জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট প্রস্তাবের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে যিনি বালিশ কেনার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি সাবেক ছাত্রদল নেতা। তিনি বুয়েটের ভিপিও ছিলেন’।

এদিকে, বাড়তি খরচের অনুমোদন নিয়ে ১৫ হাজার ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যদের বিরোধীতার মুখেই কণ্ঠ ভোটে পাস হয় এই সম্পূরক বাজেট।

সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূরক বাজেট পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০১৯’ পাসের মাধ্যমে এই সম্পূরক বাজেট পাস হয়। এই বাজেট পাসের মধ্য দিয়ে সংসদ ৩৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অতিরিক্ত ১৫ হাজার ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয় করার অনুমতি দিল। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়কে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হলো।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটের অর্থ অনুমোদনের জন্য ৩৪টি মঞ্জুরি দাবির বিপক্ষে ২১৭টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এসব দাবির মধ্যে চারটি দাবির ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। এগুলো হলো- জননিরাপত্তা বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বাকি মঞ্জুরি দাবিগুলো সরাসরি ভোটে দেওয়া হয়। অবশ্য সব ছাঁটাই প্রস্তাবই কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০১৯’ উত্থাপন করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংসদে বিল উত্থাপনের ঘটনা এটাই প্রথম। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় তার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূরক বাজেট পেশ করলেন।

সম্পূরক বাজেটের আওতায় ৩৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বাধিক ২ হাজার ৪৪৭ কোটি ৮৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়কে বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপরই রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬০৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এছাড়া ১ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ পাওয়া অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে রয়েছে- স্থানীয় সরকার বিভাগ (১ হাজার ৫৪২ কোটি ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দা পেয়েছে), বিদ্যুৎ বিভাগ (১ হাজার ২৭৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দা পেয়েছে) এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় (১ হাজার ১৮২ কোটি ৯৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দা পেয়েছে)।

সম্পূরক বাজেটে সবচেয়ে কম ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বরাদ্দ অনুমোদন পেয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১৭ কোটি ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৮ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৩৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২২৯ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সরকারি কর্ম কমিশন ৪৬ কোটি ৯৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ২ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ৪২৮ কোটি ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ১৪১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৫১ কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, আইন ও বিচার বিভাগ ৫৪ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগ ৬৭৪ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ২ কোটি ৮৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৯৭২ কোটি ৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৪ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১১৫ কোটি ৯৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩২৬ কোটি ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২১ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ৫৭ কোটি ৫৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় ২২০ কোটি ৯৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৮৭৬ কোটি ১৬ লাখ ১১ হাজার টাকা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ৩০৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার টাকা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৬৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭ হাজার টাকা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৫৮৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫৯ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ৬৭৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৫১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, দুনীতি দমন কমিশন ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ৫৫ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৬৭৪ কোটি ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।

সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারেনি তাদের হ্রাসকৃত বরাদ্দের জন্য সংসদের অনুমতির কোনো প্রয়োজন হয় না। যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ অতিরিক্ত ব্যয় করে কেবলমাত্র তাদের বরাদ্দেই সংসদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এরই প্রেক্ষিতে সংসদে এই সম্পূরক বাজেট পাস হয়। চলতি অর্থবছর ২০১৮-১৯ এর জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হলেও বছর শেষে কাট-ছাঁটের পর এই বাজেট দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকায়।

এদিকে সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটের ওপর মোট ৫৮টি দাবির ওপর ২১৭টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনা হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মো. ফখরুল ইমাম, লিয়াকত হোসেন খোকা, পীর ফজলুর রহমান, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ ও গণফোরামের মোকাব্বির খান। তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমালোচনার পাশাপাশি সম্পূরক বাজেট বরাদ্দ না দেওয়ার দাবি জানান।

জননিরাপত্তা খাত: জননিরাপত্তা বিভাগে ৬৭৪ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের বিরোধীতা করে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘মন্ত্রী ১৪ চলমান প্রকল্প ও ১৪টি নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ চেয়েছেন। জননিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। কিন্তু এখনো ধর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আরো খরচ করে হলেও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে।’

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘জঙ্গি-সন্ত্রাস ও মাদক দমনসহ নানা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি-সন্ত্রাসের দেশ হিসেবে আমরা পরিচিত হচ্ছিলাম। সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের তারা চিহ্নিত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই কাজটি আরো ভালোভাবে করতে অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন।’

আবাসন খাত: আবাসন সঙ্কট নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নেই উল্লেখ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৯৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দে আপত্তি জানান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা।

তারা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়টি দুর্নীতিগ্রস্থ। রূপপুরে বালিশ কিনে এই মন্ত্রণালয় তার রূপ প্রকাশ করেছে। এখানে অতিরিক্ত বরাদ্দ দিলে তা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট হবে। ঢাকা শহর বসবাসের অনুপোযোগী হয়েছে। আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে পারমাণিক কেন্দ্রে বালিশ কেনা নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু যিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন তার কিছু পরিচয় পেয়েছি। তিনি বুয়েটে ছাত্রদল করতেন এবং নির্বাচিত ভিপিও ছিলেন। তাকে এরই মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বালিশটি কি বালিশ? তুলা, ঝুট, সিনথেটিক না অন্য কিছুর বালিশ? সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তারপরও আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর থেকে দুর্নীতি শুরু হয়েছে। যা এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমি এই দুর্নীতি নির্মূলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

স্থানীয় সরকার খাত: স্থানীয় সরকার বিভাগের ১ হাজার ৫৪২ কোটি ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের বিরোধীতা করে ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপনকারী সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয় এটি। কিন্তু উন্নয়নে সমতা নেই। কাজের মান ভালো হয় না। প্রকল্প কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে শত শত আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। অতিরিক্ত বরাদ্দের আগে স্থানীয় সরকারগুলোতে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।’

জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি উন্নয়নমুখী প্রতিষ্ঠান। এই বিভাগের কাজ দেশব্যাপী অবকাঠামো উন্নয়ন। তাই এ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেশি হলেও অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয়। কোনো প্রকল্পে যে অনিয়ম নেই, তা নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্থানীয় উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সবার প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তাই দেশের জনগণ ও জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

প্রবাসী খাত: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সবচেয়ে কম ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বরাদ্দ চাইলেও তার বিরোধীতা করেছেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। তারা বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের উন্নয়ন হয়। কিন্তু প্রবাসীরা যখন দেশে ফেরেন তখন এয়ারপোর্টে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রবাসীদের মরদেহ দেশে আনা নিয়েও নানা জটিলতায় পড়তে হয়। অনেককে বিদেশে কর্মস্থলে সঙ্কটে পড়তে হয়। প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য উপজেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে।’

জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, ‘এরই মধ্যে সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের বিনিয়োগের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রবাসীরা অনেক সময় সমস্যায় পড়লেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানতে পারেন না। এ বিষয়ে সচেতনতার উদ্যোগ নিয়েছি। এসব কাজের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ মোটেও অযৌক্তিক নয়। তাই আপত্তি প্রত্যাহার করে সম্পূরক বরাদ্দের প্রস্তাব পাসের আহ্বান জানাচ্ছি।’