খালেদা-তারেকের আশীর্বাদে এতদূর এসেছি: রুমিন ফারহানা



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ছবি: কাজল শিকদার

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ছবি: কাজল শিকদার

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাষা সংগ্রামী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রয়াত অলি আহাদের একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আইনি পেশার পাশাপাশি যুক্ত জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে। দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক হিসেবে। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

 

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া, আজকের অবস্থান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে তরুণ এই রাজনীতিবিদের নানা ভাবনা। কথা বলেছেন, সংসদে গিয়ে কীভাবে কাজ করবেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়েও জানিয়েছেন নিজের পরিকল্পনা। 

বার্তা২৪.কম: রাজনীতিতে আসা ও আজকের এই অবস্থান কীভাবে হয়েছে?

রুমিন ফারহানা: আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠাও রাজনৈতিক পরিবারে। ২০১২ সালে বাবাকে হারানোর পর বিএনপির সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পদে না থাকলেও কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির ডেলিগেশন টিমের সঙ্গে আমাকে চীনে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া আমাকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গে রাখেন। ২০১৬ সালের কাউন্সিলে আমাকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক করা হয়। খালেদা জিয়ার আশীর্বাদ, তারেক রহমানের দোয়া এবং দলের সিনিয়র নেতাদের ভালোবাসায় আমি আজকে এতদূর এসেছি।

বার্তা২৪.কম: খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তারেক রহমানের কোনো সিদ্ধান্ত বা ইঙ্গিত আছে কি-না?

রুমিন ফারহানা: তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যতগুলো সিদ্ধান্ত এসেছে প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক, যুগোপযোগী, সময়োপযোগী এবং অত্যন্ত চিন্তাপ্রসূত। তিনি কিন্তু সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দলটাকে পরিচালনা করছেন। স্থায়ী কমিটি সঙ্গে বসছেন, আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘ সময় আলাপ আলোচনা করছেন। সুতরাং কোনো সিদ্ধান্তই কিন্তু কারো একক সিদ্ধান্ত না। তারেক রহমানের চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেকারণে সিদ্ধান্তগুলো সঠিক এবং নেতাকর্মীরা যা চায়, তারই প্রতিফলন আমরা তার সিদ্ধান্তে পেয়েছি।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, তিনি জীবনে কোনো দিন আপস করেন নাই। সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আজকে তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। আইনি লড়াই চলছে, আইনি লড়াই চলবে। সেই সঙ্গে আমরা সাংগঠনিকভাবে যে সিদ্ধান্তে যাচ্ছি, আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব যে দিক নির্দেশনা দেবেন, নিশ্চয়ই আমরা সময়ের সঙ্গে সেই পদক্ষেপগুলো নেব।’

বার্তা২৪.কম: সংসদ অবৈধ বলেও সংসদে গেলেন। গুঞ্জন ছিল বিএনপি সংসদে গেলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন, কিন্তু পাননি। কোনো সমঝোতা কি হয়েছিল?

রুমিন ফারহানা: সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন আজকে প্রায় মাস খানেক হয়ে গেল। আপনারা কি দেখেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন? তিনি মুক্ত হননি। সুতরাং এই পর্দার আড়ালের খেলা বিএনপি কোনো দিনও খেলে নাই। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, জনগণের সঙ্গে ধোকাবাজি এটা বিএনপির রাজনীতি না। কৌশলগত কারণে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে দলগতভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল আমরা শপথ নেব না। যেহেতু দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিয়েছে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পরবর্তীতে যখন দলীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা শপথ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন এবং তারা সংসদে যাবেন। আমার ব্যাপারেও দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত এসেছে। সুতরাং এখানে ধোঁয়াশার কিছু নেই।’

বার্তা২৪.কম: দলের মহাসচিব শপথ নিলেন না, এতে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন কি-না?

রুমিন ফারহানা: দলের মহাসচিব নিজেই তা স্পষ্ট করেছেন। দু’টি কারণে তিনি শপথ নেননি। একটি হলো তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবেন। সংগঠন গোছানোর জন্য তাকে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হয়ে। সব কিছু মিলিয়ে তার পক্ষে সংসদে যোগদান করা, সংগঠনকে শক্তিশালী করা, একইসঙ্গে তৃণমূল ও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। এতো বড় দায়িত্ব তার পক্ষে একসঙ্গে পালন করা সম্ভব নয়। যে কারণেই শপথ নেননি। এবং সেটা তিনি খোলামেলাভাবেই বলেছেন। এতে বিভ্রান্তির কিছু নেই।

বার্তা২৪.কম: সিনিয়র নেতা থাকতে শেষ পর্যন্ত আপনার উপর দল কেন আস্থা রাখছেন?

রুমিন ফারহানা: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে, দলের শীর্ষ নেতাদের, যারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। মনে করেছেন, আমি পারব। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তাদের যে আস্থা ও বিশ্বাস তার মর্যাদা যেন আমি রাখতে পারি।

বার্তা২৪.কম: সংসদে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন?

রুমিন ফারহানা: আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার আগেও আমি খুব স্পষ্ট করে বলে আসছি যে, এটা কোনো সংসদ নয়। কারণ এটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরপরও আমরা সংসদে গেছি কেন? বিএনপির মতো এতবড় একটা দলকে মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। সভা সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। এসব বলার জন্য তো একটা স্পেস দরকার। মানুষের কথা, দেশের কথা বলার জন্য একটা ফোরাম দরকার। আমরা মনে করি, সংসদ একটা পথ, যে পথে আমরা কথা বলতে পারব। আমরা জানি, সাতজন এমপি দিয়ে সরকারের কোনো অবৈধ কাজকে উল্টে দিতে পারব না। সরকারকে এমন কোনো চাপ দিতে পারব না যে, সরকার শুনতে বাধ্য হবে। কিন্তু আমাদের যে কণ্ঠ, যে প্রতিবাদ, তা সুশীল সমাজ জানবে, দেশের মানুষ জানবে, দেশের ঘরে ঘরে সেগুলো পৌঁছাবে। এটুকুই আমাদের লক্ষ্য।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে একজন আইনজীবী হিসেবে পরিষ্কার বলছি, জামিন কিন্তু তার অধিকার। যে মামলাগুলোতে তাকে আটকে রাখা হয়েছে সেই মামলার প্রত্যেকটা জামিনযোগ্য। সংসদে গিয়ে নিশ্চয়ই এ বিষয়ে আমরা কথা বলব। তার মামলার যে মেরিট, তার বয়স, শারীরিক অবস্থা, তার জেন্ডার; সবকিছু বিবেচনায় তিনি তাৎক্ষণিক জামিন লাভের যোগ্য।’

আরও পড়ুন: সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির প্রার্থী রুমিন ফারহানা

   

আ. লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) 'মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'অন্তরে মম শহীদ জিয়া'।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেনই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কিনা। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা এই ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ডঃ কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

;

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা (বিএনপি) এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত পক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংগঠনের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

;

বিদেশী প্রভুর কাছে নতজানুদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয়, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে যারা ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবিক বিবেচনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের যেমন কমিটমেন্ট আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাচিয়ে রাখার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাচিয়ে রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যারা কলুষিত করতে চায় তাদের নির্মূল করার জন্য এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা আরও জয়োধ্বনিতো হউক।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;