সম্মেলনের প্রস্তুতিতে আ.লীগের তৃণমূলে ধীরগতি



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের লেগো

আওয়ামী লীগের লেগো

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর মেয়াদী আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের অক্টোবরে। অক্টোবরকেই সম্ভাব্য মাস হিসেবে ধরে কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজন করতে চায় টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনায় থাকা দলটি। ইতোমধ্যেই সম্মেলন আয়োজনের ইচ্ছের কথা জানিয়ে দলের শীর্ষনেতাদের প্রস্তুতি নেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় সভাপতির সঙ্গে কয়েকদফায় সম্মেলন সংক্রান্ত নানা ইস্যু নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুসারে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দলটি। তবে তৃণমূলে সম্মেলনের গতি বেশ ধীর।

সারা দেশের তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো সম্মেলন শেষ করতে বিশেষ কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনোদের নবায়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দলের নিজস্ব কার্যালয়ের ঠিকানা স্থায়ী কী না- এসব তথ্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাতে বলা হয়েছে। তবে আসন্ন কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটি গঠনও নানাবিধ কারণে সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন তারা।

সূত্র মতে, টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অধিকাংশ ইউনিটের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অনেক জেলা ও উপজেলায় নিয়মিত সম্মেলন নেই। কোথায় কোথাও সম্মেলন হয় নি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। নিয়মিত সম্মেলন ও কমিটি গঠন না হওয়ায় সংগঠন স্থবির। কোথাও কোথাও সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়েও পড়েছে। কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সময় আশ্বাস পেলেও এলাকাগুলোর নেতাকর্মীরা নির্ধারিত সময়ে নতুন কমিটি পাননি।

তূণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে’ মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও উপজেলাগুলোতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার ঘোষণা দেওয়ায় তৃণমূলে চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কারণ এর মধ্যে তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে আটটি বিভাগীয় টিম গঠন করে দেন। তৃণমূল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অনেক জেলায় বর্ধিত সভাও শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু তৃণমূলে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি সেভাবে নেই।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান শেষ করেই আমরা আমাদের জেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন আয়োজনের কার্যক্রম শুরু করব। ইতোমধ্যেই আমরা প্রতিটা উপজেলা,থানা ও ইউনিয়ন ইউনিটগুলোতে সম্মেলনের তারিখ ঠিক করে জানাতে বলেছি।’

কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো সম্মেলন ঠিক ভাবে হবে কী না সেটি নিয়ে শঙ্কা আছে তৃণমূলেই। তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুন মাসে সফল ভাবে দলের ৭০ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়েই ব্যস্ত ছিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল। জুলাই মাসটাই হাতে সময়। সামনে আগস্ট মাস শোকের মাস। ঐতিহ্যগতভাবে সে মাস জুড়ে কোন সম্মেলন কিংবা কমিটি হবে না। অক্টোবরের আগে তখন বাকী থাকবে মাত্র দুই মাস। কিন্তু এখনো সেরকম প্রস্তুতি নেই।

কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, জাতীয় সম্মেলন অক্টোবর মাসেই হবে। তাই যে যে এলাকাগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সেগুলোতে সম্মেলন আয়োজন খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় সম্মেলন পেছানোরও কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলের জাতীয় সম্মেলন শেষ করার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্মেলন না করার কোনো বিকল্প নেই।

 এদিকে এই মুহূর্তে দলে নতুন রিক্রুটের জন্য দারুণ সক্রিয় হাইকমাণ্ড। দুইকোটি নতুন সদস্য দলে ভেরানোর লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে সাড়ম্বরে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। ওই বছর গণভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের সদস্য পদ সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু পরের বছর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের জোয়ারে তা অনেকটাই স্থিমিত হয়ে যায়। ২০১০ সালে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও ওই বছরও তা বেশিদিন চলেনি। তবে এবার সেটি হতে দিতে চান না দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি দলীয় ফোরামের বিভিন্ন আলোচনায় তিনি নতুন রিক্রুটমেন্ট করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তৃণমূলের নেতাদের দলে নতুন রক্ত সঞ্চালনা করতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলায় আগামী ১ জুলাই থেকে দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে। দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে এবার পারিবারিক পরিচয়কে বড় করে না দেখে নতুন সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয়কেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।’

যদিও রোববার (৩০ জুন) দলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তারুণ্যের শক্তি,বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ নীতির আলোকে আগামী ২১ জুলাই সারাদেশে নতুন ভোটারদের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তুর্ভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে।’

   

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;