শুক্রবার রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ/ ছবি: সংগৃহীত

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ/ ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল ২১ জুন শুক্রবার তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা কবিতায় অবিসস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রুদ্র স্মৃতি সংসদ কবির গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মিঠাখালীতে শোভাযাত্রা সহকারে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও স্মরণ সভার আয়োজন করবে। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও রুদ্রের গান পরিবেশিত হবে।

বিজ্ঞাপন

 

অকালপ্রয়াত এই কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্য চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকবোধে উজ্জ্বল তাঁর কবিতা। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’ এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন ‘দিন আসবেই দিন সমতার’।

বিজ্ঞাপন

যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীকে’। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।

মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্য নাট্য ও ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা করেছেন। এমনকি একাধিক গানে সুরারোপও করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।

‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।