এরশাদের জাপা কি বিলীনের পথে!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরেই কি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে? খোদ রংপুর অঞ্চলে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের ভরাডুবিতে এমন প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে।

জাপার দুর্গখ্যাত বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। তাও আবার সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের উপর ভর করে। অর্থাৎ মহাজোটের শরীক হয়ে। যেখানেই উন্মুক্তভাবে নির্বাচন করেছে জাতীয় পার্টি, সেখানেই ভরাডুবি হয়েছে দলটির প্রার্থীদের।

বৃহত্তর রংপুরের ২২ আসনের মধ্যে ১১টি আসনে মহাজোট গঠিত হয়। আর ১১টি আসন থাকে উন্মুক্ত। এসব আসনে আওয়ামী লীগ ও জাপার প্রার্থীরা স্ব স্ব দলের প্রতীক নৌকা ও লাঙল ‍নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।

অন্যদিকে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয় সাতটি, আওয়ামী লীগ নেয় চারটি আসন। শুধুমাত্র মহাজোট থেকে পাওয়া সাতটি আসনে বিজয়ী হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। জাপার দুর্গ দাবি করা হলেও উন্মুক্ত কোনো আসনে জাপা বিজয়ী হতে না পারায় প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় পার্টি তথা এরশাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে।

অন্যদিকে বৃহত্তর রংপুরের পার্শ্ববর্তী বৃহত্তর দিনাজপুরে ৩ জেলাতেও জাপার জনপ্রিয়তায় ধ্বস দেখা গেছে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুরের ১১টি আসনেও জাপার প্রার্থীরা শোচনীয় পরাজয়ের শিকার হয়েছে। এই তিন জেলার তিনটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটকে। আর আট আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে জাপা।

কিন্তু মহাজোটের সমর্থন না পাওয়ায় দিনাজপুর-৬ আসনে মনোনয়ন পেলেও ভরাডুবির শঙ্কায় মনোনয়ন দাখিল থেকে বিরত থাকেন জেলা জাপার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করেন জাপার ৭ জন প্রার্থী।

কেন্দ্রের কোনো সহায়তা না পেয়ে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান আরও দুই জন, দিনাজপুর-২ আসনের প্রার্থী জুলফিকার হোসেন ও দিনাজপুর-৪ আসনের প্রার্থী মোনাজাত চৌধুরী। আর যারা মাঠে ছিলেন কেউই জামানত ফেরত পাননি।

যদিও পরাজিত প্রার্থীরা অনেকে নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন। দিনাজপুর-৫ আসনের প্রার্থী সোলায়মান সানি বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমার এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিলো না। আমার দলের কিছু লোক নৌকার পক্ষে কাজ করেছে। আর ভোট কারচুপি দেখে দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। যে কারণে আমি ১২ হাজারের মতো ভোট পেয়েছি। না হলে ৫০ হাজারের মতো ভোট পেতাম।

সমীকরণ বলছে যেখানেই আওয়ামী লীগ তাদের পাশে ছিলো সেখানে লাঙল জিততে পেরেছে, আর যেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়নি। সেখানে ভূপাতিত হয়েছে এরশাদের উড়ন্ত লাঙল। অবশ্য এই ধারা ২০০৮ সাল থেকেই শুরু হয়েছে।

২০০৮ সালে প্রথম মহাজোট গঠিত হয়। ওই নির্বাচনে যেখানেই উন্মুক্ত ছিলো সেখানেই এরশাদের প্রার্থীরা ধরাশায়ী হন। এরশাদের ঘরের সঙ্গে আসন রংপুর-৪ (পীরগাছা, কাউনিয়া) ও রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে জাপার দুই শিল্পপতী নৌকার কাছে ধরা খেয়ে যান।

গাইবান্ধা-৫ ও ময়মনসিংহ-৪ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী রওশন এরশাদ পরাজয় বরণ করেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর কাছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও জাপার প্রার্থীদের জেতার রেকর্ড তাতেও হতাশায় ঠাসা। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতের চেয়েও তাদের ভরাডুবি বেশি হয়। মাত্র ১ জন ‍উপজেলা চেয়ারম্যান বিজয়ী হন। পৌরসভাতেও হা হুতাশ।

অবশ্য সারা দেশেই উন্মুক্ত আসনে জাপার প্রার্থীদের ধপাস পতন হয়েছে। ১৪৬ উন্মুক্ত আসনে প্রার্থী দেয় জাপা। তারমধ্যে শুধু বরিশাল-৩ আসন থেকে গোলাম কিবরিয়া টিপু বিজয়ী হতে পেরেছেন। অন্যদের ফলাফল ভয়ঙ্কর খারাপ হয়েছে। এ কারণে প্রশ্ন উঠছে জাপা কি বিলীনের পথে!

জাপার এই ধারাবাহিক অবনতির পেছনে অন্যতম কারণে মনে করা হয় এরশাদের সকাল বিকেল কথা বদলানকে। আবার দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি না সরকার না বিরোধীদল, আবার সংগঠন ‍দুর্বল হয়ে যাওয়াকে দুষছেন তৃণমূলের নেতারা।

আর সংগঠন দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে যখন তখন কমিটি পরিবর্তন, আচমকা প্রমোশন, বহিস্কার ও বিগত নির্বাচনে ডুয়েল রোলকে দায়ী করছেন অনেকে। ওই নির্বাচনে এরশাদের নির্দেশে অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও খোদ এরশাদ নির্বাচনে থেকে যান।

যারা নির্বাচন করবেন তারা বেঈমান চিহ্নিত হবেন বলে উল্লেখ করেছিলেন এরশাদ। কিন্তু নির্বাচনের পর তার ভাষ্যের বেঈমানরাই জাপার চালিকাশক্তি ছিলেন। আর যারা তার কথায় বর্জন করেছিলেন তারা পুরো পাঁচ বছর ছিলেন সবকিছু থেকে দূরে।

এবারের নির্বাচনের ভরাডুবির আরেকটি কারণ মনে করা হয়, সেটি হচ্ছে জাপার নির্বাচনের সমন্বয়হীনতা। প্রার্থী করে শুধু চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের জন্য কোনো পরামর্শ কিংবা কেন্দ্রের সহযোগিতা ছিলো না। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ছিলেন দেশের বাইরে, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান, মহাসচিব কারোর কোনো পরামর্শ পায়নি প্রার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে ফোন দিলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।

কিন্তু আওয়ামী লীগের এমন ঈর্ষান্বিত বিজয়ের পেছনে কারণ কী জানতে চাইলে রংপুর জাতীয় পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ টানা ১০ বছরে রংপুরের যে উন্নয়ণ করেছে এই অঞ্চলের মানুষের কল্পনার মধ্যে ছিলো না। আঞ্চলিক মহাসড়ক এখন সর্বত্র বিরাজ করছে।

সৈয়দপুর এয়ারপোর্টকে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে রূপন্তরের উদ্যোগ, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চালু,  সোনাহাট ও বুড়িমারী স্থল বন্দরের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন। উত্তরা ইপিজেড চালু করে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ছিটমহল বিনিময়, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে ঘরে ঘরে চাকরি প্রদান এবং মঙ্গাকে নির্বাসন দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মানুষের ভাবনা পরিবর্তন হয়েছে।

অন্যদিকে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে বেশিরভাগে আওয়ামী লীগ জাপার ভোট প্রায় সমান সমান। কিছু ভোটার ঝুকে গেলেই সেদিকের পাল্লা ভারি হয়। অনেক ক্ষেত্রে তেমনটি হয়েছে বলে মনে করেন জাপার নেতারা।

কথা বলার জন্য অনেক বার ফোন দিলেও জাপার শীর্ষ নেতাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। ভোটের তিন দিন আগে কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বার্তা২৪কে বলেছিলেন, লাঙলের জোয়ার কমছে এমন কথার ভিত্তি নেই। বরং লাঙল জোয়ার আরও বেড়েছে উত্তরবঙ্গে।

   

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;