ঐক্যফ্রন্টের পুনঃনির্বাচনের দাবি অসাংবিধানিক: আইনমন্ত্রী
ঐক্যফ্রন্টের পুনঃনির্বাচনের দাবি অসাংবিধানিক এবং জনগণের মতের প্রতি অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক জাফরোল হাছানের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, 'ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে পুনরায় নির্বাচনে দাবি মোটেও সাংবিধানিক নয় এবং অত্যন্ত অযৌক্তিক। জনগণ ভোট দিয়েছে তাই জনগণকে এভাবে অসম্মান করার কোন অধিকার ঐক্যফ্রন্টের নেই।'
নারী শিক্ষা নিয়ে আল্লামা শফীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'গতবছর প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার সনদকে সমমানের যে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, সেটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ ছিল। আল্লামা শফী একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। আমি তাকে শ্রদ্ধাভরে বলতে চাই, তার এসব উক্তিগুলো দেশের ইতিবাচক উন্নয়নের বিপরীতে যায়। তাই এ ধরণের বক্তব্য পরিহার করা আমার মনে হয় ভালো হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আল্লামা শফী যা বলেছেন, আমি মনে করি এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যার যার ব্যক্তিগত অভিমত থাকতে পারে। কিন্তু তার এসব বক্তব্য দেশ পরিচালনা বা নীতির কোন পরিবর্তন আনবে না। বিশেষ করে আমরা নারী অধিকারের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, সেটা আরও দৃঢ় হবে এবং এগিয়ে যাবে। এটাই এই সরকারের বিশ্বাস।'
প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করে আসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গত ৩ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করে বিকেলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থীরা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু নির্বাচন কমিশনে যান।