কী আছে এরশাদের উইলে



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, পুরনো ছবি

জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: কী আছে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গঠিত ট্রাস্টে? কীভাবে পরিচালিত হবে এই ট্রাস্ট? এসব প্রশ্ন ছিল ট্রাস্টিদের কাছে। বার্তা২৪.কমকে তারা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন।

পত্র-পত্রিকায় যেসব খবর বেরিয়েছে তার বেশির ভাগেই যথাযথ নয় বলে দাবি করেছেন ট্রাস্টিরা। অনেকেই লিখেছেন, ১০ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই টাকার পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত স্টাফ ও ট্রাস্টি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

কোনো কৃষিজমিই নেই এরশাদের। ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্মগড়ে ১২০ বিঘার মতো কৃষিজমি ছিল। সেই জমি অনেক আগেই এতিমদের নামে লিখে দিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানায় অধ্যয়ন করা অনাথদের ১০ বিঘা করে জমি লিখে দিয়েছেন তিনি।

ট্রাস্টের নামে উইল করে দিয়েছেন এফডিআর, রংপুরের পদাগঞ্জে অবস্থিত পল্লীবন্ধু কোল্ড স্টোরেজ, বারিধারার ফ্লাট (প্রেসিডেন্ট পার্ক, যেখানে তিনি নিজে অবস্থান করেন), গুলশানের ফ্লাট, বনানী বিদ্যা নিকেতনের বিপরীতে অবস্থিত একটি ফ্লাট, বনানী ইউআই শপিং কমপ্লেক্সের দু’টি দোকান, ৬৫ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত রংপুর শহরে বাসভবন (পল্লী নিবাস) ও নিজের নামে কেনা পাঁচটি গাড়ি।

কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের সময়ে চাচাতো ভাই সামছুজ্জামান মুকুলকে কিছু শেয়ার লিখে দিয়েছিলেন। সে কারণে পুরো কোল্ড স্টোরেজ ট্রাষ্টে লিখে দিলেও এর থেকে প্রাপ্ত আয়ের ২০ শতাংশ হিস্যা মুকুলের নামে দিয়েছেন। আর ৮০ শতাংশ মুনাফা যাবে ট্রাস্টের ফান্ডে। তবে কোল্ড স্টোরেজের মূলধনে মুকুলের কোনো শর্ত রাখা হয়নি।

পাঁচ সদস্যের বোর্ড থাকবে। এতে রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, এরিখ এরশাদ, ভাতিজা মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) খালেদ আক্তার, ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলম ও চাচাতো ভাই সামছুজ্জামান মুকুল (রংপুরের বাসার কেয়ারটেকার)।

এরশাদ যতোদিন বেঁচে থাকবেন তিনি চেয়ারম্যান থাকবেন। তার অবর্তমানে বোর্ডে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন? কে চেয়ারম্যান হবেন? বোর্ডের সদস্য সংখ্যা পূরণের জন্য বাইরে থেকে একজনকে সদস্য অথবা চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে বোর্ডের হাতে।

তবে ট্রাস্টিদের কোনো রকম সম্মানি বা ভাতা প্রদানের সুযোগ রাখা হয়নি। তারা কাজ করবেন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। ট্রাস্টের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি বা মালিকানা পরিবর্তেনের ক্ষমতা রোহিত করা হয়েছে।

মুনাফার অর্থে পরিচালিত হবে এই ট্রাস্ট। ট্রাস্টের মুনাফায় প্রথমত ব্যয় হবে হুসেইন মুহম্মদের এরশাদ ও এরিখ এরশাদের ভরণপোষণ। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে এরশাদের অবর্তমানে এরিখের ভরণপোষণের বিষয়টি।

এরিখের পরবর্তী প্রজন্মও (যদি থাকে) এখান থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন। তবে এরিখের পরবর্তী প্রজন্ম না থাকলে সেক্ষেত্রে পুরো সম্পদ চলে যাবে ওয়ার্কফ এস্টেটের অধীনে।

এরিখের ভরণপোষণের পর উদ্বৃত্ত অর্থ সেবামূলক কাজে ব্যয় হবে। এক্ষেত্রে হঠাৎ কোনো মানবিক বিপর্যয় দেখা দিলে, প্রাকৃতিক দুযোগের শিকার হলে তাদের পাশে দাঁড়াবে ট্রাস্ট। দুস্থ অসহায়, এতিমদের আজীবন ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেহেতু এফডিআর থেকে বছরান্তে আয় আসবে, সে কারণে বছরান্তে একবার অডিট করার বিধান রাখা হয়েছে।

তবে উইলে বর্তমানে এরশাদের দেওয়া চলমান অনেক ভাতার বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। সে কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এরশাদের অবর্তমানে তাদের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। রানা প্লাজায় আহত আটজন, তাজরীন গার্মেন্টসে নিহতের তিন পরিবারসহ মোট ৪৩ জনকে প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এজন্য ব্যাংক টু ব্যাংক চলে যায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। যা তার সংসদের সম্মানির তহবিল থেকে সরবরাহ করে থাকেন।

সংসদের বেতন তিনি কখনই নিজের জন্য নেননি। সব সময় গরিব অসহায়দের বিলিয়ে দিয়েছেন। বরং অন্য খাত থেকে আরও বাড়তি অর্থের সংস্থান করতে হয়েছে।

বর্তমানে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা মাসিক ভাতা প্রদান করেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। এরমধ্যে দলের এক/দু’জন প্রেসিডিয়াম সদস্য, মধ্যম সারির নেতা, দুস্থ অসহায় পরিবারও রয়েছে। এই টাকার কোনো সংস্থান রাখা হয়নি বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।

বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, স্যার (এরশাদ) যাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদের তিনি বলেছেন- আমি যতোদিন বেঁচে আছি ততোদিন তোমাদের দায়িত্ব নিলাম।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামার এরশাদ নিজের নামে ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। হলফনামায় বাৎসরিক আয় দেখানো হয়- ১ কোটি ৮ লাখ ৪২ হাজার ২০৬ টাকা। এছাড়া, ২ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ টাকার দুইটি ব্যাংকে ঋণের কথা উল্লেখ করেন।

   

সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কোনো জনগণ নাই, জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না। তবে সন্ত্রাস নির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে আওয়ামী লীগ জনপথের পর জনপথে শিমুলদের মতো এমপি বানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশে নৈরাজ্য ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী গত ১৩ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে মাইক্রোবাসে থাকা সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। পায়ে তিনটি গুলি করে।

খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।

নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, তার উপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

;

আ. লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) 'মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'অন্তরে মম শহীদ জিয়া'।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেনই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কিনা। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা এই ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ডঃ কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

;

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা (বিএনপি) এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত পক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংগঠনের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

;

বিদেশী প্রভুর কাছে নতজানুদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয়, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে যারা ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবিক বিবেচনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের যেমন কমিটমেন্ট আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাচিয়ে রাখার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাচিয়ে রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যারা কলুষিত করতে চায় তাদের নির্মূল করার জন্য এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা আরও জয়োধ্বনিতো হউক।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;