অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আ’লীগের কড়া নির্দেশনা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: প্রায় এক দশক ধরে দেশের শাসন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। রাজনীতিতেও এককভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। একটানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দুধের মাছির মতো দলটিতে ভিড়েছেন অনেকেই। এমনকি যারা এক সময় অন্য আদর্শের রাজনীতি করতেন, তারাও আজ আওয়ামী লীগ করতে চান। দলের নেতাকর্মীরা যাকে বলছেন ‘অনুপ্রবেশ’। এই অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কিত সরকারি দল, বিশেষ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এ অবস্থায়, আগামীতে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া অন্য দল থেকে কাউকে দলে ভেড়ানো হবে না বলে তৃণমূলে চিঠি দিয়েছে দলের হাইকমান্ড। একইসাথে জানানো হয়েছে, অনুপ্রবেশকারী এবং যারা অনুপ্রবশের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করা হবে। এছাড়া, সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যেন বিতর্কিত কেউ দলে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারেও তৃণমূলের নেতৃত্বকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ারও চিন্তাভাবনা করছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতি নির্ধারকরা।

সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা, মামলা-হামলার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া, ব্যবসা বাণিজ্যর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ নানা কারণে সরকারি দলে যোগ দিচ্ছেন তারা। তাদের এই যোগদানকে প্রথমে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও এবার বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আওয়মাী লীগে যোগ দেওয়াকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে দলটি।

এসব অনুপ্রবেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের তৃণূমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষুন্ন করছেন অনুপ্রবেশকারীরাই। এদের কিছু আসে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে, আবার কেউ কেউ আসে নিজের দোষ ঢাকতে এবং শাস্তি থেকে বাঁচতে। দলীয় কোন্দলের মূল কারণও এসব অনুপ্রবেশকারী। ত্যাগী ও দীর্ঘ সময় দলকে সেবা দেওয়া নেতাদের বঞ্চিত করে অনুপ্রবেশকারীদের দলীয় পদ দেওয়ায় অনেক স্থানেই ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাভলু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী ও বড় একটি দল। টানা তৃতীয়বারের মতো সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধাপরাধী ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় জড়িত বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে বিচারের আওতায় এনেছেন তিনি। এ কারণে অপরাধী-নাশকতা মামলার আসামিসহ অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে, নিজেরা বাঁচতে চাচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সতর্ক থাকলে অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করা সম্ভব।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৩ সালের শেষ দিকে বিএনপি-জামায়াত থেকে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিতে শুরু করে। ২০১৭ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। বিএনপি-জামায়াতের এসব নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাত ধরে আওয়ামী লীগে ভেড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় সাংসদদের হাত ধরে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেন তারা। বিষয়টি দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোচরে এলে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বরে এক সাংবাদ সম্মেলনে, বিএনপি-জামায়াত থেকে কাউকে দলে নিতে নিষেধ করে দেন তিনি। তারপরও থেমে থাকেনি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদান।

গত ১০ বছরে ভোলায় ছাত্রদল-যুবদলের এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শতাধিক, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বরগুনায় দুই শতাধিক করে, সিলেটে তিন শতাধিক, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় দুই হাজারের বেশি, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই হাজারের অধিক, সাভারের আশুলিয়ায় ৩৪, মাদারীপুরের শিবচরে পাঁচ শতাধিক, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নে তিন শতাধিক, কুমিল্লা (উত্তর) জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পৌর বিএনপি সভাপতি, মেয়র ও চার চেয়ারম্যানসহ কয়েকশ' নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। তবে এরা প্রকৃতপক্ষে সরকারের হয়ে কাজ করছে না। নিজেদের 'এজেন্ডা' বাস্তবায়ন করতে সরকারি দলে খুঁটি গাড়ছেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনে মামলা-হামলা ও গ্রেফতার এড়াতে এসব নেতাকর্মী দল ত্যাগ করে সরকারি দলে ভিড় করছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে নিজেদের পিঠ বাঁচিয়ে চলছেন সুবিধাভোগী বিএনপি-জামায়াতের এসব নেতাকর্মী। অথচ বিগত আন্দোলনগুলোর চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী এসব নেতাকর্মীই এতদিন বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে বিভিন্ন নাশকতা চালিয়ে আসছিল। তার শত শত প্রমাণও রয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে।

সরকারি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যে ব্যক্তি ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাকে মূল্যায়ন না করে অনেক সময়েই তিন চার বছর আগে অনুপ্রবেশকারীকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এভাবে দু’একজন এমপি, মন্ত্রীও হয়ে গেছে! এ নিয়ে দলের মধ্যে বিভক্তি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য বার্তা২৪.কমকে বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকতে অবশ্যই আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। কাউকে দলে নেওয়ার বিষয়ে তার সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নেওয়া এবং কেন্দ্রকে জানানোর বাধ্যবাধকতা দিয়ে তৃণমূলে চিঠি দেওয়া হবে। দলের সব পর্যায়ের নেতাদের নতুন সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগে বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে তৃণমূলে নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;