'বাড়ি ভাড়া না পেয়ে ৩ মাস রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি'



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
সংসদে মাহী বি চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

সংসদে মাহী বি চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি’র দুঃশাসনের বর্ণনা করেন ওই দলেরই সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলটির সাবেক মহাসচিব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পুত্র মাহী বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'আমার বাবাকে অবৈধভাবে, অসাংবিধানিকভাবে অপসারণ করার পর ওই বছর ৩০ এপ্রিল ভোর রাতে তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আমাদের বাড়িতে হামলা করা হয়। আমরা এক কাপড়ে যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি তারপর তিন মাস আমরা বারিধারায় একটি বাড়ি ভাড়া করার চেষ্টা করেছি। যেখানে গেছি তৎকালীন সরকারের এজেন্সি তাদের বাড়ির মালিকদের হুমকি দিয়েছে। বারণ করেছে বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার জন্য। তিন মাস পথে পথে ঘুরেছি। আমাদের একটি বাড়ি ভাড়া করতে দেওয়া হয় নাই।'

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্যের শেষে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ সবাই তাকে প্রশংসা করেন। এমনকি আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যরা তাকে দুই দফা সময় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্পিকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

মাহী বি চৌধুরী বলেন, 'আমার মা তো রাজনীতি করেন না, আমার বোনরা রাজনীতি করে না। আমার স্ত্রী রাজনীতি করেন না। সেদিন তারা বার বার আমাকে প্রশ্ন করেছেন ঘুমন্ত অবুঝ শিশুদের আগুনের পোড়ানোর রাজনীতি। এটা কেমন রাজনীতি? কেন এতো ক্ষোভ, এতো রাগ, কিসের জন্য? আমরা জবাব দিতে পারিনি। আজকে ১২ বছর পেরিয়ে গেছে। ৩০ এপ্রিলের ঘটনায় আমরা একটা মামলা করেছিলাম সেই মামলার অগ্রগতি দূরের কথা একটি তদন্ত রিপোর্টও দেওয়া হয়নি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মামলাটির যেন তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।'

বিএনপি’র দুঃশাসনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'বিকল্পধারা জন্মের পর কিভাবে মহাখালীতে আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়। ২০০৬ সালের প্রথম দেড় বছরে আমাকে ২৯ বার শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমি বাংলাদেশের যেখানে গেছি আমার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমি নিউইয়র্কে গেছি প্রবাসীদের অনুষ্ঠানে সেখানে আমার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের মহাসচিবের সাতটা ফ্যাক্টরিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমরা ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা দেখেছি। আমরা বাংলা ভাই জঙ্গিবাদের উত্থান দেখেছি। মেধাবী রাজনীতিবিদ শাহ এ এসএম কিবরিয়ার ঝলসানো খণ্ড-বিখণ্ড শরীর দেখলাম। আহসান মাস্টার নিথর দেহ দেখলাম। বিরোধী দলীয় নেতাকে হত্যার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দেখলাম।'

বাড়ি থেকে উচ্ছেদের বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'আমার বাবা বারিধারা ১২ নং রোডের বাসায় থাকতেন। আমিও থাকতাম। ৩০ এপ্রিল ভোর তিনটার সময় দোতলা এবং তিন তলার জানালা ভেঙে গান পাউডার দিয়ে পুরো বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। আমি ৪৫ ঘণ্টা লড়াই করে আমার পরিবার এবং বাবা-মাকে রক্ষা করলাম। পরের দিন সংসদে আমি এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে প্রতিবার করার চেষ্টা করেছি আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।'

যুক্তফ্রন্ট গঠনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের আদর্শের হয়তো মিল নেই। কিন্তু যখন স্বাধীনতা বিরোধীদের কথা আসবে, যখন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এর কথা আসবে। যখন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্ন আসবে তখন আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।'

মাহী বলেন, '২০০২ সালে ১৮ এবং ১৯ জুন বিএনপি’র সংসদীয় দলের সভায় ৭ ঘণ্টা ধরে একতরফা ভাবে মিথ্যাচার করা হল । আমি সেই সভায় বসে ছিলাম। বসে বসে দেখেছি ছোট বেলা থেকে যাদের দেখেছি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে পিতৃতুল্য নেতা হিসেবে গণ্য করত। তারা সেদিন কি হিংসার বিষ বাষ্প হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। অকথ্য ভাষায় মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি’র তরুণ তুরকিরা বিচার বহির্ভূতভাবে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন। কিন্তু কি সেই ষড়যন্ত্র কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? ষড়যন্ত্র করে কোথায় যাবে কি উদ্দেশ্য তার কিছুই ব্যাখ্যা করা হলো না। বার বার বলা হলো ষড়যন্ত্র।'

তিনি আরও বলেন, 'যখন থেকে আমার বুদ্ধি হয়েছে, বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আওয়ামী লীগকে বিপক্ষ রাজনীতি হিসেবেই দেখে আসছি। তারপরও আজকে বিশেষ প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। আমাদের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে একটা কনফিউশনের সৃষ্টি হয়েছে। সেই কনফিউশনের সুযোগে পরাজিত শক্তি এখনও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।'

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;