প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা কি পূরণ করবেন শোভন-রাব্বানী?

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: ‘ভাই, কমিটি কবে দেবে? কমিটি কি আদৌ হবে?’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে কিংবা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) যেখানেই ছাত্রলীগের নেতারা যান সেখানেই তাদের এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি সাংবাদিকদের দেখলেও কমিটির খোঁজ আগে নেন পদপ্রত্যাশী কর্মীরা। অথচ ছাত্রলীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে কোনো 'প্রস্তুতি' বা আন্তরিক 'তৎপরতা' নেই।

ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার প্রক্রিয়াকে বিভিন্ন অজুহাতে বারবার পিছিয়েছেন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে চলতি সপ্তাহে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জোরালো তাগিদের পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে কিছুটা সক্রিয় হয়েছেন ছাত্রলীগের এই শীর্ষ দুই নেতা।

তবে দলীয় প্রধানের নির্দেশনা ও প্রত্যাশামতো তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারবে কি-না, সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা গত নয় মাসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই শীর্ষ নেতার মতবিরোধ চরমে উঠেছে। যার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ হয় ঢাবিতে বৈশাখী উৎসব পালন নিয়ে।

এবারের তৎপরতাকেই রমজানের আগে কমিটি পূর্ণাঙ্গের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা। অন্যথায় ছাত্রলীগের নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইবেন তারা।

ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বর্তমান দুই নেতার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় নয় নেতার সঙ্গে বৈঠকের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার পক্ষেও মত দিয়েছেন তিনি। সেখানে উপস্থিত দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে নতুন করে কমিটি গঠন করো। যারা সংগঠনের বদনাম করে, দল ও সরকারের অর্জনকে ম্লান করে, তাদের সংগঠনে দরকার নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে সব তথ্য আছে। হয় কমিটি ভেঙে দাও, অন্যথায় দায়িত্ব নিয়ে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বৈঠক করে আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করো।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় যারা জড়িত তারা যেন ছাত্রলীগের কমিটিতে আসতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। যারা সংগঠনের বদনাম করবে, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দলীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থা আমি নেব।

সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। পরে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে সমন্বয়ের জন্য দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দেন তিনি। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশ দেন।

দলীয় সভাপতির জোরালো নির্দেশনা পেয়ে ইতোমধ্যে সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। বৈঠকে তারা সোহাগ-জাকিরের কাছে কমিটি পূর্ণাঙ্গের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। বর্তমানদের সহযোগিতাও কামনা করেন তারা।

ওই বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। তাদেরকে ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গের ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত করেছি। সেই সঙ্গে কমিটি পূর্ণাঙ্গে বর্তমান কমিটিকে শতভাগ সহযোগিতা আমরা করব বলে জানিয়েছি। নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের সহযোগিতা সব সময় অব্যাহত থাকবে।

এদিকে ছাত্রলীগের কমটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ার পেছনে বর্তমান দুই নেতার উদাসীনতা ও অপ্রস্তুতিকে দায়ী করছেন নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদৌ কমিটি হবে কি-না, সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে বলে জানান তারা।

সূত্র জানিয়েছে, সভাপতি শোভন, সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী কেবল নিজেদের অনুসারী লোকদের একটা তালিকা করে নিজেদের কাছে নিয়ে ঘুরছেন। অথচ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কে কোন পদ পাবে, একাডেমিক সেশন অনুসারে সিনিয়র-জুনিয়রদের অবস্থান কীভাবে হবে, পদপ্রত্যাশীদের যাচাই-বাছাইসহ অনেক কিছুই এখনও বাকি আছে।

আর এসব বিষয় সমন্বয়ের জন্য শোভন-রাব্বানী কয়েকবার বসলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ নিয়ে আলোচনা কখনোই আলোচনা এগোয়নি। প্রধানমন্ত্রীর চাপে কমিটি পূর্ণাঙ্গে একসাথে বসলেও মতৈক্য ছাড়াই শেষ হয়েছে সেসব বৈঠক।

কমিটি গঠনে দুই নেতার দ্বন্দ্বের শুরুটা হয় পদের ভাগাভাগি নিয়ে। পহেলা বৈশাখে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের কমিটি থেকে বাদ দিতে চান রাব্বানী। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করতে নারাজ শোভন। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপির চাপ, আঞ্চলিক নেতাদের চাপের কারণে কমিটির কাঠামো তৈরিতেই ব্যর্থ হন তারা।

কমিটি গঠন নিয়ে জানার জন্য বুধবার (১৭ এপ্রিল) শোভন-রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা সাড়া দেননি। অবশ্য সেদিন শোভন অসুস্থ থাকায় সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।

তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শোভন-রাব্বানী এবার কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনের পর কমিটি ঘোষণার নিয়ম থাকলেও শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে সময় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছর ৩১ জুলাই শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছরের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।

   

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;