কারাগারে খালেদা জিয়ার ৩৬৫ দিন



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া/ ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ৭৪ বছর বয়সে বন্দী রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তাঁর কারাবাসের এক বছর তথা ৩৬৫ দিন পূর্ণ হলো।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। ঐ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে ৩০ অক্টোবর সাজা পাঁচ থেকে ১০ বছর বৃদ্ধি করে রায় দেন হাইকোর্ট।

এরপর অপর একটি মামলা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। নাইকো, গেটকো, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দুর্নীতির মামলাসহ আরও ৩২টি মামলা চলমান রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলছেন, খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে। এক মামলায় জামিন নিলে অন্য আরেকটি মামলায় জামিন বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্ট জামিন দিলে আপিল বিভাগ আবার জামিন স্থগিত করেছে‌। পরে আপিল বিভাগ জামিন দিলে নিম্ন আদালত আরেকটি মামলায় জামিন আটকে দিয়েছে। শুধুমাত্র তাকে হেনস্থা, অপদস্থ করতেই মিথ্যা বানোয়াট মামলা সাজানো হয়েছে।

৭৪ বছর বয়সী এই নেত্রী নি:সঙ্গ জীবনযাপন করছেন কারাগারে। সেখানে তিনিই একমাত্র কয়েদি। সঙ্গে রয়েছেন পরিচারিকা ফাতেমা। পারিবারিক সূত্র বলছে, নামাজ, দোয়া-দরুদ, কোরআন তেলাওয়াত, পত্রপত্রিকা পড়েই সময় কাটান খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন কারাবন্দির পরেও তার মনোবল এতটুকুও টলেনি।

যেভাবে কারাবন্দি হন খালেদা
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন খালেদা জিয়া। বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে বকশিবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত থেকে কারা হেফাজতে নেওয়া হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি।

চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে খালেদা জিয়া
২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় এবং দেওয়া হয় ফিজিও থেরাপিসহ নানা চিকিৎসা।

চিকিৎসা শেষে ৮ অক্টোবর তাকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে পাঠানো হয়। ঐ সময় যদিও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না করে ছাড়পত্র ছাড়াই খালেদা জিয়াকে করাগারে নেওয়া হয়েছে।’

কারাগারে খালেদার ঈদ
গত ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযহা দুই ঈদ কারাগারে কেটেছে খালেদা জিয়ার। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করেন। তারা বাসায় রান্না করা খাবার দাবার নিয়ে কারাগারের ভেতরে নিতে পারেননি স্বজনেরা। এছাড়াও দলের নেতাকর্মীদের ফল হাতে করেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল কারাগারের সামনে।

কারাগারের আদালতের কাঠগড়ায় খালেদা
কারাবন্দি থাকা অবস্থায় একই কম্পাউন্ডে অবস্থিত কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে নেওয়া খালেদা জিয়াকে। সেখানে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কুমিল্লার নাশকতা মামলাসহ বেশকিছু মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বিশেষভাবে স্থাপিত অস্থায়ী এই আদালতে।

ছেলে ও স্বামীর মৃত্যাবার্ষিকীতে কারাগারে

স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষীকিতে প্রতিবছর মাজার ও কবর জিয়ারত করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু এবার তাঁর ব্যতিক্রম। কারাবন্দি থাকায় দলের নেতাকর্মীরাই এ দিনটি পালন করেছে। ছেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে কারাগারে খালেদা জিয়া অঝোরে কেঁদেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কারাগারে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন দলের চেয়ারপারসন। সুচিকিৎসা না পাওয়ায় তার পুরনো রোগ বেড়ে গেছে। খালেদা জিয়া আর্থারইটিসের ব্যাথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, হাত নাড়াচাড়া করতে পারেন না।’

‘সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিস এর জন্য কাঁধে প্রচণ্ড ব্যাথা, যা রেডিয়েট পর্যন্ত পৌঁছেছে। বেড়েছে হিট জয়েন্টের ব্যাথাও। চোখের ব্যাথা বেড়েছে, পা ফুলে গেছে। একা একা হাঁটতেও পারছেন না।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ। চোখেও প্রচণ্ড ব্যাথা। তার পা ফুলে গেছে। অথচ তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘এবার ক্ষান্ত দেন। একজন গুরুতর অসুস্থ বয়স্ক নেত্রীর ওপর আর জুলুম করবেন না। একটি বছর কারারুদ্ধ করে রেখে অত্যাচার করছেন। এবার মুক্তি দিন।'

এদিকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। পরের দিন ঢাকার বাইরে সারাদেশে একই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

এছাড়া খালেদা জিয়ার প্রথম কারাবন্দি বার্ষিকীতে মুক্তির দাবিতে ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেশব্যাপী মসজিদে মসজিদে দোয়া কর্মসূচি দিয়েছে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন। ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘কারামুক্তি বন্ধন’ কর্মসূচি দিয়েছে আইনজীবীদের এই সংগঠনটি।

   

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;