আ'লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে জার্মানি সহায়তা করবে: রাষ্ট্রদূত
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব নেওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও সফলতা কামনা করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলৎজ বলেছেন, 'বাংলাদেশ বিপুল সম্ভাবনার দেশ। আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তা বাস্তবায়নে জার্মানি সহায়তা করবে।'
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তার কাছে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বলেন, 'নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে সব ধরনের সফলতা কামনা করেছেন তিনি। পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।'
রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানেরও প্রশংসা করেছেন বলে প্রেস সচিব জানান। জার্মান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বৈঠকে বলেন, 'অনেক খাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।'
দুই দেশের চমৎকার সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন, 'বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য সেসব জায়গায় জমি বরাদ্দ নিয়েছে।'
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জার্মান কোম্পানিগুলোকেও জমি বরাদ্দ নিয়ে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যন্ত মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটানো।”
জার্মানির সঙ্গে অনেক খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'তার সরকার সড়ক, রেল ও নৌ তিন ধরনের যোগাযোগ কাঠামো উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছে।'
বৈঠকের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।