শাজাহান খানের চ্যালেঞ্জ: সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু চালক দায়ী নয়



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
সংসদে শাজাহান খান, ছবি: সংগৃহীত

সংসদে শাজাহান খান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কমিটি গঠন করায় সংসদে সমালোচনা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন শাজাহান খান।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।

তিনি বলেন, ‘বদিকে দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ, শাজাহান খান-কে দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা। গতবার শাজাহান খানের এক হাসি নিয়ে কতকিছু ঘটলো। সেই শাজাহান খানকে প্রধান করে গঠিত কমিটি সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কতটা সক্ষম হবে।’

পরে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শাজাহান খান কার্যপ্রণালী বিধির ২৭৪ বিধিতে ব্যক্তিগত কৈফিয়ত দেন তিনি। এসময় তিনি ফখরুল ইমাদের বক্তব্যকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি (ফখরুল ইমাম) মাদক ব্যবসা আর সড়ক দুর্ঘটনাকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে আমার সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছেন যা অত্যন্ত দু:খজনক এবং নিন্দনীয়। তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি স্পিকারকে ওই বক্তব্য এক্সপান্স অথবা ফখরুল ইমামকে প্রত্যাহারের দাবি জানান’।

ব্যক্তিগত কৈফিয়ত দিতে যেয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক দায়ী, এটা ঠিক না। তারপরেও আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমরা কিছু কার্যকর ব্যবস্থা নেব, আমি আশা করি দুর্ঘটনার হার আরও কমবে। দায়-দায়িত্ব নিয়েই কথা বলছি।’

শাজাহান খান বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আমাকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী করা হয়। তখন আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ আমার সম্পর্কে একটা মন্তব্য করেছিলেন যার হাতে সড়ক পরিবহন জিম্মি তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নৌ পরিবহনের।’

চার বছর পর তার সঙ্গে এক টক শোতে দেখা হয়, তখন তাকে বলেছিলাম আপনার কী ভুল ভেঙেছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় আগের সেই পরিবেশ পরিস্থিতিতে নেই। দুর্ঘটনা কমে এসেছে, গত সাড়ে ৪ বছরে একটা লঞ্চ ডুবিও হয় নাই। আর আগে প্রতিবছর একটা দুই লঞ্চ দুর্ঘটনা হতই, কিন্তু সাড়ে ৪ বছরে একটিও হয়নি। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ সেদিন এই কথার উত্তর দেইনি। আমি মনেকরি ফখরুল ইমামকে আবার একদিন এখানে দাঁড়িয়ে বলতে হবে তার মন্তব্য কতবড় ভুল এবং ভ্রান্ত, উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সড়ক পরিবহন সেক্টর অত্যন্ত বিশৃঙ্খলা অবস্থায় ছিল এখন তার চেয়ে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আমি এই সেক্টরে ১৯৭২ সাল থেকে শ্রমিক রাজনীতি করি। শ্রমিকদের পক্ষে কথা বললে অনেকের গায়ে লাগতে পারে।’

এসময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক এবং ইউনিসেফ এর প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, ‘তারা ১৯২ টি দেশের উপর প্রতিবেদন করেছে। সেই প্রতিবেদনে ২০১১ সালে আমাদের অবস্থান ছিল ৯০তম তখন দুর্ঘটনার হার ছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আর তিন বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে সেই হার কমে এসেছে, তখন দুর্ঘটনার হার ছিল ১২ দশমিক ৬ শতাংশ আমাদের দেশের অবস্থান ১০৯তম। কাজেই যারা বলেন দুর্ঘটনা বেড়েছে কথাটি সঠিক না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০০২ সালে ৪ হাজার ৯১৮ টি দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩৯৮ জন নিহত হয়েছিল। আর শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০১৫ সালে ২ হাজার ৩৯৩টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এরশাদের আমলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অনেক সুপারিশমালা ছিল একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে যেসকল সুপারিশ করা হয়েছিল তার অনেকাংশেই বাস্তবায়িত হয়েছে।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা হ্রাস করার জন্য দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে এই কথা যদি কেউ বলে সেটা হবে বিভ্রান্তি। পৃথিবীর কোনো দেশ নেই। যেই দেশে কম বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আমাদের সময় দুর্ঘটনা কমেছে, দুর্ঘটনা আরও কমিয়ে আনতে হবে। সেজন্য যে কাজটি করতে হবে সেখানে শতাধিক প্রতিনিধি তাদের উপস্থিতি সভাটা হয়, সেখানে আমার নাম প্রস্তাব করা হলে কেউ তো প্রতিবাদ করেনি। কেন করে নাই আমি একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলাম। আগে ট্রাকের সামনে দুই সিট পর্যন্ত বাম্পার ছিল তারপর ছিল হুক। এখন কোনো ট্রাকে বাম্পার আছে? এটাও আমাদের সুপারিশ ছিল।’

শাজাহান খান বলেন, ‘২০১৩ সালে গার্মেন্টস নিয়ে যখন জ্বালাও পোড়াও হচ্ছিলো তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেন। আমি তখন শ্রমিকদের সংগঠিত করে কাজ করেছি। এর ফলে ২০১৩ সালের পর গার্মেন্টস সেক্টরেও বড় ধরণের কোন জ্বালাও পোড়াও হয়নি।’

‘আরিচা রোডে সমাজকল্যাণ সচিব সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন। সে রিপোর্ট আমার কাছে আছে। ওই দুর্ঘটনায় চালক দায়ী নয়। তাহলে এই দুর্ঘটনার দায়িত্ব কার হবে। এরপরও যদি ওই চালককে দায়ী করা হয় এটা ঠিক নয়।’

শাজাহান খান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নেব। এতে দুর্ঘটনা আরও কমে যাবে। আমি ফখরুল ইমামকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;