বিজয় সমাবেশে ‘জনসমুদ্র’ চায় আ’লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফল পাওয়া গেলেও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনো বিজয় উৎসব এমনকি আনন্দ মিছিলও করেনি দলটি। তবে এবার এই বিজয় উদযাপন করতে চান দলের নেতাকর্মীরা। তাই শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে বিজয় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বিজয় উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখার মধ্যদিয়ে তারা হ্যাটট্রিক বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করতে চান। বিজয় সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চান তারা। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া এই বিজয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতের তুলে দেওয়া হবে ‘বিশেষ স্মারক’। সেই সঙ্গে তাকে নতুন উপাধিতেও ভূষিত করতে পারেন দলের নেতাকর্মীরা।

দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিলসহ কোনো ধরনের ‘বাড়াবাড়ি’ না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে। এবার বিজয় সমাবেশ করে সেই বিজয় উদযাপন করবে এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটি।

বিজয় সমাবেশকে সফল করতে ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ব্যাপক আকারে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থান নির্ধারণ করে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। কর্মীদের চাঙা করতে একের পর এক সভা হচ্ছে। দলীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই সবকিছু তদারকি করছেন। সভাগুলোতে উপস্থিত থেকে বিজয় সমাবেশ সফল করতে নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/16/1547646811728.jpg

ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোতেও বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঢাকা জেলা ও পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উল্লেখিত জেলার সব উপজেলা, থানা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদের এক যৌথ সভা করেছে দলটি। এছাড়া দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার নেতা এবং দলীয় এমপিদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটিগুলোও কর্মী সভা করে নিয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতারাও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পেয়ে গেছেন। নিজেরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজয় সমাবেশকে উৎসবমুখর করার।

জানতে চাইলে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু বার্তা২৪কে বলেন, '১৯ তারিখের বিজয় সমাবেশ সফল করতে আমরা প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পৌঁছে গেছে আমাদের কাছে। আমাদের নেতাকর্মীরা বাদ্যযন্ত্র সহকারে আনন্দঘন পরিবেশে মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। আমাদের লক্ষ্য বিজয় সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করা।'

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে বিজয় সমাবেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। বাস, ট্রাক ও রেলপথে নেতাকর্মী ঢাকায় এসে বর্ণিল মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে সমবেত হবেন। ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের দলীয় এমপিরা মিছিল সহকারে মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় ক্ষমতাসীনরা।

এ ছাড়া মহাসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় স্থান পাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের তথ্য সংবলিত পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার। নৌকা আকৃতির মঞ্চের পাশাপাশি পুরো সোহরাওয়াদী উদ্যান জুড়ে থাকবে আলোকসজ্জা। তবে সমাবেশস্থলে ঢোকার আগে নেতাকর্মীদের ফেস্টুন-ব্যানার বাইরে রাখতে হবে। এবার সমাবেশে প্রবেশ গেটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা গেট থাকবে। ইতোমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে সমাবেশে জনসাধারণকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা, পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ বলেন, 'গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয় হয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ রাজধানীতে বিজয় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আমরা সবাইকে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে এই বিজয় সমাবেশ সফল করব।'

জনসমাবেশকে ঘিরে কিছুটা জনভোগান্তির সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, 'বিজয় উদযাপন করতে ১৯ তারিখের মহাসমাবেশ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সমাবেশে আপনারা যাবেন, সেখানে সবার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে আমরা সুশৃঙ্খল একটি দল। উৎসবমুখরভাবে সমাবেশে উপস্থিত হবেন। এক সাইড ফাঁকা রাখবেন। রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে মহাবিজয়ের মহাদাপট দেখাচ্ছেন এমন যেন না হয়। সহিষ্ণু হতে হবে। বড় বিজয়ের সঙ্গে এটাও বড় দায়িত্ব।'

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;