উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আ'লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ১২২টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থীদের নাম দলীয়ভাবে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (১ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এই বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

চতুর্থ ধাপের ১২২টি উপজেলায় নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মার্চ। এসব উপজেলায় মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৪ মার্চ, যাচাই-বাছাই ৬ মার্চ ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ মার্চ।

বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য চতুর্থ ধাপে মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চূড়ান্ত নামের তালিকা দেওয়া হলো

খুলনা বিভাগ

যশোর জেলা:

যশোর সদরে মো. শাহীন চাকলাদার, ঝিকরগাছায় মোহাম্মদ আলী, চৌগাছায় মো. মোস্তানিছুর রহমান, বাঘারপাড়ায় মো. হাসান আলী, অভয়নগরে শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, মনিরামপুরে নাজমা খানম, কেশবপুরে এইচএম আমির হোসেন, শার্শায় সিরাজুল হক,

খুলনা জেলা:

রুপসাতে মো. কামাল উদ্দীন, তেরখাদায় মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, দিঘলিয়ায় খান নজরুল ইসলাম, বটিয়াঘাটাতে মো. আশরাফুল আলম খান, দাকোপতে এসএম আবুল হোসেন, পাইকগাছায় গাজী মোহাম্মদ আলী, কয়রায় জিএম মোহসিন রেজা, ডুমুরিয়ায় মো. মোস্তফা সরোয়ার ও ফুলতলায় শেখ আকরাম হোসেন।

বাগেরহাট জেলা:

রামপালে শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোল্লাহাটে শাহীনুল আলম ছানা, চিতলমারীতে অশোক কুমার বড়াল, বাগেরহাট সদরে সরদার নাসির উদ্দিন, কচুয়ায় এসএম মাহাফুজুর রহমান, ফকিরহাটে স্বপন কুমার দাশ, মোংলায় আবু তাহের হাওলাদার, মোড়েলগঞ্জে মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু ও শরণখোলায় কামাল উদ্দিন আকন।

বরিশাল বিভাগ

পটুয়াখালী জেলা:

পটুয়াখালী সদরে মো. গোলাম সরোয়ার, মির্জাগঞ্জে গাজী আতহার উদ্দিন আহম্মেদ, দুমকীয় হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার, বাউফলে আবদুল মোতালেব হাওলাদার, দশমিনায় মো. আব্দুল আজীজ, গলাচিপায় মুহম্মদ সাহিন ও কলাপাড়ায় এসএম রাকিবুল আহসান।

ভোলা জেলা:

ভোলা সদরে মো. মোশারফ হোসেন, দৌলতখানে মনজুর আলম খান, লালমোহনে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তজুমদ্দিনে মো. ফজলুল হক, চরফ্যাশনে মো. জয়নাল আবেদীন ও মনপুরায় শেলিনা আকতার

বরগুনা জেলা:

বরগুনা সদরে শাহ্ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ্, আমতলীতে জিএম দেলোয়ার, বেতাগীতে মো. মাকসুদুর রহমান (ফোরকান), বামনায় মো. সাইতুল ইসলাম লিটু ও পাথরঘাটায় মো. আলমগীর হোসেন।

পিরোজপুর জেলা:

পিরোজপুর সদরে মো. মজিবুর রহমান, ইন্দুরকানীতে এম মতিউর রহমান, মঠবাড়িয়ায় হোসাইন মোসারেফ সাকু, ভান্ডারিয়ায় মো. মিরাজুল ইসলাম, কাউখালীতে কাজী রুহিয়া বেগম, নেছারাবাদ এসএম মুইদুল ইসলাম ও নাজিরপুরে অমূল্য রঞ্জন হালদার।

ঢাকা বিভাগ

টাঙ্গাইল জেলা:

ধনবাড়ীতে মো. হারুনার রশিদ, মধুপুরে মো. ছরোয়ার আলম খান আবু, গোপালপুরে মো. ইউনুস ইসলাম তালুকদার, ভুঞাপুরে মো. আব্দুল হালিম, ঘাটাইল মো. শহিদুল ইসলাম লেবু, কালিহাতীতে মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল সদরে শাহ্ জাহান আনছারী, দেলদুয়ারে মো. ফজলুল হক, নাগরপুরে মো. কুদরত আলী, মির্জাপুরে মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, বাসাইলে মো. মতিয়ার রহমান ও সখিপুর জুলফিকার হায়দার কামাল।

ঢাকা জেলা:

নবাবগঞ্জে আব্দুল বাতেন মিয়া, দোহারে মো. আলমগীর হোসেন, কেরানীগঞ্জে শাহীন আহমেদ, ধামরাইয়ে অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান মিজান, সাভারে মঞ্জুরুল আলম রাজিব।

মুন্সীগঞ্জ জেলা:

মুন্সীগঞ্জ সদরে আনিছউজ্জামান, টঙ্গিবাড়ীতে ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবদুল ওয়াহিদ, লৌহজংয়ে মো. ওসমান গনী তালুকদার, শ্রীনগরে মো. তোফাজ্জল হোসেন, সিরাজদিখানে মহিউদ্দিন আহমেদ ও গজারিয়ায় আমিরুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জ জেলা:

সোনারগাঁয়ে মো. মোশারফ হোসেন, আড়াইহাজারে মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার ও রূপগঞ্জে মো. শাহজাহান ভূঁইয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ জেলা:

হালুয়াঘাটে মাহমুদুল হক সায়েম, ধোবাউড়ায় প্রিয়তোষ চন্দ্র বিশ্বাস, ফুলপুরে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গৌরীপুরে বিধুভূষণ দাস, ময়মনসিংহ সদরে আশরাফ হোসাইন, মুক্তাগাছায় মো. বিল্লাল হোসেন সরকার, ফুলবাড়ীয়ায় মো. আব্দুল মালেক সরকার, ত্রিশালে মো. ইকবাল হুসেন, ঈশ্বরগঞ্জে মাহমুদ হাসান সুমন, নান্দাইলে আ. মালেক চৌধুরী ও ভালুকায় মো. গোলাম মোস্তফা।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে মো. জাহাংগীর আলম, সরাইলে মো. শফিকুর রহমান, নাসিরনগরে রাফি উদ্দিন আহম্মদ, আখাউড়ায় আবুল কাশেম ভূঁইয়া, আশুগঞ্জে মো. হানিফ মুন্সী, নবীনগরে কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক ও কসবায় মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া।

নোয়াখালী জেলা:

সুবর্ণচরে এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী, কবিরহাটে কামরুন নাহার শিউলী, কোম্পানীগঞ্জে মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, চাটখিলে মো. বিল্লাল চৌধুরী, সোনাইমুড়ীতে খন্দকার আর আমিন, সেনবাগে জাফর আহাম্মদ চৌধুরী ও বেগমগঞ্জে ওমর ফারুক বাদশা।

ফেনী জেলা:

ফেনী সদরে আবদুর রহমান (বি.কম), দাগনভূঁঞায় মো. দিদারুল কবির, ফুলগাজীতে মো. আব্দুল আলিম, সোনাগাজীতে জহির উদ্দিন মাহমুদ (লিপটন), ছাগলনাইয়ায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী ও পরশুরামপুরে কামাল উদ্দিন।

কুমিল্লা জেলা:

চান্দিনায় তপন বক্সী, মেঘনায় মো. সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, হোমনায় রেহানা বেগম, মুরাদনগরে আহসানুল আলম কিশোর, লাকসামে মো. ইউনুছ ভূঁইয়া, দেবিদ্বারে মো. জয়নুল আবেদীন, তিতাসে মো. শাহিনুল ইসলাম, বুড়িচংয়ে আবুল হাসেম খান, নাঙ্গলকোটে মো. সামছুউদ্দিন (কালু), চৌদ্দগ্রামে আবদুস ছোবহান ভূঁইয়া, মনোহরগঞ্জে মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় মো. জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী ও বরুড়ায় এএনএম মইনুল ইসলাম।

   

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;