স্বাধীনতার মাস অগ্নিঝরা মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে নানা কারণে মার্চ মাস ঐতিহ্যমণ্ডিত। একাত্তরে এই মাসের পঁচিশ তারিখে বর্বর পাকবাহিনী গণহত্যা শুরু করলে গ্রেফতার হবার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর আগে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে পাকিস্তানি শাসকদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন—“সাতকোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরো দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” মুক্তিকামী লাখো মানুষের জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধুর মঞ্চারোহণ, উত্তাল জনস্রোত থেকে ভেসে আসা একটাই দাবি আর সে দাবির মুখে বঙ্গবন্ধুর তর্জনি উঁচানো হুঁশিয়ারি ও দিকনির্দেশনামূলক ঐতিহাসিক ভাষণের সাক্ষী—এমন সাতজন বিশিষ্ট প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে বার্তা২৪.কমের বিশেষ আয়োজন ‘সপ্তভাষ্যে ৭ই মার্চ’। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অগ্নিঝরা ৭ই মার্চের স্মৃতিচারণা করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, রাজনীতিক আ স ম আবদুর রব, শিল্পী রফিকুন নবী, সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী, শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, রাজনীতিক পান্না কায়সার ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।