ধীর গতিতে এগোচ্ছে বিএনপি



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ভুগছে নানা জটিলতায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলটির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে এসেছে। দলটির সিনিয়র নেতারা বলেছিলেন- দল পুনর্গঠন আবশ্যক। তা না করলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়া যাবে না। এজন্য দল পুনর্গঠনে কাজও শুরু করেছেন বিএনপির হাইকমান্ড।

কিন্তু সেই গতি খুবই ধীর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এতো ধীরে কাজ না করে আরও দ্রুত করা উচিৎ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮টি ছায়া সংগঠনের মধ্যে মাত্র ছয়টির কমিটি গঠন বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সর্ব প্রথম দল পুনর্গঠনে কাজ শুরু হয় বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি গঠনের মাধ্যমে। গত ১৭ জানুয়ারি ফরেন অ্যাফেয়ার্সের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রধান করে ২১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপিপন্থী সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনে করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনো নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে ১৩ ফেব্রুয়ারি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আবদুর রহিম।

২৭ ফেব্রুয়ারি দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে আহ্বায়ক করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কমিটি ১৫৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ৩ এপ্রিল জাতীয়তাবাতী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।

বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কাউন্সিলের মাধ্যমে গত ২৫ মে নতুন কমিটি গঠন করে। এতে সভাপতি হয়েছেন ডা. হারুন অর রশীদ, মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম।

সর্বশেষ গত ৩ জুন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে বিএনপি। একইসঙ্গে ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তথ্য বলছে, বিএনপির সহযোগী সংগঠন দুইটি; জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল। অঙ্গ সংগঠন নয়টি; জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষকদল, মৎসজীবী দল, তাঁতীদল, ওলামাদল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) ও মহিলাদল।

পেশাজীবী সংগঠন ছয়টি; জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, ডক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ড্যাব), অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব), এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট ও শত নাগরিক কমিটি।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে যদি বিএনপি কোনো আন্দোলনে যায় তাহলে তার আগে মূল দলসহ সব ছায়া সংগঠন নতুন করে সাজাতে হবে। নিজেদের এই শক্তিগুলোকে সচল করতে হবে। তাহলেই সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি কার্যকর করা সম্ভব।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আন্দোলনের জন্য বিএনপির নিজেদের মধ্যে যে শক্তি আছে সেটা সচল করতে হবে। সংগঠনগুলোকে শক্তশালী করতে হবে। আগে নিজেদের ক্ষমতাশালী করতে হবে। এটা করতে হবে সাধারণ মানুষদের নিয়ে। বিএনপি দল পুনর্গঠনে খানিকটা হাত দিয়েছে, কিন্তু গতিটা ধীর। আরও দ্রুত গতিতে অগ্রসর হওয়া দরকার।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন দলের বর্তমান নেতৃত্বকে যথার্থ মনে করেন না। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমাদের নেতৃত্বের দুর্বলতা রয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এজন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে হবে এবং তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। আমরা যারা প্রবীণ আছি, বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত তাদের বাদ দিতে হবে। নতুন এবং পুরাতনের সমন্বয়ে নেতৃত্ব গঠন করতে হবে। বর্তমান নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি কোনো অবস্থাতেই আন্দোলনে সফল হবে না।’ 

তিনি বলেন, আমাদের সমস্যা অনেক, হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। দেশে এখন পুলিশি শাসন চলছে। নেতারা আমাদের মামলা, হামলার ভয়ে মাঠে নামাতে সাহস পান না। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে হবে। আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) জেলে। বর্তমান স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রায় সবার নামে মামলা রয়েছে। তাই নতুন নেতৃত্ব বিএনপিতে আনতে হবে। না হলে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে দলের পুনর্গঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, এটা আমাদের দলীয় ও সাংগঠনিক ব্যাপার। আমাদের মুখ্যপাত্র হচ্ছেন দলের মহাসচিব (বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর)। তিনি এ ব্যাপারে বলবেন।

   

ভোট প্রদান উৎসাহে প্রচারপত্র বিতরণ উদ্বোধন করল আ.লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করতে প্রচারণামূলক প্রচারপত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি।

প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হাতে এ প্রচারপত্র তুলে দেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে সব শক্তির উৎস জনগণ। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ তাদের সে অধিকার প্রয়োগ করবে। আমরা সে অধিকার প্রয়োগে জনগণকে উৎসাহিত করতে দেশব্যাপী প্রচারপত্র বিতরণ করব।

বিতরণ করা প্রচারপত্রে বলা হয়, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনও অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির ভাত ও ভোটের অধিকার, ভাষার অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নত নাগরিক-জীবন প্রতিষ্ঠার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণের এই সাফল্য-সংগ্রামের বিপরীতে দেশবিরোধী একটি অপশক্তি লাগাতারভাবে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত এই অপশক্তি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এবং জনগণের ভোটাধিকারকে নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন ও নির্বাচনবিরোধী এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে প্রচারপত্রে বলা হয়, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত এবং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জিত হওয়ায় আপনাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করুন।

এতে আরও বলা হয়, আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করুন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিন। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করুন। ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করুন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ প্রতিহত করুন। শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়ে আপনার স্বাধীনতা- আপনার নাগরিক অধিকার- আপনার ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করুন। উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করুন।

;

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে দেশের বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রচার পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি উন্নয়ন নির্বাচন বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে সে জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সকল শক্তির উৎস। দেশ বিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণ কে সামরিক স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে দীর্ঘকাল পৃষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছে।  

;

রওশন ঘোষিত কমিটিতে নাম দেখে বিস্মিত শেখ আলমগীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টির কমিটির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবী করেছেন শেখ আলমগীর হোসেন। রওশন ঘোষিত কমিটিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তার নাম দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ায় তার নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রওশন এরশাদ গত ৯ মার্চ আইবি চত্ত্বরে এক তরফাভাবে জাতীয় পার্টির আয়োজন করেন। এরপর ২০ এপ্রিল আংশিক কমিটি ঘোষণা দেন। সেখানে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন-কে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়।

কমিটি ঘোষণার সংবাদে শেখ আলমগীর হোসেন বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন বলে জাতীয় পার্টির যগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন যে, প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত মূল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বর্তমান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি’র নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে জাতীয় পার্টির পতাকাতলেই আছেন এবং তিনি এও বলেছেন ঐ ভূয়া পার্টির (রওশন-মামুন) সাথে তাঁর সম্পর্ক নাই।

শেখ আলমগীর হোসেন তাঁর নাম জড়িয়ে উক্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রেরণ করে প্রকাশ ও প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

;

মহসিন কলেজকে গ্রিন ক্যাম্পাস বানাতে চায় ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত হলেও সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজে গাছপালার সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। এমন পরিস্থপতিতে কলেজ ক্যাম্পাসকে পুনরায় গ্রিন ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে চায় ছাত্রলীগ।

এর অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও শুরু করেছে সংগঠনটি। প্রথমদিন কলেজের বিভিন্ন জায়গায় শতাধিক বৃক্ষরোপণ করেন তারা।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

আনোয়ার পলাশ বৃক্ষরোপণের বিষয়র বলেন, ‘বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে আমাদের ভবিষ্যতকে জলবায়ুর বিরূপ আচরণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের মতো তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসকে গ্রিন ক্যাম্পাসে নবরূপায়ন করবে। আর এজন্যই আমাদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।’

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহারিয়ার সুমন, রাবেয়া বসরি লিজা, হাবিবুর রহমান সুজন, মোহাম্মদ শাহারিয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ইমন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, এইচ এম জাহিদ, জনি দাশ, আবির উদ্দিন, মোহাম্মদ কায়সার, সাগর সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, জাহিদ হাসান কাউসার, সাবিদ হাসান, আবরারুল হাসান, শেখ আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ মুনতাসিম, নকিব বিন নোমান, ইমতিয়াজ, আসিফুল ইসলাম শিহাব, আক্তার আহমেদ রাব্বী, শাহারিয়ার, এস আই সাইদুল, মোহাম্মদ শোয়াইব, আব্দুল আহাদ, মোহাম্মদ লিমন, ইব্রাহিম হোসেন সাজ্জাদ প্রমুখ।

;