বার্তা২৪-এ বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ভাবনা নিয়ে ড. আতিউরের তিন পর্বের গবেষণা-প্রবন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা : ১৫ আগস্ট—জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বার্তা টোয়েন্টিফোর প্রকাশ করছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের—‘বঙ্গবন্ধুর কল্যাণধর্মী উন্নয়ন ভাবনা ও সমকালীন বাংলাদেশ’ শীর্ষক তিন পর্বের গবেষণা-প্রবন্ধ।

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রবন্ধটি পাঠ করার কথা রয়েছে ড. আতিউরের।

গবেষণালব্ধ এই প্রবন্ধটিতে উঠে এসেছে গরিব-দুখি জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী অর্থনীতি ভাবনা, কৃষি অগ্রাধিকার ভিত্তিক বিভিন্ন সময়োপযোগী কর্মসূচী গ্রহণ ও তাঁর অসামান্য নেতৃত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা-মমত্ববোধ, সততা এবং দেশপ্রেমের নানা অধ্যায়।

অর্থনীতি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা প্রসঙ্গে এই গবেষক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর—জনকল্যাণধর্মী দুখি ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে নেওয়া দূরদর্শী উন্নয়ন কৌশলের নৈতিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় ১৯৭২ সালে গৃহীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় পর্বে।”

তিনি জানান, ওই সংবিধানে ‘রাষ্ট্রীয় মৌলনীতি’র অংশ হিসেবে অর্থনীতি ও সমাজে সাম্য নিশ্চিত করা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করা, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, নারীর ক্ষমতায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ স্থান করে নেয়।

অর্থনীতি ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ধারণা ও এ-বিষয়ক নানান কর্মকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগী মনোভাব—প্রভাবশালী নেতৃত্বের পাশাপাশি একজন সফল রাষ্ট্রপরিচালক হিসেবেও তাঁকে স্বীকৃতি দেয়। ড. আতিউর রহমানের প্রবন্ধে এ-সবকিছুই পরিসংখ্যান ও প্রামাণ্য দলিলসমেত তুলে ধরা হয়েছে।

আজ ১০ আগস্ট বার্তা২৪-এর ‘যুক্তিতর্ক’ বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে প্রবন্ধটির প্রথম পর্ব। আগামী ১২ ও ১৪ আগস্ট প্রবন্ধটির বাকি দুটি পর্ব প্রকাশিত হবে।

প্রকাশিত প্রবন্ধের লিংক

   

ইন্টারটেক গ্লোবালের সিইও আন্দ্রে লাক্রইক্সের প্রথম বই ‘লিডারশিপ উইথ সোল’ ঢাকায় প্রকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচলিত নেতৃত্বের চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করে ইন্টারটেক গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রে লাক্রইরেক্স লেখা প্রথম বই ‘লিডারশিপ উইথ সোল’ ঢাকায় প্রকাশ করা হয়েছে। বইটিতে বর্তমান ও ভবিষ্যত নেতৃত্বদানকারীদের চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে উদ্ভাবনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লেখক।

এ উপলক্ষে সম্প্রতি আয়োজিত বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।  এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সহযোগিতায় আইসিই সেন্টারের আয়োজনে, কয়কেশ’ শিক্ষার্থী এবং উদ্যমী নেতাদের সাথে মিট দ্য সিইও এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দিয়ে আন্দ্রে তার নিজের নেতৃত্বের যাত্রা সম্পর্কে কথা বলেন। ভাল নেতা হওয়ার জন্য তার বই লিডারশিপ উইথ সোল-এ তুলে ধরা ১০টি মুল নীতি নিয়েও কথা বলেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গেও দেখা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইসিই সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ আবদুল মঈন, বই ও বইটিতে থাকা নেতৃত্বের মডেলের প্রশংসা করে বলেন, “লিডারশিপ উইথ সোল” নিজের এবং অন্যদের সচেতনতা, সহানুভূতি, সততা, সত্যতা, বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার উপর কেন্দ্র করে, নেতৃত্ব শৈলী বিকাশের জন্য ব্যবহারিক নির্দেশিকা এবং অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই কাজটি নেতৃত্বের সাহিত্যে একটি অমূল্য সংযোজন।”

এদিকে আন্দ্রে তার সফরকালে শিল্প খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে এক গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তিনি সফল নেতৃত্বের কৌশলগত চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

আন্দ্রে বলেন, “এটা প্রচন্ডভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক। এখানে অনেক লোকের সাথে দেখা হয়েছে যারা সফল নেতৃত্বের প্রতি আমার মতো উৎসাহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে দেশের কয়েকটি বড় ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উষ্ণতা, উদ্দীপনায় আমি মুগ্ধ।”

আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং, পেপসিকো, বার্গার কিং, ইউরো ডিজনি, ইঞ্চকেপ, রেকিট বেনকিজার এবং ইন্টারটেকের মতো বিশ্ব-নেতৃস্থানীয় সংস্থার সাথে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দ্রে তার অভিজ্ঞতার আলোকে লিডারশিপ উইথ সোল বইটিতে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য একটি মডেল প্রকাশ করেছেন। আন্দ্রে তার সাফল্যের গুণাবলী হিসেবে সহানুভূতিশীল, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন;  যা গ্রাহক, কর্মচারী, শেয়ারহোল্ডার, সম্প্রদায় এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের টেকসই উন্নতি ও মূল্য হিসেবে কাজ করে। 

একটি গ্যালাপ সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী ৮০% কর্মজীবী নিজ কর্মস্থলে স্বতঃস্ফুর্ত নয়। প্রতিদিন ২.৮ বিলিয়ন ব্যক্তি নিরুসাহিত হয়ে কর্মক্ষেত্রে কাজ শুরু করেন। এটি একটি দুঃখজনক পরিসংখ্যান। এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র নিয়ে কর্মীদের অসন্তোষ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।

বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এবং প্রাণবন্ত গল্প বলার মধ্য দিয়ে আন্দ্রে তার বইটিতে নেতৃত্বের ১০টি মূল নীতিকে তুলে ধরেছেন। তিনি সব সময় কর্মীদের বিশ্বাস ও ক্ষমতায়নকে শক্তিশালী করার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। আন্দ্রের যুক্তি অনুযায়ী, এটাই স্টেকহোল্ডারদের টেকসই উন্নয়ন এবং সঠিক মূল্যায়নের একমাত্র উপায়।

;

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-শেখ হাসিনা



প্রফেসর ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী
বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ইতিহাসের সংগ্রাম ও গৌরবের অপর নাম। বাংলাদেশকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু যেভাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে সফল হয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছেন। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামক স্বপ্নের দ্যুতিময় পরম্পরা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের মহাযাত্রা পথে শেখ হাসিনা আশার বাতিঘর।

'বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শেখ হাসিনা' গ্রন্থে (চট্টগ্রাম: চন্দ্রবিন্দু, ২০২২) সংযোজিত ২২টি প্রবন্ধে আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার ঐতিহাসিক পর্যালোচনায় বঙ্গবন্ধুর গৌরব ও সাফল্যের আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত দেখতে পেয়েছি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে মৃত্যুর পরোয়ানা ও ফাঁসির রজ্জুকে পরোয়া না করে বাঙালির অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনকে জীবনচেতনায় পরিণত করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, দেশরত্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত, অগ্রসর এবং দারিদ্র, ক্ষুধা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর।

বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্ব এবং দেশপ্রেমের ফল্গুধারা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঐতিহ্যের অপরিহার্য অঙ্গ, যাদের জীবন, কর্ম ও চৈতন্যের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত মুজিবাদর্শ, বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বার্থ। যে কারণে পরাজিত শক্তির মরণকামড় মাড়িয়ে জীবনের ও জাগরণের গানে উদ্ভাসিত শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শত বিঘ্ন পেরিয়ে পরিচালিত করতে সক্ষম হচ্ছেন উন্নয়নের মহাসড়কে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও মতাদর্শের হীরন্ময় পথে।

চারবারে প্রধানমন্ত্রী রূপে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়নে নতুন ইতিহাস সৃজন করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু পর্যন্ত প্রলম্বিত হয়েছে 'উন্নত বাংলাদেশের রূপকার' শেখ হাসিনার সুদক্ষতার স্পর্শ। বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বপ্ন ও সাধনার সর্বমহৎ অর্জন যেমন বঙ্গবন্ধুর, তেমনি তাকে বাস্তবায়িত ও অগ্রগামী করার একক কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

শুধু উন্নয়ন ও অগ্রগতিই নয়, অসাম্প্রদায়িক, শোষণ ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুক্ত শান্তির বাংলাদেশের পুনর্জীবন ঘটেছে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর যে বাংলাদেশকে পরাজিত শক্তি আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত ও জর্জরিত করেছিল এবং হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বন্দি করেছিল মধ্যযুগীয় বর্বর অন্ধকার প্রকোষ্ঠে, তাকে পাষাণের কবল মুক্ত করে মুক্তধারার মতো প্রবাহিত করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার কুশলী ও সুদক্ষ নেতৃত্বে ফিনিক্স পাখির মতো পুনরুজ্জীবন ঘটেছে উদার, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, উন্নয়নমুখী বাংলাদেশের।

ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে, সামাজিক পুনর্গঠনে, সাংস্কৃতিক বিনির্মাণে ২৮ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। আজ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন। এদিনে তিনি স্পর্শ করেছেন ত্যাগ, সংগ্রাম ও অর্জনের ঘটনাবহুল ৭৫ বছর।

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী-বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তিনি রাষ্ট্রনায়ক থেকে নিজেকে নিয়ে গেছেন বিশ্বনেতার কাতারে আর বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে উন্নীত করেছেন মর্যাদার আসনে।

জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জন্মদিনের অন্তহীন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

লেখক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের সাবেক ডিন, শিক্ষক সমাজের বরিষ্ঠ নেতা, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।

;