বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া অতিথিবৃন্দ।

ছবি: মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া অতিথিবৃন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কর্তৃক, ইউএসএআইডি এবং চ্যালেঞ্জ টিবি বাংলাদেশ (সিটিবি) প্রজেক্টের সহযোগিতায়, জাতীয় পর্যায়ের একটি মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগ এর আয়োজন করা হয় গতকাল রোববার (২৪ মার্চ)।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহের পর্যালোচনার জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, নীতিনির্ধারকবৃন্দ, বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ শতাধিক অংশগ্রহণকারী উক্ত সংলাপে অংশ নেন।

প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে একটি শক্তিশালী বক্তব্য নিয়ে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ বছরের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য “It's Time” এর সাথে মিল রেখে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) কর্তৃক বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “It's time to end TB in Bangladesh” যার বাংলা অনুবাদ “এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার”।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506113775.jpg

২৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত পলিসি ডায়ালগটি ছিল জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি সহ বিভিন্নক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ের একটি নীতিনির্ধারণী সংলাপ। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রফেসর (ডাঃ) মোঃ শামিউল ইসলাম, পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডিরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সকল অংশগ্রহনকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং UN HLM এর লক্ষ্য অর্জণে সারাদেশে যক্ষ্মার সেবা কার্যক্রমের প্রতি দৃষ্টি প্রদান করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি চলমান কর্মসূচির নীতিমালা ও অগ্রাধিকার, যক্ষ্মা মোকাবেলায় বিগত দশকগুলোতে অর্জিত সাফল্য ও এখন পর্যন্ত বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরেন।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে ডঃ শামসুল অলম, সদস্য (সিনিয়র সচিব), জিইডি, পরিকল্পনা কমিশন, মিঃ আর্ল আর মিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত, অধ্যাপক ডাঃ খান আবুল কালাম আজাদ, প্রিন্সিপাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ডিন, মেডিকেল অনুষদ, প্রফেসর ডা: ইকবাল অর্সলান, প্রাক্তন ডীন ও মহাসচিব, বিএমএ এবং ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রমুখ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506129641.jpg

আলোচ্য বিষয়সমূহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলো বিদ্যমান সম্পদসমূহের সংহত ব্যবহার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি; শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন; ব্যক্তিখাত ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধীবৃন্দকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্তকরন; যক্ষ্মা মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ; যক্ষ্মা খুঁজে বের করা, চিকিৎসা প্রদান ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে সুশীল সমাজের আরো স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ ইত্যাদি।

বর্তমান যক্ষ্মা রোগ পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার প্রদান করে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রতিশ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা এবং জোরালো ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ যক্ষ্মা মোকাবেলায় সম্ভাব্য সুযোগ অনুসন্ধান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের বিষয়ে একমত হন। সংলাপে অংশগ্রহণকারীবৃন্দ যক্ষ্মারোগ মোকাবেলায় নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের, বিশেষ করে মার্কিন সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506148646.jpg

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, ডাঃ মুরাদ হাসান, এম পি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, উক্ত নীতিনির্ধারণী সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের যক্ষ্মা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ে সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের চলমান যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচিকে সমর্থন প্রদান ও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখার জন্য ইউএসএআইডি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি সারাদেশে যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্প্রসারনের জন্য জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্থানীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের জন্য আরো জোরদার উদ্যোগ গ্রহণে ও যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরীতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506231862.jpg

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি. আর্ল আর মিলার ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, 'আমেরিকান সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশে বিগত দশ বছরেও যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এখানে এবং সারা বিশ্বে সম্মিলিত লক্ষ অর্জনে আমেরিকান সরকার সকল দেশ এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।

সংলাপ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জনাব আসাদুল ইসলাম, সম্মানিত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রফেসর (ডাঃ) মোঃ শামিউল ইসলাম, পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডিরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জনাব জি এম সালেহ উদ্দিন, সম্মানিত সচিব, মেডিকেল এডুকেশন ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাঃ মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসাসিয়েশন (বিএমএ), ডাঃ এডউইন সি সালভাদর, ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ, মি. ডেরিক ব্রাউন, মিশন ডিরেক্টর, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ, ডাঃ পুষ্পিতা সামিনা, ক্লিনিক্যাল সার্ভিস লিড, অফিস অব পপুলেশন, হেল্থ, নিউট্রিশন এন্ড এডুকেশন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ, ডাঃ অস্কার কর্ডন, কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর, চ্যালেঞ্জ টিবি প্রজেক্ট, বাংলাদেশ, এমএসএইচ, আইআরডি এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

   

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;

নারী শরীরে থাইরয়েড এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর উপর এর প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইরয়েড হলো একটি ছোট প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি। মানবশরীরের গলায় কণ্ঠমণির ঠিক পেছনে এর অবস্থান। এই ছোট অঙ্গটি শরীরের অ্যান্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বিভিন্ন হরমোনের সংশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে এই অঙ্গ।

বিপাক নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং শারীরিক বৃদ্ধিসহ অনেক অভ্যন্তরীণ শারীরিক কাজে ভূমিকা রাখে থাইরয়েড। এর ফলে এই গ্রন্থি আমাদের হৃদস্পন্দন, পরিপাকতন্ত্র, ওজন এবং মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।

থাইরয়েড মূলত দুটি প্রধান হরমোন তৈরি করে। থাইরক্সিন (টি৪) এবং ট্রায়োডো থাইরোনিন (টি৩)। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি এবং হাইপোথ্যালামাসের নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড এইসব হরমোন উৎপন্ন করে। সেখান থেকেই তা নিঃসৃত হয় এবং সমগ্র শরীরের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের নানাবিধ কাজে থাইরয়েড প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। থাইরয়েডের সক্রিয়তা তাই শরীরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। তবে, থাইরয়েডের উৎপাদনকৃত হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি হরমোন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।  

অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় (হাইপারথাইরয়েডিজম)। ফলে শরীরের বিপাক দ্রুত হয়। হাইপারথাইরয়েডের কারণে ওজন হ্রাস, হাত কাঁপানো এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সমস্যা দেখা যায়। এইজন্য পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা হলো পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে সক্ষম হওয়া। এর কারণে শরীরে ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ধীর হৃদস্পন্দনের মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

এমনকি হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম উভয় কারণেই স্বাভাবিক মাসিক ব্যাহত হতে পারে। মাসিক ধরনের পরিবর্তন হওয় যেমন কম হওয়ার বা একেবারেই না হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

তাছাড়া, সেক্স হরমোনের সাথেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি মায়ের থেকে থাইরয়েঢের হরমোন জনিত জটিলতার কারণে গর্ভের সন্তানের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। যেমন- গর্ভপাত, প্লাসেন্টার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, অকাল জন্ম এবং শিশুর কম বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা।

তাই থাইরয়েডের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন পরীক্ষা করা উচিত।  

;

যেসব খাবার গরম করে খাবেন না



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবার জীবনযাত্রায় ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। আমরা যে খাবারই খাই না কেন, শরীর এবং মস্তিষ্কে তার স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পরে। তাই স্বাস্থ্যে খাদ্যাভাসের বিশেষ প্রভাব পড়ে। এই কারণেই প্রতিদিনের খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়।

বিশ্বব্যাপী খাবার গরম করে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া খাবার গরম করে খাওয়া একদমই উচিত নয়। বিশেষ করে বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার কখনোই গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ সব খাবার গরম করলে ভালো থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ক্লিনিকাল ডায়েটেশিয়ান গরিমা গয়াল এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন এমন কিছু খাবারের নাম যা কখনোই গরম করে খাওয়া যাবে না।

ভাত: চালে ব্যাসিলাস সেরিয়াস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। সাধারণ তাপমাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়া ভাতকে অনেক্ষণ ভালো থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু ভাত বার বার গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের টক্সিন ভাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

চা: বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। চা তে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। এছাড়াও চায়ের স্বাদও অনন্য। স্বাস্থ্য ও রুচিভেদে মানুষ বিভিন্ন রকমের চা সেবন করে থাকে। এতে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। চা যখন বানানো হয় তখন এতে ট্যানিন এবং ক্যাটেচিনের মতো কিছু যৌগ নির্গত হয়। চা আবার গরম করা হলে এতে থাকা ক্যাফিন ঘনীভূত হয়ে। এতে চায়ের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে পিএইচও পরিবর্তন হয়। স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে হানি সৃষ্টি করতে পারে।

মাশরুম গরম করে খাবেন না

মাশরুম: মাশরুম অত্যন্ত উপকারী একটা খাবার হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত আর্দ্রও হয়। এই কারণে ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাশরুমে পলিস্যাকারাইড থাকার কারণে বার বার গরম করায় প্রোটিনগুলো পরিবর্তন হয়ে বিকৃত কাঠামো ধারণ করে।

পালং শাক: পালং শাক অত্যন্ত উপকারী খাদ্য। এতে ভিটামিন রয়েছে, বিশেষ করে ভিটামিন বি এবং সি। রান্না করা পালং শাক বার বার গরম করলে তাপের কারণে এইসব ভিটামিনের গঠন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় ভিটামিনের পুষ্টিমানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও শাকে নাইট্রেট থাকে। পুনরায় গরম করা হলে তা নাইট্রাইটে পরিণত হয় । এছাড়াও পালং-এ থাকা উদ্ভিদ ভিত্তিক আয়রন প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

তেল: রান্নার সময় যখন তেল প্রথমবার ব্যবহার করা হয় তখন তা কড়াইতে ঢেলে কিছুটা গরম করে নেওয়া হয়। একবার গরম করে ঠান্ডা হওয়া তেল আবার গরম করে রান্না করলে সেটা রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। বারবার গরম-ঠান্ডা চক্র অতিবাহিত করা তেলের মধে্‌য ট্রান্স ফ্যাট এবং অ্যালডিহাইড ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়। এতে খাবারের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হতে পারে।

 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস                   

;