জাপার মেয়র প্রার্থীর পাশে নেই সিনিয়র নেতারা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনী প্রচারণায় শাফিন আহমেদ/ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী প্রচারণায় শাফিন আহমেদ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় নেই জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা। মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতীর আচরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে তাকে একদিনের জন্যও ক্যাম্পেইনে দেখা যায় নি। জাপার মেয়র প্রার্থী শাফিন আহমেদ ও পার্টির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, আগে আমার বাসায় টাকা দিয়ে যেতে হবে তবেই নামবো। না হলে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে নামছি না।

তার এই রহস্যজনক আচরণে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, মহানগরের এই নেতার কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাতীয় পার্টি। কাগজে কলমে তিনি নির্বাচনী এলাকার শীর্ষ নেতা রাতদিন যেখানে মাঠে থাকার কথা। সেখানে তিনি নিজে হাত গুটিয়ে বসে আছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ার গন্ধ খুঁজছেন কেউ কেউ।

সভাপতি যখন লাপাত্তা তখন মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকও নেই মাঠে। নির্বাচনের শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। ঠিক কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তার কোনো হদিস জানে না কেউ।

তবে অবাক ও বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসিবুর রহমান জয় এখানে ত্রাতার ভূমিকা নেমেছেন। যার বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকটাই বিরল বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন তোতা।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে কাজটি করার কথা ছিলো মহানগর সভাপতির। সেই ভূমিকা পালন করছেন যুগ্ম আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুর রহমান জয়। তিনি মেয়র পদে প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। দল তাকে মনোনয়ন না দিলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর হয়ে দিন-রাত নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

শুধু কি গায়ে খেটে যাচ্ছেন তেমনটা কিন্তু নয়।নিজের পকেটের টাকা খরচ করে মাঠে কর্মীদের চাঙ্গা করে রেখেছেন। যেটুকু হচ্ছে সবটাই তার ভূমিকার কারণে সম্ভব হয়েছে বলে দাবী করেন আনোয়ার হোসেন তোতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/24/1551015229992.jpg

প্রতিদিনের প্রচারণায় আমরা তাকেই পেয়েছি সামনে। এতে করে মাঠে এখন জাপার পক্ষে আওয়াজ উঠেছে। আর মহানগরের সভাপতি পার্টির সঙ্গে বেঈমানী করে নিরব রয়েছেন। আমরা পার্টি তথা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সম্মান রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যাতে করে নির্বাচনের পর প্রমাণ হয় জাপার সমর্থন রয়েছে সংগঠন রয়েছে। সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান জাপার এই নেতা।

হাসিবুর রহমান জয় বার্তা২৪.কমকে বলেন, মহানগরের সভাপতিকে একদিনের জন্যও মাঠে পাইনি। তাকে মেয়র প্রার্থী শাফিন আহমেদ ফোন করেছিলেন, মুখের উপর বলে দিয়েছেন আগে বাসায় টাকা পৌঁছে দিতে হবে তবেই মাঠে নামবেন। না হলে নামবেন না। আর মাত্র কয়েকদিন সময় হাতে থাকলেও এখন তার কোনো ভূমিকা লক্ষ্যনীয় নয়। মহানগর কমিটির সিনিয়র নেতা দু’একজন ছাড়া অন্যরা কেউই মাঠে নামেনি।পার্টির চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেছি।

পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, উপনেতা ও পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা আইনগত জটিলতার কারণে নির্বাচনী মাঠে নামতে পারছেন না। তবে অন্যান্য সিনিয়র নেতাদেরও ক্যাম্পেইনে দেখা যায় নি সেভাবে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরণের অসন্তোষ বিরাজ করছে।

মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতীর বিষয়ে অনেকের আস্থার সংকট রয়েছে। অনেকেই মনে করেছেন তার কারণেই উত্তরে জাপার সংগঠন অনেকটা নড়বড়ে। শুধুই তার কারণে অনেক ত্যাগী নেতা নিস্ক্রিয়। অনেক ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়া যায় নি।

২০১৪ সালে নির্বাচনের পূর্বে এসএম ফয়সল চিশতীর ভূমিকা এবং নবম সংসদের সময়ে ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচিত এরশাদ এমপির উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের কারণে অনেকের অপছন্দের তালিকায় তিনি। তখন দলীয় একটি তদন্ত কমিটি তার ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ পায়।

অতীতে নানাভাবে পার পেলেও এবার তার রক্ষে হচ্ছে না, এমনই আভাস দিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। শিগগিরই মহানগর উত্তর জাপায় রদবদল আসতে পারে বলেন জানা গেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিক দফায় ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি এসএম ফয়সল চিশতী।

 

   

সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা আদায়, কারণ দর্শানোর নোটিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ ঘটনায় সংগঠন বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদি প্রবাসীর ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে ওই মেয়ের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ না করে ছেলের বাড়ির আশপাশে ঘুরতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে ছেলের মা মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।

স্থানীয়রা জানান, ফাহাদের মা মেয়ের বাড়িতে গেলে মেয়ের পরিবার তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদের মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহৃত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন।

পরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে আরও ২০ হাজার টাকা নেন। রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে ফাহাদের বাবা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে চাঁদার টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ দেন। সৌরভের কাছে টাকা চাইলে উল্টো টাকা না দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে নানাভাবে হুমকি দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, মতিগঞ্জে ওই মেয়ের বাড়িতে ফাহাদের মাকে আটক রাখার বিষয়টি জানতে পেরে আমি সালিশি বৈঠকের কথা বলে তাদের নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

;

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;