জাতীয় পার্টির উত্তেজনায় শীতল পরশ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের

রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সিনিয়র নেতা রওশন এরশাদের বিবৃতির পরে অস্থিরতা দেখা দিলেও শীতল হয়ে এসেছে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব। স্বস্তির ঢেকুর তুলছেন জিএম কাদেরের অনুসারীরা।

অনেকে মনে করেছিলেন রওশন এরশাদ হার্ড লাইনে এগিয়ে যাচ্ছেন। যা তার বিবৃতির মাধ্যমে অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে পড়েছিলো। রওশন বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই ঘোষণা করেছিলেন জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন।

রওশনের এই প্রতিক্রিয়ার পর তৃণমূলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছিলো। আশঙ্কা করা হচ্ছিলো সবচেয়ে বেশি দফায় ভাঙনের শিকার জাতীয় পার্টি আবার ভাঙতে যাচ্ছে। বিবৃতি পরবর্তী পরিস্থিতি অবলোকন করছিলেন নেতাকর্মীরা।

এরপর সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বিবৃতিতে উড়ো চিঠি বলে মন্তব্য করেন। বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জিএম কাদেরের এই প্রতিক্রিয়ার পর অনেকে আতঙ্কে ছিলেন ঘটনা প্রবাহে। অনেকে ভেবেছিলেন রওশন এবার হার্ডলাইনে যেতে পারেন।

রওশন এরশাদ বিবৃতি দিয়েছিলেন ২২ জুলাই। আর জিএম কাদের সেই বিবৃতিকে উড়ো বলে মন্তব্য করেছিলেন ২৩ জুলাই। এরপর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও রওশন কিংবা রওশন অনুসারীরা কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান নি। এতে স্বস্তি নেমে এসেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিশেষ করে যারা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেখতে চান তারা বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

জাতীয় পার্টিতে এখন তিন ধরণের মানসিকতার কর্মী সমর্থক রয়েছে। বড় একটি অংশ রয়েছে যারা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেখতে চান। তারা কোনভাবেই চাননা জাতীয় পার্টি আবার ভাঙনের কবলে পড়ুক। নতুন করে সংকট তৈরি হোক। এই অংশে উদারপন্থী এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেশি।

আরেকটি গ্রুপ রয়েছে জিএম কাদেরের পেছনে একাট্টা। তারা তাকে জাপার যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে মনে করছেন। এদের মধ্যে কিছু নেতা রয়েছেন যাদের কারো কারো রওশনের নাম শুনলেও গা জ্বালা করে। রওশনের আশপাশে ঘিরে থাকা নেতাদের সঙ্গে যাদের ব্যক্তিগত কিংবা নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই শ্রেণির নেতারা মনে করেন কাদের-রওশন মিলে গেলে রওশনপন্থীদের চাপে তারা হারিয়ে যেতে পারেন। যেভাবে অতীতে তারা চাপে ছিলেন। এই টাইপের বেশ কিছু নেতা এখন জিএম কাদেরের পেছনে সক্রিয়।

তারা অনেকে মনে করছেন কিছু সুবিধাভোগি দল থেকে চলে গেলেই ভালো। তাতে পার্টি আগাছামুক্ত হয়। মুখে এমন কথা বললেও অন্তরে নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের রেশ বিরাজমান। জিএম কাদের যদি এই শ্রেণির নেতাদের মধ্যে মিলে যান তাহলে জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ সঙ্কটাপন্ন বলে মনে করছেন উদারপন্থীরা।

আরেকটি গ্রুপ রয়েছে রওশন এরশাদের পেছনে একাট্টা। এই গ্রুপে সিনিয়র কিছু প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ সদস্যরা রয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যারা অনেকেই রওশনের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছিলেন। এই গ্রুপটির সঙ্গে জিএম কাদেরের দ্বন্দ্বের সূত্রপাতও তখন থেকেই।

ওই নির্বাচন জিএম কাদের কঠোরভাবে বর্জন করেছিলেন। পরে একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধীদলে থাকার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন। এই পন্থীদের পেছনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংখ্যা খুবই নগন্য বলে মনে করা হয়। তবে সিনিয়র নেতা ও বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রিসভায় থাকার কারণে কিছু অনুসারী রয়েছে। কারো কারো নিজ নিজ এলাকায় রয়েছে ব্যক্তিগত বলয়।

এই গ্রুপটি কোনভাবেই জিএম কাদেরকে নেতা মানতে নারাজ। তারা চান রওশন নেতৃত্বে থাকুক। আর তারা নিজেরা তার সঙ্গে থেকে রাজনীতি করতে চান। এই মতাদর্শের নেতাদের মধ্যে অনেকে সরকারি দলে একপা দিয়ে রেখেছেন। হয়তো রওশনের নেতৃত্বে জাপা, নয়তো সরাসরি নৌকার পালে বাতাস দিতে চান। তবুও জিএম কাদেরের নেতৃত্বে নয়।

তবে কিছু অতি উৎসাহী নেতার কারণে জিএম কাদেরের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন উদারপন্থীরা। অতি উৎসাহীদের আচার আচরণ এবং ফেসবুকে নানা রকম নেতিবাচক স্ট্যাটাস অনেককে কাদের বিমুখ করে তুলছে। অতি উৎসাহীদের কর্মকাণ্ডে জিএম কাদেরের সমর্থন কিংবা মদদ না থাকলেও পরোক্ষভাবে দায় তার কাঁধেই গিয়ে পড়ছে। ক্ষুব্ধ অনেক নেতা গোপনে রওশনপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।

পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরকে যে শতভাগ নেতাকর্মী মানতে চাইছেন না তা তিনি নিজেও অবগত। ২০ জুলাই জাতীয় পার্টির যৌথসভায় জিএম কাদের মন্তব্য করেছেন তার প্রতি ৯৯ শতাংশ নেতাকর্মীর সমর্থন রয়েছেন।

জাতীয় পার্টির এই নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থায় গত ১৬ জানুয়ারি জিএম কাদেরকে তাঁর অবর্তমানে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২২ মার্চ আরেক সাংগঠনিক নির্দেশনায় ১৬ জানুয়ারির নির্দেশনা বাতিল করেন এরশাদ।

এরপর কাদেরকে বহালে আন্দোলনে নামে রংপুরের নেতারা। অনেকটা বাধ্য হয়ে ২২ মার্চের নির্দেশনা বাতিল করে কাদেরকে পুনর্বহাল করেন এরশাদ।

গঠনতন্ত্রে পদ না থাকলেও ২০১৬ সালে জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন এরশাদ। এরপর রওশন পন্থীদের চাপে রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করেছিলেন এরশাদ।

এরশাদের মৃত্যূতে শূন্য হয়ে যাওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনকে জিএম কাদেরের অগ্নি পরীক্ষা মনে করা হচ্ছে। এখানে সিদ্ধান্তে কোনো ভুল কিংবা গড়মিল হলে মাসুল দিতে হবে সারাজীবন ধরে। এমনকি দল ভেঙে খণ্ডও হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

জাতীয় পার্টির এ দুর্গের উপ-নির্বচানে রওশন তার পুত্র রাহগীর আল মাহি সা’দ এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে পারে। অনেকদিন ধরেই ছেলে সা’দকে রাজনীতি আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন রওশন। বিগত সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দাবী।

কিন্তু রওশন এরশাদের এই অভিপ্রায়ে ছাড় দেবেন না কাদের পন্থীরা। রংপুর জাতীয় পার্টির নেতারাও বেকে বসতে পারেন। বিশেষ করে কাদেরপন্থী বলে পরিচিত মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এসএম ইয়াসির নিজেও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নামতে পারেন।

জাতীয় পার্টিতে নেতৃত্বের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিগত বেশ কিছু নির্বাচনে প্রার্থী না পেয়ে নেতা হায়ার করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন, ঢাকা সিটি করপোরেশন, উপজেলা নির্বাচন অন্যতম। অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থীই দিতে পারেনি দলটি। সে কারণে জিএম কাদেরকে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উদারপন্থীরা।

 

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;