খালেদার চিকিৎসার ফাইল নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের



Admin

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে থাকার কথা বলে বিএনপি মিথ্যাচার করেছে।

বিএনপির অভিযোগ তোলার পরদিন রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে বক্তৃতায় একথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেছিলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তরের সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকরা, সেই ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অনুমোদনের জন্য আটকে আছে বলে তারা খবর পেয়েছেন।

মন্ত্রী কাদের বলেন, “বেগম জিয়া অসুস্থ হলে জেল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কাগজপত্র কেন যাবে?

“তারা (বিএনপি) মিথ্যার উপর ভর করে রাজনীতি করে, সব জায়গায় মিথ্যাচার করে। এমন একটা ভাব যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাগজ গেছে, তিনি সই করলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়ে যাবে। তাতে কি বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে যাবেন?”

সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগও উড়িয়ে দেন কাদের; পাশাপাশি বিএনপির চিকিৎসকদের বক্তব্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

“জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা যখন চিকিৎসার সার্টিফিকেট দেবেন, সেখানে তো সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। এই চিকিৎসক চিকিৎসার প্রকৃত চিত্রটা না বলে রাজনৈতিকভাবে একটা রাজনৈতিক সার্টিফিকেট দিয়ে দিবে, এটা কি গ্রহণযোগ্য?

“সত্যিকারের যে চিত্র, এই ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সরকারের অমানবিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক সরকার নয়। তারা আমাদের সাথে যে ব্যবহার করেছেন, তার পাল্টা ব্যবহার কিন্তু আমরা করিনি।”

খালেদার মুক্তির দাবি সরকারকে জানিয়ে কোনো লাভ নেই বলে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

“খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন আদালতের বদৌলতে। সেটা নিয়েও তারা রাজনীতি করছেন। যেন সরকারই খালেদা জিয়াকে দণ্ড দিয়েছে। আমরা তাকে দণ্ডও দিইনি, আমরা তাকে দণ্ড থেকে মুক্তিও দিতে পারব না।

এসময় তিনি আরো বলেন,“আমি চাই ত্যাগী, যোগ্য নেতৃত্ব। কারও পকেটের কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব হবে না। কোন সিন্ডিকেট দ্বারা ছাত্রলীগ চলবে না। ছাত্রলীগ চলবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নির্দেশনায়। এর বাইরে কোন ভাবনা চিন্তা করার অবকাশ নেই।”

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “টাকা-পয়সার কর্মীরা থাকবে না, আদর্শের কর্মীরা থাকবে। জবরদস্তি করে অযোগ্যকে নেতা বানাবেন, দুঃসময় এলে হাজার পাওয়ারের বাতি দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

“অনুপ্রবেশকারী পরগাছা যেন পার্টির নেতৃত্বে আর না আসতে পারে। পরগাছাদের জন্য ছাত্রলীগ কোনো সুযোগ দিবে না। সোহাগ-জাকিরকে বলব, তোমরা ভালো কিছু করে যাও।”

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে নেতৃত্বে আসতে হবে।

তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ হল রাজনীতির পাঠশালা। এই রাজনীতির সিলেবাস তিনটি। সিলেবাস তিনটি হল, ১. অসমাপ্ত আত্মজীবন ২. কারাগারের রোজনামচা ৩. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী।”

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, “ছাত্রলীগকে যদি দেহের সাথে তুলনা করা হয়, তবে ঢাবি ছাত্রলীগ হবে সেই দেহের আত্মা।

“এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যারা নেতৃত্বে আসবেন, তাদের উচিৎ হবে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, যারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, যারা বাংলাদেশকে নিয়ে আবার ১/১১ এর স্বপ্ন দেখে, তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলা।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, “বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, রাজনীতি মানুষের জন্য। জাতির পিতার এই আদর্শকে ধারণ করে আমরা নেতৃত্বে আসার পর ‘পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতি, রাজনীতির পাশাপাশি পড়াশোনা নয়’ তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি।”

বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্সগুলো বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তাতে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমর্থন চান।

তিনি বলেন, “আজকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা অনেক বেড়ে গেছে। বহিরাগতদের আনাগোনা বিভিন্ন সময় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং কোর্সের মাধ্যমে বহিরাগত বাড়ছে। অবিলম্বে এই ইভিনিং কোর্স বন্ধ করতে হবে, বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।”

বক্তব্যের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সোহাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিদ-প্রিন্স নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

   

২৬ এপ্রিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নয়াপল্টনে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সর্বশেষ সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

;

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;