বিএনপির কাউন্সিল কবে?



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র নেতাদের মধ্যে দল পুনর্গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। সে অনুযায়ী কাজ শুরুও করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করতে হলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবশ্যই কাউন্সিলের মাধ্যমে করতে হবে।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই কাউন্সিল করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে করা হবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বা মাস এখনও ঘোষণা করা হয়নি। দলটির নেতারা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব, কাউন্সিলের আয়োজন করে নেতৃত্ব ঠিক করবে বিএনপি।

গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দলটি। কারণ হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ‘তারা ভোট ডাকাতি করে নির্বাচনের ফল নিজেদের করে নিয়েছে।' বিএনপি এমন অভিযোগ ও সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেও দলের সিনিয়র নেতারা নির্বাচনের পর দল পুনর্গঠনের কথা বারবার বল আসছেন। এজন্য সিনিয়র নেতারা সমালোচনার মুখেও পড়ছেন। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কঠোর কর্মসূচি না থাকাতে ক্ষেপেছিলেন অঙ্গসংগঠনের নেতারা। সম্প্রতি দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও মত পার্থক্য দেখা যায়।

এ অবস্থায় দলটির নেতারা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আন্দোলন করতে হলে প্রয়োজন হবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। কিন্তু সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মত পার্থক্য, অঙ্গ সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলে ঐক্যবদ্ধ ও কঠোর আন্দোলন সম্ভব নয়। ফলে কাউন্সিল করা অত্যাবশ্যক হয়ে গেছে বিএনপির জন্য।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করেছিল বিএনপি। সেসময় ৫০২ জনকে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে ১৯টি পদ রাখা হয়। কিন্তু কাউন্সিলের পর থেকেই দু’টি পদ শূন্য। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কমিটির মেয়াদ তিন বছর। সে হিসেবে বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে এ বছরের ১৯ মার্চ। তবে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কমিটির শেষে কোনো কারণে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হলে বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করতে পারবে, যা এখন চলছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত প্রায় এক যুগ ধরে বিদেশে (লন্ডন)। এছাড়া মারা গেছেন এম কে আনোয়ার, তরিকুল ইসলাম ও আ স ম হান্নান শাহ। সালাউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করছেন। আর ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া কারাগারে। তবে স্থায়ী কমিটির বাকি ১০ সদস্য সক্রিয় থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে নিস্ক্রিয় রয়েছেন।

ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর স্থায়ী কমিটির দু’টি পদ ফাঁকাসহ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যুব বিষয়ক সম্পাদক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও কেউ জায়গা পাননি। এর মধ্যে গত ১৬ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন দল থেকে পদত্যাগ করেন।

কবে কাউন্সিল হবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, কাউন্সিলের এখনও তারিখ ঠিক করা হয়নি। কাউন্সিল করার আগে অনেক প্রস্তুতির দরকার হয়। এগুলো নিয়ে আমাদের অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান জেলা পর্যায়ের নেতা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সাথে কথা বলছেন। এগুলো প্রস্তুতির অংশ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বার্তা২৪.কমকে বলেন, দল পুর্নগঠন একটা সাংগঠনিক ধারাবাহিকতা। গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান অনুযায়ী আমরা পুনর্গঠন করি। আর দল পুনর্গঠন আন্দোলনের লক্ষ্যেই; যেটা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আর তার মুক্তির মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

কাউন্সিলের আগে যদি খালেদা জিয়া মুক্ত না হতে পারেন তাহলে কি তাকে ছাড়াই কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে কিনা? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি (কাউন্সিলের) নিচ্ছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে, থানা, জেলা, কেন্দ্র সকল ক্ষেত্রে আমরা কাউন্সিলের মধ্যে দিয়ে সংগঠনকে সংগঠিত করব। ৩-৪ বা ৬ মাসের মধ্যেই আমরা কাউন্সিলের আয়োজন করব।

   

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;