ফাগুনের আমেজে আসবে ভালোবাসা দিবস
‘বসন্ত এসে গেছে ...’ গানের সুরে সুরে বলা যায় যে, বসন্ত এখন এসেই গেছে।
আজকের দিনের প্রথম প্রহর থেকেই চারদিকে বসন্তের সাজ সাজ আভাস। আর এই আভাসের রেশ কাটতে না কাটতেই আগামীকাল চলে আসবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আমেজ।
বসন্তের রঙকে বসনে জড়িয়ে সকলেই বেরিয়েছেন কাজে কিংবা অবসর যাপনে। তবে অনেকেই হয়তো অতিরিক্ত ব্যস্ততার দরুন বসন্ত বরণ উৎসবের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। তাতেও মন খারাপের কিছু নেই। নিজের পছন্দসই হলুদ-বাসন্তী জামা পরে এবং আশেপাশের সকলের হলুদাভ পোশাকের আমেজে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দিনটি কাটিয়ে দেওয়া যাবে।
যেহেতু আজকের দিন ও আগামীকাল- উভয় দিনেই উৎসবের উপলক্ষ রয়েছে, নিজেকে তার সঙ্গে মানিয়ে গোছাতে ও উপস্থাপন করতে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে নিজের জন্যেই সুবিধা হবে।
আজকে যদি শাড়ি পরার পরিকল্পনা থাকে, তবে আগামীকালের জন্য ফতুয়া কিংবা থ্রি-পিস রাখতে পারেন। ছেলেদের মাঝে অনেকেই আজকে পাঞ্জাবী, ফতুয়া পরবেন। সেক্ষেত্রে আগামীকালের জন্য ফরমাল শার্ট হবে উপযুক্ত পছন্দ।
তবে পরপর দু’দিনেই যদি শাড়ি ও পাঞ্জাবী পরার পরিকল্পনা থাকে, সেক্ষেত্রে পোশাকের রঙ বাছাইয়ের দিকে নজর দিতে হবে। বসন্তের শাড়ি বা পাঞ্জাবী যদি হালকা রঙের হয়, তবে ভালোবাসা দিবসের পোশাক কন্ট্রাস্ট রঙ কিংবা গাড় রঙের রাখতে হবে।
নারীদের সাজের ক্ষেত্রে বলতে হবে, খুব বেশি প্রকটের সাজের প্রয়োজন নেই। ন্যাচারাল লুকের সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিক দেওয়া যেতে পারে। তবে পোশাকে লালের আধিক্য থাকলে লালচে শেডের লিপস্টিক ভালো মানাবে। মনে রাখতে হবে, হালকা সাজের জন্য চেহারায় যেন নিস্প্রভ ভাব কাজ না করে।
সেই সঙ্গে চিরাচয়িত টিপ-চুড়ি তো থাকবেই। ছোট একটি লাল টিপের সঙ্গে দু’হাতে কয়েক গাছি চুড়ি, পুরো সাজকেই জাঁকজমক করে তুলবে।
তবে ভালোবাসা দিবসের জন্য প্রস্তুত হতে চাইলে একটু ভারি সাজ দেওয়া যেতেই পারে। গাড় রঙের পোশাকের সঙ্গে একেবারেই হালকা সাজ বেমানান দেখাবে।
বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসটি সবার জন্য ভালো ও আনন্দে কাটবে এমনটাই প্রত্যাশা।