কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরসহ মোট ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) মধ্য রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এতে বিবাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদী হৃদয়, ফয়সাল হাসান, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম। এছাড়া বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে রাকিব হোসেন ও দ্বীপ চৌধুরী।

সভাপতি আবু তাহের অভিযোগে উল্লেখ করেন, নিজ কার্যালয়ে প্রবেশের সময় উপাচার্য এএফএম আবদুল মঈন নিজে সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস উল ইসলামের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর তারা সকলে মিলে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করেন। এ সময় আরো অন্তত ২০ জন শিক্ষক হামলার শিকার হন। উপাচার্য কার্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান উক্ত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও তালা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষক লাউঞ্জে হামলা করে এবং প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষকদের উপর পুনরায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এ পর্যায়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং উপর্যুপরি শারীরিক হামলা করে। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক শামিমুল ইসলামসহ লোকপ্রশাসন বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের উপর শারীরিক হামলা করে। এ সময় প্রক্টোরিয়াল বডি ও কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকিধামকি প্রদান করেন। এভাবে শিক্ষকদের উপর হামলা ও হুমকিধামকির ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'গতকাল রাতে আমরা প্রায় ৫০ জন শিক্ষক থানায় অভিযোগ করে এসেছি। গতকাল আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে উপাচার্য স্যার নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন। উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বারংবার বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করিয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ অভিযোগের ২০ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'

   

সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই’র প্রথম কমিটি গঠন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই’র প্রথম কমিটি গঠন

সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই’র প্রথম কমিটি গঠন

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের’ প্রথম কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রফেসর নাজিয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে- মোহাম্মদ খুরশেদ আলম। এছাড়াও শরফুদ্দীন আহমেদ তারেক কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের সরাসরি ভোটে দুই বছর মেয়াদি ৪১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়। দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে সরাসরি যুক্ত হয়ে ভোট প্রয়োগ করেন।

১৯৯০ সালে পদার্থ বিজ্ঞানসহ তিনটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম ব্যাচ বের হওয়ার তিন দশক পর গঠন করা হলো এই কমিটি।


অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবেক শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হয়। পরে আহ্বায়ক কমিটি তাদের কার্যক্রম এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণ তুলে ধরেন। একইসঙ্গে গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বিভাগীয় প্রধান ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক। সাবেক শিক্ষার্থীদের এই সংগঠন নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই যে একটি সূতিকাগার হলো, এই যে একটু সেতু হলো, এটা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং গবেষণায় ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দশকের বেশি সময়ের পথ চলার সঙ্গী হলো আজকের এই মঞ্চ। বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানন তিনি।


প্রফেসর নাজিয়া চৌধুরী অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আমাদের এই অ্যাসোসিয়েশনকে পদার্থবিদদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি সংগঠনে রূপ দিতে চাই। পদার্থ বিজ্ঞান শুধু বিজ্ঞানের ভিত্তিই নয়, প্রযুক্তির উন্নয়নেও পদার্থবিদরা অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। নানা প্রান্তে কর্মরত আমাদের পদার্থবিদরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। এবার আমাদের দেওয়ার পালা। আমরা আমাদের উত্তরসূরিদের সহযোগিতায় তাদের পাশে থাকতে চাই। বাংলাদেশে গবেষণা খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে দেশের স্বার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

জসির আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. বদিউজ্জামান ফারুকসহ বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকরা।

;

ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য

ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে তীব্র গরমে সাপের পাশাপাশি মশার উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, মফিজ লেকসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে সাপের। এছাড়া সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই বৃদ্ধি পায় মশার উৎপাত। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দায়িত্বে অবহেলা এবং সময়মতো ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করায় সাপ ও মশার উৎপাত বেড়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাপের উপদ্রব এবং মশা নিধনে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় হলের পিছনে, লেকে ও আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় থেকে বিভিন্ন সময় সাপ বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই গরম বাড়ায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে যখন তখন সাপের দেখা মিলছে। এছাড়া হলে মশার উপদ্রব বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে তীব্র গরমে মশারি টানালেও গরমে ঘুমানো যাচ্ছে না। এদিকে মশারি না টানালে মশার কামড়ে ঘুমানো যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্রতত্র ময়লার স্তূপ এবং প্রশাসনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অমনোযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদাসীনতাকেও দায়ী করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল, জিয়াউর রহমান হল ও লালন শাহ হলের চারপাশে ঝোপঝাড় চোখে পড়ার মতো। মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং খালেদা জিয়া হলের মাঝামাঝি জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট খেলার মাঠ সংলগ্ন পেয়ারা বাগান ঝোপঝাড়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। এছাড়াও ফুটবল খেলার মাঠের পূর্বপাশে, শিক্ষার্থীদের সময় কাটানোর জন্য মফিজ লেকসহ আবাসিক এলাকায় ঝোপঝাড়ের উপস্থিতি রয়েছে। ফলে রাস্তাঘাটে হাঁটতে বা রাতে মাঠে বসে আড্ডা দিতে গিয়েও দেখা মিলছে সাপের।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, এস্টেট অফিস, কেন্দ্রীয় দুইটি খেলার মাঠ, আবাসিক এলাকা, বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপ মারা পড়েছে।

প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, সব হলের প্রভোস্টের সাথে আলোচনা করব বিষয়টি নিয়ে। সবগুলো হলের চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। তবে আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীর কিছু সংকট আছে। ভাড়া করা লোকদের দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়, ফলে অনেকসময় সময়মতো করা হয়ে ওঠে না। এই সিন্ডিকেটে নিয়োগের কথা ছিল, কিন্তু নিয়োগ হয়নি এখনো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক সামছুল ইসলাম জোহা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। তাছাড়া আগামীকাল থেকেই ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের কার্যক্রম চলবে।

চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, সাপের উপদ্রব ইদানিং আমাদের মেডিকেল সেন্টারেও দেখতে পাচ্ছি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এর বিকল্প নেই। তবে যদি কাউকে সাপে কামড়ায়, তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের এখানে এন্টি ভেনমসহ সকল ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাপের কামড়ের পর আমরা যদি দুইটি দাঁতের চিহ্ন দেখতে পাই, তবে বুঝতে হবে সেটি বিষাক্ত। তাই কাউকে সাপে কামড়ালে সাথে সাথে তার ওপর শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে ফেলতে হবে। তারপর মেডিকেল সেন্টারে আসলে আমরা চিকিৎসা যতটুকু দরকার করতে পারব। আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

;

ছাড়া পেলেন অস্ত্র মামলার আসামী ইলিয়াস মিয়া



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামিনে ছাড়া পেলেন অস্ত্র আইনের মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া।

সোমবার (২০ মে) জামিনে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে আমরা খবর পেয়েছি হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক তিনি জামিন পেয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত হন ইলিয়াস মিয়া। সেই মাসের ২৩ তারিখ তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। তবে নয় মাসের মধ্যেই তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ির সালমানপুর এলাকার ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক ম্যাগাজিন ও দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদি হয়ে ঐ দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

ইলিয়াস মিয়া কুবির ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ব্যাচ) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৮ মে তিনি কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ–বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।

;

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্রীড়া বিভাগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্যাম্পাসের ক্রীড়া বিষয়ক নানা সমস্যা দূরীকরণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (২০ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বির উপস্থিতিতে ক্রীড়া সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ রায় ও উপ ক্রীড়া সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ফুটবল মাঠে স্থাপিত দুইটি সুপেয় পানির কল সংস্কার এবং ক্রিকেট মাঠে অনতিবিলম্বে দুটি পানির কল স্থাপন করতে হবে, ক্রিকেট মাঠে স্থায়ী দুইটি প্লেয়ার ডগআউট স্থাপন করতে হবে, জিমনেশিয়াম এবং ইনডোর সপ্তাহে ৭ দিন খোলা রাখতে হবে, ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে নতুনভাবে কংক্রিট পিচ স্থাপন করতে হবে, ফুটবল ও ক্রিকেট মাঠ যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে, সকল ইনডোর এবং আউটডোর গেমস সমূহ যথাযথভাবে আয়োজন করতে হবে।

এসময় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বলেন, আমি স্মরকলিপিটি জমা নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক ছিলো। আমি দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করবো। আশা করি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নিবে।

;