সংসদে সরকারের কড়া সমালোচনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
সংসদে মুজিবুল হক চুন্নু, ছবি: সংগৃহীত

সংসদে মুজিবুল হক চুন্নু, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এজন্য রাষ্ট্রপতির ভাষণকে পূর্ণাঙ্গ ভাষণ মানতে নারাজ তিনি।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দশম সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, 'এই সরকারের অর্জন আছে, সাফল্য আছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে শুধু অর্জন এবং সাফল্য সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনো অনেক সমস্যা, যে সমস্যার কারণের মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে। বিষয়টা থাকলে ভাষণটা পূর্ণাঙ্গ হত।'

ভূমিমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে বলেন, 'জাতীয় পার্টি এখন গণতান্ত্রিক দল, বিরোধী দলে আছে। কিন্তু যখন সরকারে ছিল তখন স্বৈরাচারী দল। আমরা যখন বিরোধী দলে তখন গণতান্ত্রিক। আর যখন সরকারে ছিলাম তখন স্বৈরাচার। যখন যার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে ভাল লাগে, যখন সম্পর্ক থাকে না তখন কেউ স্বৈরাচার হয়ে যায়। কেউ স্বৈরশাসক হয়ে যায়।'

নিজেদের দল জাতীয় পার্টি নিয়ে বিভিন্ন জনের সমালোচনার জবাব দিতে যেয়ে গাধার গল্প শোনান। তিনি বলেন, 'যখন সরকারে ছিলাম, বিরোধী দলেও ছিলাম, অনেক অভিযোগ করত আমরা নাকি গৃহ পালিত বিরোধী দল। আজ যখন আমাদের নেতা বললেন বিরোধী এবার সরকারে নয়, বিরোধী দলে থাকতে চাই। তাও বলে আমরা নাকি গৃহপালিত বিরোধী দল, আমরা যাব কোথায়? আসলে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তারা আসতে পারেনি বলেই তারা এসব কথা বলছেন।'

রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'ঢাকা শহরে এক থেকে দেড় কোটি লোক বাস করে। সরকারি কর্মচারী-সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বেরে হয়েই কোথায় যাবে? তাদের জন্য গণ পরিবহন নেই। মানুষ টিকিট কিনে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাবে কিন্তু পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভাব।'

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'এই নিয়ে ৩ বার একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আছেন, অথচ ঢাকায় শহরে মানুষের গণ পরিবহণের একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে পারলেন না।'

তিনি পুরনো গাড়ি ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে নতুন গাড়ির নামানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মন্ত্রী নতুন কমিটি করেছেন। কমিটি করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আসলে দায় নিয়ে যে কাজটা করার প্রয়োজন সেই কাজ মন্ত্রী করছেন না।'

তিনি বলেন, 'সারাদেশে যানবাহনের সংখ্যা ৩৮ লাখ, আর চালক আছে ২০ লাখ। তাহলে ১৮ লাখ গাড়ি কিভাবে, কে চালান? ফিটনেসবিহীন গাড়ি ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩০। রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। ৪৭ শতাংশ চালক ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালায়। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ২০১৬ থেকে ২৪ হাজারের উপরে। আসলে দায়িত্ব নিয়ে কাজ না করলে যা হয়। ৭০ ভাগ চালক চোখের সমস্যায় ভুগছে। যে সকল চালকের চোখে সমস্যা তাদের দিয়ে গাড়ি চালানো হলে দুর্ঘটনা হবে না কেন? মন্ত্রী বেবি টেক্সির কাগজ দেখতে যান, গাড়ির কাগজ দেখতে যান। এটা মন্ত্রীকে দেখতে হবে কেন? এগুলো দেখার অনেক মানুষ আছে।'

ব্যাংক খাতের সমালোচনা করে বলেন, 'অর্থনীতির রক্তক্ষরণের নাম ব্যাংক। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ভাল নেই। ব্যাংক খাতকে যদি একটি দেশের অর্থের হৃদপিণ্ড ধরা হয়। তাহলে সেখানে রক্তক্ষরণ ঘটছে অনেক দিন ধরে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন ব্যাংক খাতে দুর্নীতি ক্যান্সারের মত একবার দেখা দিলে তা ছড়িয়ে পরে গোটা অর্থনীতিতে। ২০০৯ সালে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। ২০১৮ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। গত ৬ বছরের ৯ টি নতুন ব্যাংকে খেলাপি ঋণ হয়ে ৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ঋণ খেলাপি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক জনতা, সোনালী ব্যাংক।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রতি বছর চাকরির বাজারে ১৮-২০ লাখ নতুন চাকরি প্রত্যাশী আসছে। আমরা দেশ-বিদেশে ১০-১৩ লাখ কর্মসংস্থান করতে পারি। তারপরেও প্রতি বছর ৮ লাখ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করতে পারি না।'

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;