পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন চবির দুই উদ্যোক্তা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুইজন শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সমগ্র ক্যাম্পাসে টি-শার্ট ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তারা চালান পড়ালেখার খরচ।

উদ্যোক্তা দুইজন হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই বর্ষের শিক্ষার্থী আহমাদ আব্দুল্লাহ নাফিজ।

বুধবার (১৫ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির এক বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে তরুণ দুই উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে লভ্যাংশ দিয়ে পথ শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এদিন তারা দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে ২০ জন অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করেছেন।

উদ্যোক্তা মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমরা দেখতে দেখতে একটি বছর অতিক্রম করে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছি। বর্তমানে আমরা ফুড এবং ফ্যাশন দুইটি সেক্টরেই কাজ করে চলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য, চবি ক্যাম্পাসসহ সমগ্র বাংলাদেশের পোশাক খাত ও নির্ভেজাল খাদ্যের জগতে অবদান রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা গত এক বছরের লাভের একটি অংশ দিয়ে কিছু অসহায় ও পথশিশুদের এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আমরা নিজ হাতেই বাজার করে খাবারগুলো রান্না করে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এতে আমাদের আত্মতৃপ্তি কাজ করেছে। আমরা সামনে বৃহৎ পরিসরে আরও বড় কিছু করব ইনশাআল্লাহ।

আরেক উদ্যোক্তা আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেন, ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে কিছু করার ইচ্ছা ছিল, সেই ইচ্ছা থেকে এস্থেটিক (তাদের প্রতিষ্ঠান) এর জন্ম। এস্থেটিক এর শক্তি ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোবাসা। সেই আস্থাকে পুঁজি করে ভালো কোয়ালিটির কাপড় আর অর্গানিক ফুড পরিবেশনেই নজর থাকে আমাদের সবসময়ই।

   

কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের সময় আরও ৬দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে ৫ জুন পর্যন্ত আবেদনের সময় বর্ধিত করা হয়েছে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা (ট্রান্সজেকশন ফি ছাড়া)। আগামী ২০ জুলাই এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ায় বুধবার (২৯ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি এবং টেকনিক্যাল কমিটির এক জরুরি জুম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিভাসুর জ্যেষ্ঠ উপ সহকারী পরিচালক (গণযোগাযোগ ও জনসংযোগ) খলিলুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামাল।

উল্লেখ্য, এবার কৃষিগুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৩ হাজার ৭১৮টি। গত বছরের তুলনায় আসন বেড়েছে ১৭০টি। গত বছর আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫৪৮টি।

;

প্রশাসনের রোষানলে চাকরি খোয়ালেন জবির পেশ ইমাম



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে চাকরিচ্যুত করেছে জবি প্রশাসন। তাকে ঈদের আগে পরিবারসহ সরকারি বাসস্থান ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ইমামের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগই মিথ্যা বলে স্বীকার করেছেন ঘটনায় সম্পৃক্ত মেয়েটি।

ঘটনার সূত্রপাত, গত ১৮ মে রাতে। শারীরিক অসুস্থতা থাকায় ভুলবশত এশার নামাজ আদায় শেষে একজন ছাত্রী জবির কেন্দ্রীয় মসজিদে মেয়েদের নামাজের স্থানে ঘুমিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় রাতে মসজিদের পাহারাদার তালা লাগাতে গেলে ওই মেয়েকে দেখতে পান। পরে মসজিদের পাহারাদারের স্ত্রী মসজিদের ভেতর থেকে তাকে বের করে নিয়ে আসেন। তবে ইমাম বা পাহারাদার কেউই মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেননি।

এ বিষয়ে ইমামের সাথে মেয়েটিকে জড়িয়ে অনেক ধরণের কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ তুলা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ইমামকে ইমামতি করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করা হলে মেয়েটি জানান, ঘটনাটি ছিলো ১৮ মে রাতে প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে। আমি ওই দিন মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরবর্তীতে আমাকে মসজিদের দায়িত্বে থাকা একজন দেখতে পেলে তিনি তার সাথে একজন মহিলা (হয়তো ওনার স্ত্রী হবে) আমাকে ওই রুম থেকে বের করে আনেন। ইমাম সাহেব তখন ভেতরেই প্রবেশ করেননি। পরে বাইরে আসলে ঐখানে থাকা অবস্থায় ইমাম সাহেব প্রক্টর স্যারকে কল দেন। সেখানে প্রক্টর স্যারের সাথে মোবাইলে আমার কথা হয়। প্রক্টর স্যার আমাকে বলেন, তুমি তোমার হলের হাউজ টিউটরকে কল দাও। পরবর্তীতে আমি আমার হাউজ টিউটরকে কল দিলে উনি বলেন, তুমি হলে চলে আসো।

সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেও গতরাতে নিউজটা দেখেছি। একটা সিম্পল ইস্যুকে অনেক বড় করে ফেলা হয়েছে। ঐখানে তেমন কিছুই ঘটেনি। ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা।

এর আগে, জবির প্রক্টর অভিযোগ করেন তিনি ঘটনাটি জানার পরে নাকি সেখানে একজন সহকারী প্রক্টর পাঠিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেয়েটি বলেন, আমাকে এমন কোনো বিষয়ে নিশ্চিত করা হয় নাই যে সেখানে সহকারী প্রক্টর আসছেন। আমি সরাসরি হলে চলে গেছি। এছাড়াও প্রক্টর অফিস থেকে অভিযোগ তুলা হয় যে, ইমাম সাহেবকে নাকি ঐ ঘটনা জানার পরে প্রক্টর নিজেই কল দিয়েছিলেন এবং ইমাম নাকি মেয়েটাকে ফোনের ওই পাশ থেকে কথা শিখিয়ে দিচ্ছিলো। এ বিষয়ে মেয়েটি বলেন ইমাম সাহেব নিজেই প্রক্টরকে কল দিলে আমি স্যারের সাথে কথা বলেছি। আর ইমামের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ তুলা হচ্ছে সব মিথ্যা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি দ্রুত বিস্তারিত বিষয়টি তুলে আনবে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি তদন্তের জন্য দাফতরিক চিঠি পেয়েছি। এখন আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করব। তবে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে জবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম পুরুষদের নামাজের অংশে অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষকদের নিয়ে পুরুষদের সামনে বক্তৃতা পেশ করেন। বক্তব্য দেওয়ার আগে উপাচার্যকে মসজিদে ভেতরে এভাবে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানান ইমাম। আর এতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অনেকেই এই ঘটনায় ইমামের ওপর ক্ষুদ্ধ হন। ওই ইমাম বিগত ১৫-১৬ বছর এই মসজিদে ইমামতি করেন। তবে কখনো উনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠেনি।

;

চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে চিহ্নিত ২৩ জনকে শোকজ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে চিহ্নিত ২৩ জনকে শোকজ

চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে চিহ্নিত ২৩ জনকে শোকজ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গত মঙ্গলবার ২১ মে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে পরস্পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ২৩ জনকে চিহ্নিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন মারফতে তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই শেষে ২৩ জনকে চিহ্নিত করে শোকজ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও তদন্ত কমিটির সহকারী সচিব মোহাম্মদ রিফাত রহমান।

তদন্ত কমিটির সহকারী সচিব মোহাম্মদ রিফাত রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর ২৩ জনকে শোকজ করেছি। একসাথে তাদের হল, ডিপার্টমেন্ট ও পরিবারের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল থেকে নিয়ে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তারা কারণ ব্যাখ্যা করবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এখানে দুইটি ঘটেছে প্রথমটি ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে দ্বিতীয়টি আব্দুর রব হলের সামনে। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে তদন্তের স্বার্থে শোকজকৃত ২৩ জনের নাম গোপন রাখা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ২টায় চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এসময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। এ সময় বিজয়ের কর্মীরা মোটরসাইকেল প্রতীক ও সিএফসির কর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিজয়ের সালাহ উদ্দিনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা। এই ঘটনা বিজয় গ্রুপের কর্মীরা জানতে পারলে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা। এছাড়াও এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের আরও অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছিল বলে জানা গেছে।

ওইদিনই সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে সহকারী প্রক্টর এনামুল হককে আহ্বায়ক করে সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রিফাত রহমানকে সহকারী সচিব ও সহকারী প্রক্টর তানভীর হাসানকে সদস্য করা হয়।

;

প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে রাবি ও রুয়েট শিক্ষকদের কর্মবিরতি



রাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ জায়গা থেকে রাবির শিক্ষকবৃন্দ এবং সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন ভবন সংলগ্ন ২১৭ নম্বর কক্ষের নিচে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করেন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং স্বতন্ত্র সুপারগ্রেড প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।


কর্মসূচির বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, আমি রাবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগে চিঠি দিয়েছিলাম। আমার জানামতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ নিজ নিজ জায়গা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। আজকে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান রিপন বলেন, সর্বজনীন পেনশন নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না করা হলে আমরা আরও বড় কর্মসূচির দিকে ধাবিত হবো। আগামী ৪জুন আমরা অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করব। এরপরও দাবি আদায় না হলে, পহেলা জুলাই থেকে আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করব।

কর্মসূচিতে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ২৬ মে একই দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

;