সন্ত্রাস-যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে সংসদে প্রস্তাব পাস



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ অধিবেশন, ছবি: সংগৃহীত

সংসদ অধিবেশন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় হামলা, ফেনীর নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাসহ সন্ত্রাসী ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব সংসদ, সরকার ও নাগকিরদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে সংসদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

এ বিষয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ধর্মের নামে বিশ্বে রক্তের হোলিখেলা চলছে। বাংলাদেশেও সামাজিক অবক্ষয় ঘটিয়ে সরকারের ব্যাপক অর্জনকে ম্লান করার ষড়যন্ত্র চলছে। কঠোর আইন করে জঙ্গিবাদসহ যৌন নিপীড়ক ও সামাজিক অবক্ষয়ের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসিসহ কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এসব বন্ধ হবে না।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে প্রায় চার ঘণ্টা সাধারণ আলোচনা শেষে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি পাস করা হয়। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি দল, বিরোধী দল, গণফোরাম ও বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন।

আলোচনায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, ফখরুল ইমাম, বিএনপি’র হারুনুর রশিদ, সরকারি দলের মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইষ্টাচার্চের মসজিদ, শ্রীলংকার গীর্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা, ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এসব সন্ত্রাস ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব সংসদ, সরকার ও নাগরিকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে প্রস্তাব আনেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

১৪৪ (১) বিধিতে আনীত প্রস্তাবে বলা হয়- ’বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ ও শ্রীলঙ্কায় গীর্জা, হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় সংসদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপির নাতি জায়ান চৌধুরীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যা ও আহত করা এবং ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গভীর ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং এ সকল সন্ত্রাস যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের সংসদ, সরকার ও নাগরিকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, শুধু শ্রীলঙ্কা নয়, সারাবিশ্ব আজ আক্রান্ত। গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। বিএনপি-জামায়াত আমলে এদেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল। হলি আর্টিজানের ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। পৃথিবীতে প্রায় আট বিলিয়ন জনসংখ্যা। আমরা যারা মুসলিম দেশের নাগরিক, তাদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। কারা এই জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস, তালেবান, আল-কায়দা সৃষ্টি করেছে? আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখন একটা অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু শান্তির দেশ বাংলাদেশ, আমরা সকল সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নুসরাতকে পুড়িয়ে মারতে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষকরা হলেন বাবার মতো। ছাত্ররাও শিক্ষকদের পিতার মতো শ্রদ্ধা করতো। কোথায় সেই দিন হারিয়ে গেছে? নুসরাত ঘটনার পরও অনেক জায়গায় শিশুরা নির্যাতনের শিকার কীভাবে হয়? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এতো বিশাল উন্নয়নকে আমরা ম্লান করে দিতে পারি না। যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এমন একটা আইন করতে হবে, যাতে এক বা দেড় মাসের মধ্যে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। বাংলাদেশের ভেতরেও ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের উন্নয়নকে ম্লান করার জন্য দেশে এসব অপকর্ম ঘটানো হচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে জড়িতদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা গেলে এসব বন্ধ হবে।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ধর্মের নামে পুরো বিশ্বে যেন রক্তের হোলি খেলা শুরু হয়েছে। ধর্মের নামে একে অপর জনকে পুড়িয়ে হত্যা করছে, গুলি ও বোমা মেরে হত্যা করছে। নিউজিল্যান্ডে এক নরঘাতক অসংখ্য নামাজ আদায়রত মুসলমানদের হত্যা করেছে। শান্তির দেশ শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে বোমা মেরে শত শত মানুষকে হত্যা করা হলো। শিশু জায়ানের ছবি দেখে গোটা দেশের মানুষ ব্যথিত হয়েছে। এসব জঙ্গিরা কোন বেহেশতের স্বপ্ন দেখে? জঙ্গির লাশ মা-বাবারা নেয় না। ধর্মের নামে একজন মুসলমান খ্রিস্টানকে হত্যা করছে, একজন খ্রিষ্টান মুসলমানদের হত্যা করছে, বৌদ্ধরা মিয়ানমারে লাখ লাখ মুসলমানকে নির্যাতন করে দেশ ছাড়া করেছে। ধর্মের নামে সারাবিশ্বে মনুষ্যত্ব ও মানবিকতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বিশ্বকে রুখে দাঁড়াতে হবে। নুসরাতকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। কোনো কালক্ষেপণ নেই, সমস্ত খুনি, যৌন নিপীড়কদের দ্রুত বিচার করে সবাইকে ফাঁসি দিতে হবে। ধর্ষক, জঙ্গিদের বিচার অতীতের মতো করতে পারলে সামাজিক অবক্ষয় অবশ্যই বন্ধ হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ আজ নিরাপদ নয়। নিরাপদ করতে হলে বৈশ্বিক সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন। শ্রীলঙ্কায় জায়ানসহ ৪৫ জন শিশু ধর্মের নামে হিংসার বলি হলো। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ইহুদি কেউই এ হিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের ফলেই সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী আক্রমনের ঘটনা ঘটে। নুসরাত হত্যা কেবল একটি সাধারণ অপরাধের ঘটনা নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দৃষ্টিভঙ্গি যেখানে নারী ভোগের বস্তু। এসব বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা ইউটিউবে ধর্ম বিদ্বেষ ছড়ায়, নারীর নামে অশ্লীল বক্তব্য দেয়, তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে আনুন। নারী সুরক্ষা আইনকে জোরদার করুন।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;