নান্দাইলে বিভক্ত আ.লীগ চায় ঐক্যের প্রার্থী
নান্দাইল (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের সবচেয়ে স্পর্শকাতর আসন নান্দাইলে তীব্র বিরোধের কবলে আওয়ামী লীগ। ঐক্যের প্রার্থী খুঁজছে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম ঋণ খেলাপী মামলার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন নি। মামলা চলমান থাকায় সামনের নির্বাচনেও তার প্রার্থী হওয়া অনিশ্চিত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া গত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জামানত হারান। মূলত দলীয় সভাপতি ও অন্যদের সঙ্গে একের পর এক দ্বন্দ্ব ও কোন্দলের কারণে তিনি নির্বাচনী মাঠে প্রবল বিরোধিতার মুখে রয়েছেন।
দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের প্রেক্ষাপটে আকস্মিকভাবে প্রার্থী হয়ে নান্দাইলের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন দলে ও এলাকায় নিজস্ব অবস্থান গড়তে পারেন নি। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অভিযোগের কারণে তার জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে। তদুপরি জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর ভূইয়া হত্যাকাণ্ড মামলার বিষয়ে তার ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা সন্দেহ ও ক্ষোভ রয়েছে।
নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের তীব্র অনৈক্য ও সঙ্কটের মুখে দলের পক্ষে বর্তমান নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চৌধুরী স্বপনকে প্রার্থী করার জন্য দাবি উঠেছে। ঐক্য ও সমঝোতার প্রার্থী হিসাবে তার পক্ষে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে সমর্থন জানিয়ে মিছিল, মিটিং হচ্ছে।
রাজগাতি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবুল ভূইয়া মেম্বার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'জনসমর্থনের নিরিখে ও ঐক্যের প্রয়োজনে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন সবচেয়ে যোগ্য। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও বিভেদের অবসানের জন্য তার কোন বিকল্প নেই।'
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত উপজেলা নির্বাচনে স্বপন চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা প্রায় সবাই জামানত হারান। ছাত্রলীগ হয়ে আওয়ামী লীগে আসা সাহসী, সৎ, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী নেতা হিসাবে তিনি দল ও সাধারণ মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ময়মনসিংহ-৯ নির্বাচনী আসন নান্দাইল পাকিস্তানের জাতীয় নেতা নূরুল আমিনের এলাকা হওয়ায় এন্টি-আওয়ামী লীগের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। বর্তমানে যে ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি নেতা খুররম খান চৌধুরী। বিএনপির একক প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভক্ত ও সংঘাতময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যোগ্য, জনপ্রিয়, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর মনোনয়ন না দেওয়া হলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ আসন ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।