চীনের সঙ্গে চুক্তিতে অস্বচ্ছতা নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চীনের সঙ্গে চুক্তি উন্নয়নের জন্য। দেশটির প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চুক্তি উন্নয়নের জন্য হয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য যারা বিনিয়োগ করতে পারে, আমরা তাদের কাছে যাব, তাদের সঙ্গে চুক্তি করব। এখানে অস্বচ্ছতার কিছু নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর ও দেশটির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফরুখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন- লুটপাট করতেই চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার।
তার এই বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের উন্নয়নে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। সেকারণে তারা দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করছে। তারা নিজে যেটার চর্চা করেছে সেটা এখন চিন্তা করছে। তারা নিজেরা ক্ষমতায় থাকাকালে এ ধরনের দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল; এখন পারছে না বলে গা-জ্বালা করছে।
শেখ হাসিনার ট্রেনযাত্রায় হামলার মামলার রায়ে সরকারর হস্তক্ষেপ করেছে, বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কোনো মামলার রায় বিএনপির বিরুদ্ধে গেলে তারা রায়কে বানোয়াট বলে, সরকারের হস্তক্ষেপ বলে। এটা তাদের অতীত অভ্যাস, নতুন কিছু নয়। সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা বিএনপির গতানুগতিক পর্যবেক্ষণ। সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানো বিএনপির পুরনো অভ্যাস।
বিচারবর্হিভুত হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগ সমর্থন করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এটা তো দাবি করেনি। বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে হাইকোর্টের ব্ক্তব্য রেকর্ড করি। আর বিচার বর্হিভুত হত্যা কি কেউ সমর্থন করে! এটা আমরাও করি না।
সদস্য সংগ্রহ নিয়ে গত ২৮ জুন ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার অবস্থান পরিষ্কার, এ ব্যাপারে কোনো ঘাটতি আছে কি-না? একটা বিষয়কে একেক জন একেভাবে নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের চির বিজয়ী যে আদর্শ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধই আমাদের আদর্শ। এখানে কোনো প্রকার দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আবকাশ নেই।
তার দাবি, যারা সত্যিকার অর্থে বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন, তারা এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন, স্পষ্টতা পেয়েছেন। কাজেই এ বিষয়ের আর বলার প্রয়োজন নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য এস এম কামাল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য এলওসি (লেটার অব এক্সচেঞ্জ) এবং অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি এবং পর্যটন সংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর
আরও পড়ুন: কাদেরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শেখ হাসিনার কাছে প্রতিবাদলিপি