হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের রশিদ চৌধুরী আবাসিক হলের ১ নং কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন- একই ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমাকে রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১নং রুমে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। এ সময় ওই রুমে চারজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। পালাক্রমে চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমাস মাহফুজ রাফিদ, ফরহাদ হোসেন সুমন, সাগর রয় অনিক, মেহেদি হাসান আমাকে মারধর করে এবং সর্বশেষ আলমাস আমার হাতে ও গলায় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। তারা আমাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং আমার ১ম বর্ষ 'ফিগার স্টাডি কোর্স-১০৩ পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

ভুক্তভোগী স্বাগত দাসের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পাস থেকে আমাদের চারুকলার ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে বাস থেকে নামার পরে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র আলমাস মাহফুজ ভাই আমাকে হলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে আরো তিনজনসহ মোট চারজন আমাকে ঘণ্টাব্যাপী মারধর করে এবং জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ও এ ঘটনার বিচার কামনা করেছি।

মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাদের পূর্ব কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না, কিন্তু তারা (অভিযুক্তরা) আমার সাথে প্রায়ই ঝামেলা বাধাতে আসত।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলমাস মাহফুজ রাফিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরেক অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন সুমন রুমে আটকে রাখা ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। আমার ব্যাচমেট আলমাস ও জুনিয়র স্বাগতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেহেদী হাসান নামের আরেক অভিযুক্ত। তিনি বলেন, এটা স্বাগত (ভুক্তভোগী) ও আলমাসের (অভিযুক্ত) মধ্যকার ঘটনা। তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা থেকেই এমন হয়েছে। মারধরের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা দুপুরের পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা এখনো অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারিনি। এ ব্যাপারে আগামীকাল আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে।

   

সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বেরোবি শিক্ষক সমিতির মৌনমিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত সরকারের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মৌনমিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের রাসেল চত্বরে শিক্ষকগণ কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌনমিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেখ রাসেল চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে যোগদানকৃতদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ ধরনের বৈষম্য বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শিক্ষাদর্শনের চেতনা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন, এ প্রজ্ঞাপন সেই চেতনাকে অবজ্ঞা ও অবমাননা করার শামিল।


তিনি বলেন, সর্বজনীন বলতে আমরা বুঝি, সবার জন্য। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের ওপর যে স্কিম চালু করা হচ্ছে, এটি খুবই বৈষম্যমূলক। নতুন যেই পেনশন স্কিম সরকারি কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য চালু করা হলো সেটা কিভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হয়? সর্বজনীন মানে সবার জন্য―এতে কি কোনো অস্পষ্টতা আছে? সবার জন্য যদি হয়, তাহলে সরকারি কর্মকর্তাগণ এর আওতার বাইরে থাকবেন কেন?

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন নিয়োগ সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি পদোন্নতিতেই নতুনভাবে নিয়োগপত্র দেয়া হয় এবং নিত্য নতুন শর্তাবলী সংযোজন করা হয়। এখন প্রশ্ন হলো, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকেরা যখন ১ জুলাই ২০২৪ তারিখের পর একই বা অন্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর পদে নতুনভাবে যোগ দেবেন, তারাও কি প্রত্যয় স্কিমের অধীনে যাবেন? তাহলে আজকে যিনি সহযোগী অধ্যাপক কালকে তিনি অধ্যাপক হিসেবে নতুন করে নিয়োগ পেলে অথবা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন দেশ থেকে আসা কেউ সরাসরি অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেলে তার ক্ষেত্রে কি হবে?

তিনি বলেন, বিগত দশকে সরকারি চাকুরিতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে বিশেষ করে প্রশাসন, পুলিশসহ বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে। পক্ষান্তরে, বিশ্বিবিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশায় প্রতিনিয়ত সুযোগ সুবিধা কমানো হচ্ছে, নতুন নতুন নিয়মের শিকলে বন্দি করা হচ্ছে‒ফলে দেশের মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু হলে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হবে। শিক্ষক মেধাবী না হলে শিক্ষার্থীরা ভাল কিছু শিখতে পারবে না ও তাদের মেধা বিকশিত করতে পারবে না। সর্বোপরি দেশের জনগণ একটি অথর্ব মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আলাদা স্বতন্ত্র বেতনকাঠানো প্রণয়নসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। নতুবা দাবি আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালবিদ্যালয় পরিবার সব ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষক নেতারা।

;

জাবি উপাচার্যের সঙ্গে আসাম ডাউন টাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকের সৌজন্য সাক্ষাৎ



মাহমুদুল হাসান, জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সঙ্গে ভারতের আসাম ডাউন টাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সুনন্দন বড়ুয়া সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (১৩ মে) উপাচার্য অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণার বিষয়ে মতবিনিময় হয়।

অধ্যাপক সুনন্দন বড়ুয়া বর্তমানে আসাম ডাউন টাউন ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টরেট অব ইনোভেশন, স্টার্টআপ অ্যান্ড এক্সিসিলারেশন পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক সুনন্দন বড়ুয়া এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা গবেষণার সুযোগ ও সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।

এ সময় গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্য সাক্ষাতের আগে অধ্যাপক সুনন্দন বড়ুয়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

;

চবির আবাসিক শিক্ষক পদে যোগদানে অপারগতা প্রকাশ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ আব্দুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে যোগদানে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফণী ভূষণ বিশ্বাস।

সোমবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ অপরাগতার কথা জানান ড. ফণি ভূষণ বিশ্বাস। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে শহীদ আব্দুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের আমলে তৎকালিন প্রক্টর ও শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম শিকদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তার অধীনে কাজ করাটা লজ্জা, অপমান ও বিব্রতকর বলে জানিয়েছেন চবির এ শিক্ষক।

রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৯ মে আপনার প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে আমি জানতে পারি যে, আগামী এক বছরের জন্য আমাকে শহীদ আবদুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আপনি নিশ্চই অবগত আছেন যে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনিবাহী পর্ষদ-২০২২ এ কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপশাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। আমাকে এমন একটি হলে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে যেখানে হল প্রাধ্যাক্ষের দায়িত্বে এখনো আসীন আছেন সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের আমলে বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত একজন শিক্ষক, যার বিরুদ্ধে ইউজিসির পক্ষ হতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান প্রশাসনের বিভিন্ন পর্ষদে প্রায় দুই মাস পূর্বে বিদায়ী উপাচার্য প্রশাসনের অপকর্মের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বেশ কিছু শিক্ষক এখনো বিভিন্ন হলে প্রাধ্যাক্ষের দায়িত্বসহ আরও অনেক প্রশাসনিক পর্ষদে বহাল রয়েছেন।

অধিকন্তু, আমার নামে ইস্যুকৃত চিঠির সাথে একই দিনে সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের প্রশাসনে অত্যন্ত সক্রিয় থেকে বিতর্কিত কাজ করা আরও কয়েকজন শিক্ষককে কয়েকটি হলে নতুন করে আবাসিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, উপরোক্ত প্রশাসনিক পদে যোগদান করা আমার জন্য অত্যন্ত লজ্জা, অপমান ও বিব্রতকর।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি উক্ত আবাসিক শিক্ষক পদে যোগদান করতে সজ্ঞানে এবং সুস্থ মস্তিস্কে অপরাগতা প্রকাশ করছি। তবে উল্লেখ থাকে যে, একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নের স্বার্থে যেকোন শুভ কাজে প্রশাসনকে আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

এ বিষয়ে ড. ফণি ভূষণ বিশ্বাস বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিদায়ী উপাচার্যের আমলে প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। যাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি এতদিন অবস্থান নিয়েছিলাম তাদের সাথেই কাজ ভাগাভাগি করাটা আসলে আমার জন্য লজ্জার। এটা ঠিক যে আমাদের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে এর মানে এই নয় যে দুর্নীতিবাজদের নিয়েও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের অধীনে যারা দুর্নীতি করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বহাল আছেন। এছাড়া আমার সাথে একইদিন আরও কয়েকজনকে বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় আমি শহীদ আব্দুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম. নূর আহমদ বলেন, আমি এখনো চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব। যদি তিনি যোগদান করতে না চান তাহলে উনার জায়গায় অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

;

চবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বাইকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বাইকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

চবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বাইকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বহিরাগত মোটরসাইকেল আরোহীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রক্টোরিয়াল বডি।

রোববার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রোববার থেকেই এই আদেশ কার্যকর হয়েছে এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত কিছু মোটরসাইকেল আরোহী বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ট্রাফিক আইন অমান্য করে এসব মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোটরসাইকেল ছাড়া বহিরাগতদের মোটরসাইকেল ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সিদ্ধান্ত রোববার (১৩ মে) থেকে কার্যকর হবে।

;