দেশের সম্পদ বিক্রির রাজনীতি করি না: শেখ হাসিনা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: পিআইডি

ছবি: পিআইডি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের খরচ পড়ছে প্রতি ঘণমিটার ৬১ দশমিক ১২ টাকা। আর ধরছি মাত্র প্রতি ঘণমিটার ৯ দশমিক ৮০ টাকা। আমি যখন ২০০০-০১ সালে প্রধানমন্ত্রী ছিলাম আমার ওপর প্রচণ্ড চাপ আসল যে, আমাদের গ্যাস রফতানি করতে হবে। এরপর জিমি কার্টার ঢাকায় আসলে সেখানেও বলেছিলাম, রাজনীতি করি দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। দেশের সম্পদ বিক্রি করে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে, এই রাজনীতি করি না।

বৃহস্পতিবার (১১ ‍জুলাই) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা এলএনজি আমদানি করছি। দেশে শিল্পায়ন হচ্ছে, শিল্পায়নের সাথে সাথে চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সেই পরিমাণ গ্যাস আমাদের দেশে নাই। আমরা কুপ খনন করছি। গ্যাসের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে, যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, সেটুকু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। সেখানেও গ্যাস উত্তলনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।

সংসদ নেতা বলেন, গ্যাসের দাম নিয়ে যে কথাগুলো আসছে যে, দাম না বাড়িয়েও উন্নয়ন করা যাবে। দাম বাড়ানোর প্রয়োজনটা কেন ছিল? গ্যাসের বর্ধিত ব্যয় নির্বাহের জন্য পেট্রোবাংলা বিভিন্ন কোম্পানিসহ ১০২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল। এলএনজি আমদানি খুব ব্যয় সাপেক্ষ। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন মূল্যায়ন করে দেখেছে- বর্ধিত ব্যয় নির্বাহের জন্য কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল। সেখানে আমরা কতটুক দাম বৃদ্ধি করেছি? গ্রাহকদের আর্থিক চাপের বিষয়টা বিবেচনা করে কমিশন মাত্র ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করেছে।

‘ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য হার বর্তমানে প্রতি ঘণমিটার ৯ দশমিক ৮০ টাকা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গ্রাহকদের জন্য কোন দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। গণপরিবহনের বিষয়টি বিবেচনায় করে সিএনজি খাতে শুধু প্রতি ঘণমিটারে তিন টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এখন থেকে ন্যূনতম চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া সব শিল্প গ্রাহকদের ইবিসি মিটার দেওয়া হবে। যাতে কে কত গ্যাস ব্যবহার করে সেটা জেন নির্দিষ্ট থাকে, যাতে বিল পরিশোধ সহজ হয়।’

গ্যাসের ভর্তুকি তুলে ধরে তিনি বলেন, গ্রাহকদের আর্থিক চাপ যেন বেশি না পরে সেজন্য সরকার থেকে প্রতি বছর ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা বা ভর্তুকি দেওয়া হবে। তাছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। আমরা পাইপ লাইন তৈরি করছি, গ্যাস সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করছি, এরও একটা খরচ আছে। আমরা যদি খরচটা ধরি তাতে সম্পূরক শুল্কসহ এলএনজি আমদানির খরচ পড়ে প্রতি ঘণমিটার এলএনজি সরবরাহ ব্যয় ৬১ দশমিক ১২ টাকা। এলএনজি কনসেটেড গ্যাস। আমাদের দেশীয় গ্যাস মিশিয়ে তারপর সরবরাহ করা যায়। আমরা দাম ধরছি খুব কম। আসলে এর দাম পড়ে প্রতি ঘণমিটার ৬১ দশমিকি ১২ টাকা। আমরা নিচ্ছি মাত্র ৯ দশমিক ৮০। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ৩২ টাকা সরকার সহায়তা দিচ্ছে।

সংসদ নেতা বলেন, অনেকেই প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছেন, সমালোচনা করছেন। আমাদের দেশে নিজস্ব কিছু প্রাকৃতিক গ্যাস আছে। কিন্তু সেটা আমাদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। চাহিদা পূরণ হচ্ছিল না। যেখানে আমাদের চাহিদা ছিল প্রায় ৩ হাজার ৭০০ এমএমসিএফডি। কিন্তু সরবরাহ করা যাচ্ছিল মাত্র ২ হাজার ৭ এমএমসিএফডি। এই ব্যাপাক চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম- এলএনজি আমদানি করব। আমরা ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট ৫০০ এমএমসিএফডি এবং ৩০ এপ্রিল ২০১৯ থেকে আরও ৫০০ এমএমসিএফডি অর্থাৎ ১ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি শুরু করেছি। আমাদের নিজস্ব গ্যাস সেটা উৎপাদনে খরচ হয় প্রতি ঘণমিটারে ৬০ দশমিক ৫০ টাকা। সেখানে আমদানিকৃত এলএনজির খরচ পড়ে ৩৩ দশমিক ৭৫ টাকা। প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আমাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতি বছরে ১৯ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ভর্তুকি টাকা দিতে হচ্ছে। ট্যাক্স সব বাদ দিয়েছি এখনো এই টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। প্রকৃত পক্ষে ৩০ হাজার কোটি প্রয়োজন হবে। ইআরসি ১০২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল সেটা দিলে দাম আরো বাড়াতে হত। প্রতিটি ক্ষেত্রে সহনশীলতা দেখিয়েছি। সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি আবার জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকেও দেওয়া হচ্ছে। সরকার থেকে ৬৯০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি আবার জ্বালানি নিরাপত্তা থেকে ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, মিশ্রত গ্যাসের মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে প্রকৃতিক গ্যাসের উপর সম্পূরক শুল্ক ৯৪ শতাংশ প্রত্যাহার করে দেই। এজন্য সরকারের প্রায় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বন্ধ হয়ে যায়। এই টাকা রাজস্ব আয় করতে পারেল আরও উন্নত করতে পারতাম। এলএনজি আমদানির কারণে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩ হাজার কোটি ঘাটতি ছিল। গ্যাস খাত উন্নয়নে আমরা যখন ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন গ্যাসের উৎপাদন ছিল মাত্র ১ হাজার ৫০০ এমএমসি এফডি। গত দশ বছরে আরও ১ হাজার ২৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস পাইপ লাইনে যোগ করেছি।

তিনি বলেন, ২০০০-০১ সাল পর্যন্ত আমি তখন প্রধানমন্ত্রী, আমার ওপর প্রচণ্ড চাপ আসল যে আমাদের গ্যাস রফতানি করতে হবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ঢাকায় এসে আমার কাছে প্রস্তাব দিলেন। এরপর আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেলেন সেখানেও প্রস্তাব করলেন যে, গ্যাস বিক্রি করব ভারতের কাছে। আমেরিকার কয়েকটা কোম্পানি আমাদের এখানে গ্যাস উত্তোলন করত, এখনো করে। আমি বলেছিলাম- আমাদের কত গ্যাস আছে সেটা আগে জানতে হবে। এটা আমার দেশের সম্পদ। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য অন্তত ৫০ বছরের রিজার্ভ রেখে এর অতিরিক্ত গ্যাস যদি থাকে আমি বিক্রি করতে রাজি আছি, কিন্তু তার আগে না। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসল, তখন জিমি কার্টার এই ব্যাপারে কথা বলতে আসেন। যমুনায় ছিলেন। আমরা দল থেকে আমি এবং সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং বিএনপির খালেদা জিয়াসহ তাদের সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হল।

‘রাজনীতি করি দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। দেশের সম্পদ বিক্রি করে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে, এই রাজনীতি করি না। সে কথা আমি সেখানেও স্পষ্টভাবে জিমি কার্টারকে বলে এসেছিলাম। আমি বলেছিলাম- আমি যা বলি তাই বলেছি। এরপর চলে আসি। খালেদা জিয়া থেকে যান, সেখানে মুচলেকাও দিয়ে আসেন। যার ফলে ২০০১ সালে ভোট পেয়েও আমরা সরকার গঠন করতে পারিনি। এটাই হল বাস্তবতা। সেটা নিয়ে আমার আপসোস নেই। আমাদের তো গ্যাস নেই, থাকলে দেব। বলা হল দেশ গ্যাসে ভাসে, আমি তো দেখি না সেটা। উন্নয়নের জন্য করছি, উন্নয়ন এনার্জি ছাড়া হয় না।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;