দলীয় প্রতীকে তিনি ২০০১ সালে পরাজিত হন। দুই বার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি দুই বার জয়লাভ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/15/1544850242908.gif

এসব বিষয় নিয়েও মকবুল হোসেন ও এমএ খালেক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলে আসছিল। এ আসনটিতে অবশ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির পর দলটির সাবেক সাংসদ আমজাদ হোসেন এবার মনোনয়ন পাননি। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ঢাকার শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ পেয়েছেন দলীয় টিকিট। অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও নতুন। তাই দুই নতুনকে ঘিরে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা এখন নির্বাচনে মনোযোগ দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক গ্রুপের মধ্যে চরম বিভক্তি ছিল। এই বিরোধে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকরা স্বস্তিতে ছিলেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার পর থেকেই ঐক্যের বিষয়ে চেষ্টা করছিলেন বিভিন্ন মহল।

সাহিদুজ্জামান খোকন ছিলেন এমএ খালেক গ্রুপ। তবে তার সাথে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের সখ্যতা ছিল। ঐক্যের অংশ হিসেবে গত ৮ ডিসেম্বর সাংসদ মকবুল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এতে গ্রুপিং নিরসনের এক দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মতবিনিময়, ব্যক্তি পর্যায়ের আলোচনা শেষে শুক্রবার রাত আটটায় এমএ খালেকের গাংনীস্থ বাস ভবনে বৈঠক শুরু হয়।

এতে উভয় গ্রুপের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার আলোচনার পর নৌকা প্রতীক বিজয়ী করার অঙ্গিকার নিয়ে ঐক্যের সিদ্ধান্তে পৌঁছান নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে রাত সাড়ে এগারটার দিকে এমএ খালেকের বাস ভবনের নীচতলায় সাংবাদিকদের কাছে ঐক্যের কথা তুলে ধরে সাংসদ মকবুল হোসেন, জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি একেএম শফিকুল আলম ও সাবেক পৌর মেয়র আহমেদ আলীসহ নেতৃবৃন্দ। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের শক্তিশালী রূপ দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বাইরে অপেক্ষমাণ কয়েকশ দলীয় নেতাকর্মী।

এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, 'আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে আবার জয়লাভ করতে পারেন, আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এ ব্যাপারে আমারা সবাই একমত হয়েছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করছি।'

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক বলেন, 'আগামী ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হবে তাতে আমরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকার পক্ষে সকল নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করলাম। সেই কমিটি এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করলাম। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন দ্রুত সম্পন্ন হবে। ইনশাল্লাহ ৩০ তারিখে যেকোনো মূল্যে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনবো। শেখ হাসিনাকে এই আসনের নৌকার সিট উপহার দেব।'

 

   

ভোট প্রদান উৎসাহে প্রচারপত্র বিতরণ উদ্বোধন করল আ.লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করতে প্রচারণামূলক প্রচারপত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি।

প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হাতে এ প্রচারপত্র তুলে দেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে সব শক্তির উৎস জনগণ। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ তাদের সে অধিকার প্রয়োগ করবে। আমরা সে অধিকার প্রয়োগে জনগণকে উৎসাহিত করতে দেশব্যাপী প্রচারপত্র বিতরণ করব।

বিতরণ করা প্রচারপত্রে বলা হয়, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনও অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির ভাত ও ভোটের অধিকার, ভাষার অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নত নাগরিক-জীবন প্রতিষ্ঠার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণের এই সাফল্য-সংগ্রামের বিপরীতে দেশবিরোধী একটি অপশক্তি লাগাতারভাবে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত এই অপশক্তি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এবং জনগণের ভোটাধিকারকে নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন ও নির্বাচনবিরোধী এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে প্রচারপত্রে বলা হয়, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত এবং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জিত হওয়ায় আপনাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করুন।

এতে আরও বলা হয়, আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করুন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিন। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করুন। ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করুন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ প্রতিহত করুন। শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়ে আপনার স্বাধীনতা- আপনার নাগরিক অধিকার- আপনার ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করুন। উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করুন।

;

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে দেশের বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রচার পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি উন্নয়ন নির্বাচন বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে সে জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সকল শক্তির উৎস। দেশ বিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণ কে সামরিক স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে দীর্ঘকাল পৃষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছে।  

;

রওশন ঘোষিত কমিটিতে নাম দেখে বিস্মিত শেখ আলমগীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টির কমিটির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবী করেছেন শেখ আলমগীর হোসেন। রওশন ঘোষিত কমিটিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তার নাম দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ায় তার নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রওশন এরশাদ গত ৯ মার্চ আইবি চত্ত্বরে এক তরফাভাবে জাতীয় পার্টির আয়োজন করেন। এরপর ২০ এপ্রিল আংশিক কমিটি ঘোষণা দেন। সেখানে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন-কে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়।

কমিটি ঘোষণার সংবাদে শেখ আলমগীর হোসেন বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন বলে জাতীয় পার্টির যগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন যে, প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত মূল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বর্তমান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি’র নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে জাতীয় পার্টির পতাকাতলেই আছেন এবং তিনি এও বলেছেন ঐ ভূয়া পার্টির (রওশন-মামুন) সাথে তাঁর সম্পর্ক নাই।

শেখ আলমগীর হোসেন তাঁর নাম জড়িয়ে উক্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রেরণ করে প্রকাশ ও প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

;

মহসিন কলেজকে গ্রিন ক্যাম্পাস বানাতে চায় ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত হলেও সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজে গাছপালার সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। এমন পরিস্থপতিতে কলেজ ক্যাম্পাসকে পুনরায় গ্রিন ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে চায় ছাত্রলীগ।

এর অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও শুরু করেছে সংগঠনটি। প্রথমদিন কলেজের বিভিন্ন জায়গায় শতাধিক বৃক্ষরোপণ করেন তারা।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

আনোয়ার পলাশ বৃক্ষরোপণের বিষয়র বলেন, ‘বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে আমাদের ভবিষ্যতকে জলবায়ুর বিরূপ আচরণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের মতো তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসকে গ্রিন ক্যাম্পাসে নবরূপায়ন করবে। আর এজন্যই আমাদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।’

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহারিয়ার সুমন, রাবেয়া বসরি লিজা, হাবিবুর রহমান সুজন, মোহাম্মদ শাহারিয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ইমন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, এইচ এম জাহিদ, জনি দাশ, আবির উদ্দিন, মোহাম্মদ কায়সার, সাগর সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, জাহিদ হাসান কাউসার, সাবিদ হাসান, আবরারুল হাসান, শেখ আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ মুনতাসিম, নকিব বিন নোমান, ইমতিয়াজ, আসিফুল ইসলাম শিহাব, আক্তার আহমেদ রাব্বী, শাহারিয়ার, এস আই সাইদুল, মোহাম্মদ শোয়াইব, আব্দুল আহাদ, মোহাম্মদ লিমন, ইব্রাহিম হোসেন সাজ্জাদ প্রমুখ।

;