মিছিল নিয়ে বুয়েটে প্রবেশ করল ছাত্রলীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাঝেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) মিছিল নিয়ে প্রবেশে করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা। এসময় তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রবেশ করে বুয়েট ক্যাম্পাসে।

এর আগে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।

এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ নেতাকর্মীরা। ফুল দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও বুয়েট ত্যাগ করেন তারা। ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্থান ত্যাগ করলে ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন এবং ছবি তোলেন। তবে তারা কোনো স্লোগান দেননি।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বুয়েট উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আবার ছাত্ররাজনীতি চালু হতে পারে।

   

সর্বজনীন পেনশন বাতিল

স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি চবি শিক্ষক সমিতির



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এ সংগঠনটি।

রোববার (২৬ মে) দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ জাতি গঠনের ভূমিকা রাখে কিন্তু তাদের ওপরেই যদি বৈষম্যের আঘাত করা হয়, তাহলে তারা কী জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে? সুতরাং আমরা এই বৈষম্য ও নিপীড়ন মূলক প্রজ্ঞাপন বন্ধের জোর দাবি জানায়।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবনমন করে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সুযোগসুবিধা নিয়েছিল, তখন আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। পরে সুপার স্কেমের কথা বললেও সেটা কার্যকর করা হয়নি। যখনই আমরা স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোরের জন্য কথা বলতে যায়, তখন আমাদেরকে বলা হয়, আপনারা কেন সবার সাথে তুলনা করেন? আপনারা তো অতুলনীয়। আমরা তখনই কথা বলতে যাই যখন আমাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ আমাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কেলে নামে আমাদের বৈষম্যমূলক পেনশন স্কেল করার প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে। আপনারা জানেন, সর্বজনীন হয় তখনই যখন একটি রাষ্ট্রের সকল পেশার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত মানুষকে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু যারা এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তারা বলছেন এটা সর্বজনীন কিন্তু তারা এটাতে যুক্ত হতে চান না। তারা বলছেন এটাতে যুক্ত হন, এটা খুবই ভালো কিন্তু আমরা যুক্ত হবো না।

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান বলেন, সর্বজনীন বেতন স্কেল প্রত্যাহার, সুপার স্কেল চালু এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল। এই তিনটি আমাদের হৃদয়ের দাবি। আপনারা জানেন, একটি জাতি যখন এগিয়ে যায় এর পেছনে শিক্ষকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ করার স্বপ্ন দেখা হচ্ছে কিন্তু শিক্ষকদেরকে বঞ্চিত করে কি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ, ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সকল শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারী ১জুলাই, ২০২৪ তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয় স্কিম' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।

;

বি.এম. কলেজে সিলিং ফ্যান ভেঙে শিক্ষার্থী আহত



ক্যাম্পাস ডেস্ক, বার্তা২৪
সিলিং ফ্যান ভেঙে টেবিলে পড়ে / ছবি: বার্তা২৪

সিলিং ফ্যান ভেঙে টেবিলে পড়ে / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের প্রখ্যাত সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ক্লাস চলাকালে হুক ভেঙে সিলিং ফ্যান পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে তৌসিফ ফাহিম এক শিক্ষার্থী। রবিবার (২৬ মে) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই শিক্ষার্থী উক্ত প্রতিষ্ঠানে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পাওয়া তথ্যমতে, প্র্যাকটিকাল ক্লাস চলাকালে সকাল ৯ টায় সকল শিক্ষার্থী ক্লাসে আসে। দুপুর দেড়টার কিছুক্ষণ আগে ক্লাস যখন প্রায় শেষ, তখন হঠাৎ সিলিং ফ্যান অকার্যকর হয়ে চলন্ত অবস্থাতেই খুলে পড়ে। ফ্যানের পাখার অংশটি ফাহিম নামক সেই শিক্ষার্থীর মাথায় লাগে। এরপর শিক্ষক সহ বাকি শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয় ফাহিমকে। বর্তমানে সেই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে এবং তিনি বিপদমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচ বহন করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।  

হুক ভেঙে সিলিংফ্যান পড়ে যায়

শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল থেকেই ফ্যানে অস্বাভাবিকভাবে শব্দ করছিল। তারা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে রাখলেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে আবার চালাতে বাধ্য হয়। হঠাৎ করেই ফ্যানটি সরাসরি টেবিলের উপর পড়ে কাচ ভেঙে যায়। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফ্যান লাগানো হুকটি মাঝ থেকে ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল।

ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। তাদের বক্তব্য একটু উনিশ-বিশ হলেই গুরুতর কিছু হতে পারতো। স্থপতিতে খচিত রয়েছে ভবনটি ১৯১৭ সালে নির্মিত। অন্যান্য ফ্যান এবং ব্যবহৃত কলকব্জা বেশ পুরানো হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তেই বড় বিপদ হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত তাদের নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করুক। এই ঘটনার পর, এই ধরনের ঘটনা এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।  

;

‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষক সমিতির



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষক সমিতির

‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষক সমিতির

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সরকার গত ১৩ মার্চ সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে 'প্রত্যয় স্কিম' এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ব্যবস্থাকে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বলে মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। এ ব্যবস্থা আগামী ১লা জুলাইয়ের মধ্যে বাতিল করা না হলে ধাপে ধাপে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকগণ।

রোববার (২৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে 'প্রত্যয় স্কিম' বাতিলের এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড নিজামুল হক ভূঁইয়ার এতে সভাপতিত্ব করেন।

মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম ওহিদুজ্জামান, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা কাউসার, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুন, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী,জসীমউদ্দিন হলের প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক শাহীন খান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যাক্ষ আব্দুর রহিম প্রমুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড.জিনাত হুদা বলেন,আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাহলে কারা সেই শক্তি সেটি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করে ঢাবি শিক্ষক সমিতি। সব শিক্ষক আজ সংগ্রামে আছে, বাঁচা মরার লড়াইয়ে আছে।

তিনি কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আমরা আজ মানববন্ধন করছি, যদি আমাদের দাবি আগামীকালের মধ্যে মেনে নেয়া না হয় আমরা আগামী ২৮ মে সকাল ১০টা থেকে ১২ টা অব্দি ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করব। এর পরও দাবি না মানা হলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সব শিক্ষকের ম্যান্ডেড নিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। যদি ৩রা জুনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হয় আগামী ৪ঠা জুন আবারো সবের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অর্ধবেলা কর্ম বিরতি পালন করবে ঢাবির সব শিক্ষক। তবে এসব কর্মসূচিতে পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। যেহেতু জুন মাসে বাজেট হবে আমরা অপেক্ষা করব এবং দেখব এই স্কিমটি বাতিল করা হয় নাকি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। যদি প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে ১লা জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ক্লাস বন্ধ হবে, সব পরীক্ষা স্থগিত হবে, কোনো ধরণের কোনো একাডেমিক কার্যক্রম চলবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষকরা আত্মপরিচয়, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচে। সেটি যখন যখন সমস্যায় তখন আমাদের এমন প্রতিবাদ করতে হয়। যারা আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই তাদের দিকে বিশেষ নজর দিবে। ১০৬১ জন শিক্ষক স্বাক্ষর দিয়েছেন এই প্রত্যয় স্কিম এর বিরুদ্ধে। তবুও কেউ এই ধরনের বৈষম্যমূলক স্কিম গ্রহণ করবেন না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আজকে এই মানববন্ধন পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য জারিকৃত প্রত্যয় স্কিম নামে যে পেনশন স্কিম সেখানে অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা কর্তন করা হয়েছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই এই স্কিমকে গ্রহণ করতে পারে নাই। দাবি না মানা হলে পর্যায়ক্রমে আমরা আন্দোলন পালন করব। কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।

টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছিল একটি ভাল উদ্দেশে। যারা পেনশনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না তাদের পেনশনের ব্যবস্থা করার জন্যে এ ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে আমরা দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ গবেষণা সংস্থাগুলোকে এ পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর কারণটা কি? আজকে প্রত্যয় স্কিমের মধ্য দিয়ে সমগ্র দেশব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজকে রাজপথে নেমে এসেছে। তাদেরকে রাজপথে নামিয়ে আনাই কি প্রত্যয় স্কিমের উদ্দেশ্য? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেণ্য অর্থনীতিবিদরা একটি সমীক্ষা করেছেন সেখানে দেখানো হয়েছে এই প্রত্যয় স্কিম কীভাবে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বলা হচ্ছে পহেলা জুলাইয়ের পরে যাদের নিয়োগ হবে তাদের জন্য এটি কার্যকর হবে কিন্তু তারা হয়তো জানেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা প্রমশন হচ্ছে নতুন নিয়োগ। স্কিমটি এখন পর্যন্ত যে অবস্থায় আছে সেক্ষেত্রে প্রতি নিয়োগেই এই স্কিম বাস্তবায়িত হবে। অর্থাৎ লেকচারার থেকে সহকারী, সহকারী থেকে সহযোগী, সহযোগী থেকে অধ্যাপক প্রতিটি আলাদা নিয়োগেই এই স্কিম বাস্তবায়িত হবে। আমাদের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন এই নীতি বাস্তবায়িত হলে ঢাবি সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আর্থিকভাবে বঞ্চিত হবেন।

;

চবিতে হয়ে গেলো ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০২৪



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক্সিলেন্স বাংলাদেশ ও মার্কেটিং সোসাইটি ফর লিডারশিপ প্রোলিফারেশনের (এমএসএলএফ) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ক্যারিয়ার উৎসব' কীরণ মাস্টারকার্ড প্রেজেন্ট চট্টগ্রাম ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০২৪'।

শনিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এই ক্যারিয়ার ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়'সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এই ফেস্ট। উদ্বোধনী পর্বে এক্সিলেন্স বাংলাদেশ এর এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার মাহবুব এ রহমান ও মার্কেটিং হেড নাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা। প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজন উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের।

অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে মার্কেটিং সোসাইটি ফর লিডারশিপ প্রোলিফারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাফি মিনহাজ ও সেশন কো-অর্ডিনেটর ফাতেমাতুন নেসা সুমাইয়ার যৌথ অতিথি আলোচক গিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং ফাউন্ডারসহ ২২ জন অতিথি। ৫ টি প্যানেল ডিসকাশনের অংশ নেন ২০ জন আলোচক।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা বলেন, পড়াশোনার মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষে পৌঁছাতে চাই। কিন্তু একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকতে হবে তার লক্ষে পৌঁছানোর জন্য।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো: আবু তাহের বলেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু চাকরির সুযোগ অনেক কম। শিক্ষার্থীদের যেসব দক্ষতা ও যোগ্যতার অভাব রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে। সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকমের ভাষায় দক্ষতা অর্জন করছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের তা অর্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় কাজ করতে হবে। গবেষণায় যারা কাজ করবে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে তাদের সাহায্য করা হবে । শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কিল অর্জন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

আমন্ত্রিত অতিথি আলোচক ছিলেন এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড (স্বপ্ন) ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাব্বির নাসির, বিল্ড আইকন কনসালটেন্সিস লিমিটেডের ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং পার্টনার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের সিইও ফাহিম মাশরুর, ব্রাক ব্যাংকের সিএমও ইন্দ্রনীল চট্টপাধ্যায়, বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপ ফাউন্ডার মঞ্জুরুল হক, বিডস একোনমি লিমিটেড ম্যানেজিং ডিরেক্টর জিসান কিংশুক হক, র‍্যাংকন রিয়াল এস্টেট এন্ড সি ফিশিংয়ের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন।

আরও ছিলেন প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান পিয়াস, মেন্টর চিটাগংয়ের ম্যানেজিং পার্টনার মানজুমা মুর্শেদ, মনের বন্ধুর ফাউন্ডার এন্ড সিইও তাওহিদা শিরোপা, আমাল ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর ইসরাত করিম ইভ, নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ইকবাল বাহার জাহিদ, গ্রামীন ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ, দ্যা ডেইলি স্টারের ফিচার এডিটর এ্যান্ড হেড অফ কন্টেন্ট মার্কেটিং এহসানুর রাজা রনি,

ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রোডাক্ট লিড ও র‍্যান্টেজের ফাউন্ডার রুম্মান কালাম, ইমপ্যাক্ট একাডেমির সিইও নাফিজ সেলিম, কিংকর আহসান, খান ফারহানা, ইমতিয়াজ চৌধুরী, সানজিদ হোসাইন এবং দ্যা ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার ও কীরণের চিফ অপারেটিং অফিসার তাজদীন হাসান।

এছাড়াও মিউজিক সেশন পরিচালনা করেন সাদী মোহাম্মাদ শাহ নেওয়াজ এবং অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন এক্টর এন্ড ডিরেক্টর শারাফ আহমেদ জীবন।

;