কেনাকাটা বাড়ছে অনলাইনে
কোথাও বেরিয়ে মার্কেট করার সময়টা কোথায়! এখন মোবাইল স্ক্রিনেই ভেসে ওঠে জামা-কাপড়ের বিশাল হাট-বাজার। ফেসবুক ঘাঁটলেই সামনে এসে দাঁড়ায় পছন্দের পণ্য। আর অর্ডার করে দেয়া যায় তখনই। এমনভাবেই কেনাকাটা করছেন অনেকে।
গেল কয়েক বছরে বাইরের দেশের মতো বাংলাদেশেও অনলাইন কেনাকাটার ট্রেন্ড চালু হয়েছে। মার্কেটে ঘুরতে হবে না আর সময়ও বাঁচলো- এসব নানা কারণে অনলাইনে শপিং জনপ্রিয়তা পাচ্ছে প্রতিদিন।
ইন্টারনেটভিত্তিক এই বাজারে শাড়ি, থ্রিপিস, শার্ট, পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে জুতা, ঘড়ি, গয়না, টুপি, আতর, জায়নামাজ সবই পাওয়া যাচ্ছে। দোকান বা শপিং মলে যেভাবে পরখ করে পছন্দের পণ্যটি কেনা হয়, ঠিক সেভাবে অনলাইন শপে ঢুকে ছবি বা দাম দেখে অনলাইনে অর্ডার নেওয়া হয়। অনলাইন শপিং উদ্যোক্তারাও এতে লাভবান হচ্ছেন। ঈদ সামনে রেখে এসব অনলাইন মার্কেটের বেচাকেনা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
অনলাইন মার্কেটে মেয়েদের পোশাক এবং সাজসজ্জার উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। থ্রিপিস আর শাড়ির ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পণ্য এনে বিক্রি করছেন বেশিরভাগ বিক্রেতা।
অনলাইনে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পেজ খুলেও চলছে কেনাবেচা। ফেসবুকে এমন একটি পেজের নাম আদ্রিতা’স Adrita's। পেজটিতে রয়েছে ৩২ হাজারের বেশি লাইক। এখানে কেবল মেয়েদের পোশাক বিক্রি করা হয়।
হাল ফ্যাশন ও পণ্যের গুণাগুন ভালো থাকায় ক্রেতার একটি বিশ্বস্ত ঠিকানা হয়ে গেছে আদ্রিতা’স। যে কারণে পণ্য আপলোড করার ঘন্টা খানেকের মধ্যে সেগুলো শেষ হয়ে যায়-বলছিলেন আদ্রিতা’স পরিচালনাকারী কামরুন নাহার কাকলী।
কিন্তু এসব মার্কেট কতটা আস্থা অর্জন করেছে? জানতে চাইলে কাকলী বলেন, ‘ডেলিভারির সময় অর্ডার দেয়া জিনিস পেয়ে যাচাই করারও সুযোগ রয়েছে।
পছন্দসই জিনিস না পেলে অর্ডার বাতিল করা যায়। এজন্য আস্থা বা বিশ্বাস না করার কোন কারণ নাই।সাধারণত কাপড়ের ক্ষেত্রে ২৫’শ থেকে ৪ হাজারের মধ্যে অনলাইনে বেশি যায়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে যেসব অনলাইন মাকেটে কেনাবেচা হয় তার বেশিরভাগই ক্যাশ অন ডেলিভারি। এদিকে ফেসবুক ভিত্তিক কিছু ভুয়া পেজ এ সুযোগে গড়ে উঠেছে যারা ক্রেতাদের কাছে নিম্নমানের পণ্যও সরবরাহ করে। কিন্তু এসব অভিযোগ জানানোর সুনির্দিষ্ট স্থান নেই।দেশে অনলাইন শপিং নীতিমালাও নেই। তারপরও দেশের অনলাইন বাজারে কেনাকাটা করতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন ক্রেতাদের একটা বড় অংশ।
দেখা গেছে, অনলাইনে ক্রেতা পেতে নামকরা ব্র্যান্ডশপগুলো ঝুঁকছে অনলাইন মার্কেটে। আড়ং, ক্যাটস আই , সহ অনেক পরিচিত ব্র্যান্ডের অনলাইন ব্রান্ডিং ও কেনাকাটার সুযোগ চালু করেছে।
রকমারি.কমের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে বই কেনার সবচেয়ে বড় সাইট তাদের। এমন কোন বই নেই যা তাদের সংগ্রহে নেই। এমনকি সর্বশেষ প্রকাশ হওয়া বইটিও পাওয়া যাবে তাদের কাছে।
এই ঈদে বহু মানুষ কেনাকাটা করছেন অনলাইন মার্কেট থেকেই। দ্রুত গতিতে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই মাধ্যমের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই লাভবান হবেন বলে আশা করা যায়।