তিন কৌশলে বেশি জোর আওয়ামী লীগের



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

  • Font increase
  • Font Decrease
  • জনপ্রিয় ও উইনেবল প্রার্থীদের দলীয় সবুজ সংকেত গোপনে দেওয়া

  • একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কঠোরভাবে দমন করা

  • নির্বাচন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকা

চলতি বছরের শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বাকি মাত্র দেড় মাস। ইতিমধ্যেই সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। নানা সমীকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জোট-মহাজোটও। তাই নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্যে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আরো বেশি তৎপর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি দলীয় কোন্দল মেটাতে তিন কৌশলের উপর জোর দিচ্ছেন তারা।

দলের নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামত, জরিপ, মাঠ পর্যালোচনা ও অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে তফসিলের আগেই নিজ নিজ আসনে জনপ্রিয় ও উইনেবল প্রার্থীদের দলীয় সবুজ সংকেত গোপনে দেওয়া, একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কঠোরভাবে দমন করা এবং দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল মেটাতে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকার কৌশলের উপর এখন জোর দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য বার্তা২৪.কম এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) জনমত জরিপ, তৃণমূলের মতামত, সব কিছু মিলিয়ে যিনি উইনেবল ক্যান্ডিডেট তাকেই মনোনয়ন দেবেন। অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিদের তফসিলের আগেই গোপনে সবুজ সংকেত দেয়া হবে। যোগ্য প্রার্থীদের কাছে কেন্দ্র থেকে নেত্রীর বার্তা পৌঁছে যাবে। তাদের আরো বেশি করে জনগণের কাছে যেতে বলা হবে। আপা (শেখ হাসিনা) সবার খোঁজ-খবর রাখেন। তিনি মাঠের সব হিসাব-নিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আর দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। বিদ্রোহীদের অতীতে দু’একবার ছাড় দেয়া হলেও এবার আর তেমনটি হবে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, অনেক আগে থেকে আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক প্রস্তুতিও চলছে। আমাদের নেতাকর্মীরাও মাঠে নেমেছেন। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই কয়েক ধাপে তৃণমূলের নেতা ও দলীয় জনপ্রতিনিধিদের গণভবনে ডেকে বিশেষ বর্ধিত সভা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দলীয় মনোনয়ন বা গ্রুপিংয়ের কারণে নিজেদের মধ্যকার বিদ্যমান বিভেদ দ্রুত সমাধান করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে হ্যাট্রিক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে দুই বছর ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির চেয়ে সব দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে চান তারা। দলীয় প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন, উন্নয়ন প্রচার, বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে উঠান বৈঠক, বর্ধিত সভা, কর্মিসভা, পথসভা, জনসভাসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি শুরু করা দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর ইতিমধ্যেই শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ১৫টি টিমে বিভক্ত হয়ে এই সফর করেন। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফর করছেন। প্রথমে তিনি বিভাগীয় শহরগুলোতে যান। এখন তিনি জেলা পর্যায়ে সফর করছেন। সর্বশেষ তিনি পাবনা সফরে গিয়ে বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠনের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর এই সফর চলবে। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আবারো বিভাগ ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মীসভা শুরু করবেন। বিরোধপূর্ণ জেলা-মহানগরকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই কর্মী সভাগুলোর মাধম্যে তৃণমূলের নেতাদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ করা হবে বলে জানা গেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনায় অংশ নিতে আওয়ামী লীগের ডজনখানেক কেন্দ্রীয় নেতা সিলেটে যান। সিলেট মহানগর ও জেলা আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় অংশে নেন তারা। সূত্র জানিয়েছে, আলোচনা সভার পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়েছে। সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনের স্থানীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব, বিশ্বাসঘাতকতা ও সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রমাণ পেয়েছিল কেন্দ্রীয় হাই কমাণ্ড। সেগুলো নিয়ে সেখানে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করার নিদের্শ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহ ও গ্রুপিং সহ্য করা হবেনা বলেও হুশিয়ারি দিয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগের হাইকামাণ্ড। জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে  ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে খুব শিগগির সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটি পুর্নগঠিত হতে পারে। মেয়াদউত্তীর্ণ বর্তমান কমিটির শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তন আসতে পারে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা কি করেছেন, দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্বাসঘাতকরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নৌকাকে পরাজিত করেছেন, নৌকা ঠেকানোর নেতৃত্ব কে দিয়েছেন? এসব আত্মবিনাসী প্রতিযোগিতাকারীরা রেহাই পাবেন না। অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সব খতিয়ে দেখছি, দোষ প্রমাণ হলে রেহাই নেই-নৌকার বিরোধিতাকারী যতবড় প্রভাবশালীই হোন না কেন রক্ষা পাবেন না।

   

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;