মিষ্টিকুমড়া বীজের পাঁচ চমকপ্রদ গুণ



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
মিষ্টিকুমড়ার বীজ। ছবি: সংগৃহীত

মিষ্টিকুমড়ার বীজ। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু মিষ্টিকুমড়া নয়, মিষ্টিকুমড়ার বীজও সবজীটির মতোই দারুন সব উপকারিতা বহন করে।

গ্রামাঞ্চলের দিকে বিকালের নাস্তা হিসেবে মিষ্টিকুমড়ার বীজ ভাজা বেশ জনপ্রিয়। শহুরে এলাকার বেশিরভাগ মানুষই এই খাদ্য উপাদানটির ব্যবহারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।

যে কারনে উপকারি এই খাবারটি খাওয়ার প্রচলন তেমনটা দেখাও যায় না। এক্ষেত্রে কিছুটা সাহায্য করার জন্য আজকের ফিচারে আলোচনা করা হলো মিষ্টিকুমড়ার বীজের চমৎকার পাঁচটি উপকারিতা। 

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের কোষকে ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ ও প্রদাহের হাত থেকে রক্ষা করে। যেহেতু শারীরিক বহু সমস্যা তৈরি হয় প্রদাহ থেকে, মিষ্টিকুমড়ার বীজ এক্ষেত্রে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ আরো আছে ভিটামিন-ই, ফেনোলিক উপাদান ও জিংক।

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে

মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড- ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬, যা আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তবে মজার বিষয় হলো, এই এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর নিজ থেকে উৎপন্ন করতে পারে না। যে কারণে খাদ্য উপাদান থেকে প্রয়োজন মাফিক ফ্যাটি অ্যাসিড না পেলে শরীর ও ত্বকের উপর প্রভাব পরে ও চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায়। মিষ্টিকুমড়ার বীজ গ্রহণে ত্বকের বয়সের ছাপ সহজে দেখা দেয় না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537611691085.jpg

চুল পড়া কমায়

এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ৪০০ মিলিগ্রাম মিষ্টিকুমড়া বীজের তেলের ক্যাপসুল নিয়মিত গ্রহণে টাকের সমস্যায় ভোগা ৭৬ জন পুরুষের ৬ মাস পর চুলের বৃদ্ধি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘুমের সমস্যা দূর করে

আপনি কি ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন অথবা আপনার ঘুম কি অনিয়মিত? তবে আজ থেকেই মিষ্টিকুমড়ার বীজ খাওয়া শুরু করুন। কেন মিষ্টিকুমড়ার বীজ? কারণ এতে আছে ট্রিপটোফেন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম- এই তিনটি চমৎকার উপাদান। যা দ্রুত ঘুম আনতে, ঘুমের সময়ের ব্যাঘাত প্রতিরোধ করতে ও অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস দূর করতে কাজ করে।

অন্ত্র সুস্থ রাখে ও কৃমির সমস্যা দূর করে

ছোট শিশুদের মাঝে কৃমির প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তবে বিরক্তিকর ও বিব্রতকর এই সমস্যাটি হতে পারে যে কারোরই। কৃমির সমস্যায় মিষ্টিকুমড়ার বীজ ওষুধের মতো কার্যকরি। কি রয়েছে এই মিষ্টিকুমড়ার বীজে? এতে আছে কাকারবিটিন (Cucurbitine), ফ্যাটি অ্যাসিড, বারবারিন এবং প্যালমাটিন। এই উপাদান সমূহ পাকস্থলীতে কৃমির ডিম ভাঙার প্রক্রিয়া ও কৃমির বংশ বৃদ্ধির উপর প্রভাব বিস্তার করে। ফলে পাকস্থলিস্থ কৃমির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না এবং ধীরে ধীরে মারা যায়।

   

নারী শরীরে থাইরয়েড এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর উপর এর প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইরয়েড হলো একটি ছোট প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি। মানবশরীরের গলায় কণ্ঠমণির ঠিক পেছনে এর অবস্থান। এই ছোট অঙ্গটি শরীরের অ্যান্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বিভিন্ন হরমোনের সংশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে এই অঙ্গ।

বিপাক নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং শারীরিক বৃদ্ধিসহ অনেক অভ্যন্তরীণ শারীরিক কাজে ভূমিকা রাখে থাইরয়েড। এর ফলে এই গ্রন্থি আমাদের হৃদস্পন্দন, পরিপাকতন্ত্র, ওজন এবং মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।

থাইরয়েড মূলত দুটি প্রধান হরমোন তৈরি করে। থাইরক্সিন (টি৪) এবং ট্রায়োডো থাইরোনিন (টি৩)। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি এবং হাইপোথ্যালামাসের নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড এইসব হরমোন উৎপন্ন করে। সেখান থেকেই তা নিঃসৃত হয় এবং সমগ্র শরীরের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের নানাবিধ কাজে থাইরয়েড প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। থাইরয়েডের সক্রিয়তা তাই শরীরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। তবে, থাইরয়েডের উৎপাদনকৃত হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি হরমোন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।  

অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় (হাইপারথাইরয়েডিজম)। ফলে শরীরের বিপাক দ্রুত হয়। হাইপারথাইরয়েডের কারণে ওজন হ্রাস, হাত কাঁপানো এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সমস্যা দেখা যায়। এইজন্য পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা হলো পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে সক্ষম হওয়া। এর কারণে শরীরে ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ধীর হৃদস্পন্দনের মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

এমনকি হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম উভয় কারণেই স্বাভাবিক মাসিক ব্যাহত হতে পারে। মাসিক ধরনের পরিবর্তন হওয় যেমন কম হওয়ার বা একেবারেই না হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

তাছাড়া, সেক্স হরমোনের সাথেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি মায়ের থেকে থাইরয়েঢের হরমোন জনিত জটিলতার কারণে গর্ভের সন্তানের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। যেমন- গর্ভপাত, প্লাসেন্টার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, অকাল জন্ম এবং শিশুর কম বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা।

তাই থাইরয়েডের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন পরীক্ষা করা উচিত।  

;

যেসব খাবার গরম করে খাবেন না



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবার জীবনযাত্রায় ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। আমরা যে খাবারই খাই না কেন, শরীর এবং মস্তিষ্কে তার স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পরে। তাই স্বাস্থ্যে খাদ্যাভাসের বিশেষ প্রভাব পড়ে। এই কারণেই প্রতিদিনের খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়।

বিশ্বব্যাপী খাবার গরম করে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া খাবার গরম করে খাওয়া একদমই উচিত নয়। বিশেষ করে বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার কখনোই গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ সব খাবার গরম করলে ভালো থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ক্লিনিকাল ডায়েটেশিয়ান গরিমা গয়াল এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন এমন কিছু খাবারের নাম যা কখনোই গরম করে খাওয়া যাবে না।

ভাত: চালে ব্যাসিলাস সেরিয়াস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। সাধারণ তাপমাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়া ভাতকে অনেক্ষণ ভালো থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু ভাত বার বার গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের টক্সিন ভাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

চা: বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। চা তে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। এছাড়াও চায়ের স্বাদও অনন্য। স্বাস্থ্য ও রুচিভেদে মানুষ বিভিন্ন রকমের চা সেবন করে থাকে। এতে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। চা যখন বানানো হয় তখন এতে ট্যানিন এবং ক্যাটেচিনের মতো কিছু যৌগ নির্গত হয়। চা আবার গরম করা হলে এতে থাকা ক্যাফিন ঘনীভূত হয়ে। এতে চায়ের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে পিএইচও পরিবর্তন হয়। স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে হানি সৃষ্টি করতে পারে।

মাশরুম গরম করে খাবেন না

মাশরুম: মাশরুম অত্যন্ত উপকারী একটা খাবার হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত আর্দ্রও হয়। এই কারণে ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাশরুমে পলিস্যাকারাইড থাকার কারণে বার বার গরম করায় প্রোটিনগুলো পরিবর্তন হয়ে বিকৃত কাঠামো ধারণ করে।

পালং শাক: পালং শাক অত্যন্ত উপকারী খাদ্য। এতে ভিটামিন রয়েছে, বিশেষ করে ভিটামিন বি এবং সি। রান্না করা পালং শাক বার বার গরম করলে তাপের কারণে এইসব ভিটামিনের গঠন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় ভিটামিনের পুষ্টিমানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও শাকে নাইট্রেট থাকে। পুনরায় গরম করা হলে তা নাইট্রাইটে পরিণত হয় । এছাড়াও পালং-এ থাকা উদ্ভিদ ভিত্তিক আয়রন প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

তেল: রান্নার সময় যখন তেল প্রথমবার ব্যবহার করা হয় তখন তা কড়াইতে ঢেলে কিছুটা গরম করে নেওয়া হয়। একবার গরম করে ঠান্ডা হওয়া তেল আবার গরম করে রান্না করলে সেটা রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। বারবার গরম-ঠান্ডা চক্র অতিবাহিত করা তেলের মধে্‌য ট্রান্স ফ্যাট এবং অ্যালডিহাইড ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়। এতে খাবারের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হতে পারে।

 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস                   

;

ঈদে ভিন্নধর্মী নবাবী নাটি সেমাই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নবাবী নাটি সেমাই

নবাবী নাটি সেমাই

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানেই আনন্দ। পবিত্র রমজান মাস শেষে স্বস্তির নামাজ আদায় করে ঈদ উদযাপনে মেতে ওঠে সবাই। ভালো-মন্দ খাবার ছাড়া ঈদ যেন অসম্পূর্ণ, আর মিষ্টি ছাড়া তো কল্পনাও করা যায়না। ঈদে মিষ্টি মুখ মানেই সেমাই। প্রতিবার সেই একই দুধে ভেজা সেমাই না করে এবার ঈদে হোক ভিন্ন কিছু। জেনে নিই, কিভাবে রাধবেন নবাবী নাটি সেমাই:
সেমাই রান্না করতে আমাদের লাগবে-
১. লাচ্ছা সেমাই, ২. লিকুইড খাঁটি গরুর দুধ (জ্বাল করে ঠান্ডা করা), ৩. ঘি, ৪. কাজুবাদাম, ৫. পেস্তা বাদাম, ৬. কাঠবাদাম, ৭. গুড়া দুধ, ৮. চিনি, ৯. কর্ন ফ্লাওয়ার, ১০. টিন ক্রিম, ১১. কাস্টার্ড পাউডার, ১২. কনডেন্স মিল্ক, ১৩. কিসমিস।

পদ্ধতি: 
১. প্রথমে একটি বড় ফ্রায়িংপ্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি নেই। তাতে কুচি করে রাখা ১/৪ কাপ কাজুবাদাম, ১/২ কাপ কাঠবাদাম এবং ১/৪ কাপ পেস্তা বাদাম কুচি ঢেলে দেই। হাল্কা রঙ করে ভেজে নেই। বাদামগুলো তুলে নেই। একই প্যানে ৩ টেবিল চামচ মাখন বা ঘি দিয়ে দিন। (তেল ব্যবহার করা যাবে না)।
২. গরম ঘি-তে ৪০০ গ্রাাম লাচ্ছা সেমাই এবং ৪ টেবিল গুড়া দুধ নিব। এর সাথে ১/২ কাপের বেশি চিনি দিন। সবকিছু একত্রে ভেজে নিব। চিনি গলে মিশে যাওয়া অবধি মিশিয়ে নেই। ভালোভাবে মিশিয়ে নেই।
৩. সার্ভিং প্লেট বা বোলে ২/৩ তৃতীয়াংশ ভাজা সেমাই তুলে রাখি। সমান ভাবে ছড়িয়ে দিয়ে লেয়ারের মতো তৈরি করে বিছিয়ে নেই। বাকি ভাজা সেমাইগুলো সরিয়ে রাখি।
৪. ফিলিং তৈরি করতে, প্রথমে ১ লিটার জ্বাল করে ঠান্ডা করে নেওয়া ল্কিুইড দুধ নেই। তাতে ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার দেই। ১টি টিন-ক্রিমের ২/৩ অংশ দিন। তার সাথে ২ টেবিল কাস্টার্ড পাউডার, ৪ টেবিল চামচ গুড়া দুধ এবং ১/২ কাপ কনডেন্স মিল্ক (স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে/কমিয়ে নিন) নিয়ে নিন।
৫. সব ভালোভাবে মিশিয়ে চুলা ধরিয়ে জ্বাল করে নিন। অল্প আঁচে রান্না করতে থাকুন। এভাবে জ্বাল করে নাড়তে নাড়তে ঠান্ডা করে নিন। সার্ভিং বোলে বিছিয়ে রাখা সেমাইয়ের উপর গরম অবস্থাতেই পুরো মিশ্রন ঢেলে দিন।
৬. দুধের মিশ্রনের উপর বাকি রেখে দেওয়া সেমাইগুলোও দিয়ে দেই। এর উপর কাজু, কাঠ এবং পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে দিই। সাথে আস্ত কিসমিসও দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করি।

;

ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে

ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে ঈদের মৌসুম। ঈদ উপলক্ষ্যে সকলেই বিভিন্ন নতুন পোশাকে সেজে ওঠে। ঈদের দিন পোশাক হতে হবে সুন্দর এবং আরামদায়ক। ঈদের পোশাকের বেলায় ফ্যাশনের দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়।

সাধারণত ঈদের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি একই পোশাক পরে থাকতে হয়। তাই পোশাক সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি হতে হবে আরামদায়ক। জেনে নিই, ঈদের পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলেরা মাথায় রাখতে হবে-

ঈদে ঐতিহ্যবাহী পোশাক

১. ঐতিহ্য: ঈদের জন্য সবচেয়ে উত্তম হলো ঐতিহ্যবাহী পোশাক। ইসলাম ধের্মে পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশ জোড়ালো ভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যারা বোরখা পড়েন না, তারাও এতিহ্ডবাহী শালীন পোশাক পরে পবিত্র ঈদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারেন। জাঁকজমক শাড়ি বা কারুকাজ খচিত সালোয়ার কামিজ ঈদে উৎসবের ছোঁয়া এনে দেয়। তবে কাপড় অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে। সেইজন্য মখমল, সিল্ক বা সিফনের মতো সমৃণ কাপড় বাছাই করুন।

২. রঙ: পোশাকের রঙে অনেক ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠানের আমেজ ফুটে ওঠে। উজ্জ্বল রঙ উৎসবের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলে। তাই ঈদের মতো আনন্দ উৎসবে সাদামাটা নয়, বরং উজ্জ্বল রঙ বেছে নিন। যেমন: লাল, বা মেটালিক রঙ (যেমন:সোনালী,রুপালি), মেরুন, হলুদ, কমলা, নীল, সবুজ ইত্যাদি।

ঈদের পোশাক

৩. কারুকার্য: পোশাকে কারুকাজ পুরো লুকই পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। সিম্পল কাপড়ের উপর গ্ল্যামারাস সূক্ষ্ণ কাজও উৎসবের আভা ফুটিয়ে তোলে। এজন্য সিকুইন্সের কাজ, অ্যাম্ব্রোডারি, সুই-সুতা ও স্টোনের কাজের পোশাক বাছাই করে নিন।

৪. অস্বস্তি: অনেক সুন্দর পোশাক পরেও যদি আপনি স্বস্তিবোধ না করেন তা ঈদের লুক নষ্ট করতে যথেষ্ট। যেহেতু দীর্ঘসময় একই পোশাকে থাকতে হবে তাই পোশাকের ক্ষেত্রে আরাম অনুভব করার ব্যাপারে আপোষ করা উচিত নয়।

ঈদের সাজ 

৫. সাজগোজ: নারীদের ক্ষেত্রে সাজগোজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঈদের দিন পোশাকের সাথে সাজগোজ অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। জমকালো পোশাকের সাথে হালকা সাজলে ভালো মানায়। গহনা এবং হ্যান্ডব্যাগে কিছুটা নিজস্বতার ছোঁয়া রাখুন। বাইরে ঘুরতে বের হলে বেশি উচ্চতাসম্পন্ন হির ব্যবহার না করাই ভালো।    

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

                       

 

;