জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
ছবি: সংগ্রহীত

ছবি: সংগ্রহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক নির্বাচনী সমঝোতামূলক জোট হতে যাচ্ছে। ৬টি শর্তে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ হচ্ছে বলে জানা গেছে। জোটের বিষয়টি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

আগামী শনিবার (১১ আগস্ট) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ দু’টি দলের জোটবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে উভয় দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

চুক্তির শর্তগুলো নিয়ে কেউ সরাসরি কথা চাননি। তবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যে ছয় শর্তের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের চুক্তি হচ্ছে সেগুলো হলো-
১. কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না।
২. হজরত মোহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এটা সংবিধানে যুক্ত করা হবে।
৩. কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
৪. ইসলাম, নবী, রাসূল ও সাহাবীদের নামে কটূক্তিকারীদের শাস্তির বিধান সম্বলিত আইন করা হবে।
৫. সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে।
৬. সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।

ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত (নিবন্ধন নং ৩৩) রাজনৈতিক দল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক। তিনি চারদলীয় জোটের অন্যতম রূপকার ও নেতা ছিলেন। কিন্তু জোট সরকারের আমলে কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতিসহ নানাবিধ দাবী অপূরণ থাকায় ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে চারদলীয় জোট ত্যাগ করেন।

জোট থেকে বের হবার পর আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যের চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ও খেলাফত মজলিসের মাঝে ২০০৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনী সমঝোতা চুক্তি হয়। পাঁচদফা নির্বাচনী চুক্তিতে বলা হয়- উভয় দল সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিজয়ী হলে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে। দুই দলের চুক্তির পর থেকে নানাবিধ সমালোচনার প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ এক তরফাভাবে চুক্তিটি বাতিল করে।

এর পর থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আর কোনো জোটে যোগ দেয়নি। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে রিক্সা প্রতীকে ১২টি আসনে অংশ নেয় এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/09/1533820864569.jpg

বিভিন্ন জোট গঠন ও জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসকে নিয়ে প্রচুর গুঞ্জন ও আলোচনা হয়েছে। অবশেষ সব আলোচনা থামছে এরশাদে সঙ্গে জোট গঠনের মধ্য দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘মূর্তি স্থাপন বিরোধী আন্দোলন’ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মতবিনিময় করে। তখন থেকেই দুই দলের সম্পর্কের শুরু।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ৭ মে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’ (ইউএনএ) নামে ‘ইসলামী মূল্যবোধের’ নতুন এক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই জোটে দু’টি নিবন্ধিত দলসহ মোট ৫৮টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। নিবন্ধিত দল দু’টি হচ্ছে জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। গুঞ্জন ছিলো- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ওই জোটে যোগ দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আর ওই জোটে যাননি। খেলাফত মজলিস জোট করতে চলছে জাতীয় পার্টির সঙ্গে। তবে তারা সম্মিলিত জাতীয় জোটে যোগ দেবেন কিনা- সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হ্যাঁ, ছয়টি শর্তের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জোট করতে যাচ্ছে। ওই শর্তের সবগুলোই ইসলামি মূল্যবোধ সংক্রান্ত। এখানে দলীয় বা ব্যাক্তি স্বার্থ বলে কিছু নেই। জাতীয় পার্টি এবং খেলাফত মজলিস সরকার কিংবা বিরোধী দল যেখানেই থাকুন না কেন- ওই ছয় শর্ত বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করবে।’

১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন এবং ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন যুব শিবির একীভূত হয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৫ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে বিভক্ত হয় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। তার পরও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ সাংগঠনিকভাবে বেশ মজবুত। প্রায় ৫০টি জেলায় তাদের সক্রিয় কমিটি রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতেও তারা রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১৫টি আসন দাবী করবে বলে জানা গেছে। দলের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬), মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক (ঢাকা-৭), সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ঈসমাইল নুরপুরি (নরসিংদী-৫), নায়েবে আমির মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন (কিশোরগঞ্জ-৬) আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুফতি মাহফুজুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক আলোচনা শুরু হয়েছে। এখনও বলার মতো কিছু হয়নি। আলোচনা হচ্ছে।’

   

আ. লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) 'মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'অন্তরে মম শহীদ জিয়া'।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেনই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কিনা। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা এই ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ডঃ কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

;

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা (বিএনপি) এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত পক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংগঠনের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

;

বিদেশী প্রভুর কাছে নতজানুদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয়, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে যারা ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবিক বিবেচনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের যেমন কমিটমেন্ট আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাচিয়ে রাখার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাচিয়ে রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যারা কলুষিত করতে চায় তাদের নির্মূল করার জন্য এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা আরও জয়োধ্বনিতো হউক।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;