বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ : প্রস্তুতি ও পড়াশোনা



নাজমুল হুদা, পেশা বিষয়ক লেখক ও, উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ : প্রস্তুতি ও পড়াশোনা

বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ : প্রস্তুতি ও পড়াশোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজ করার স্বপ্ন যাদের, তাদের জন্য আবারো সুবর্ণ সুযোগ! গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৮৮ টি সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

যেকোন বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (কমপক্ষে দু’টি প্রথম শ্রেণিসহ) ডিগ্রি থাকলে আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরা নিশ্চয় অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেহেতু তথাকথিত ব্যাংকিং সেবা দিতে হয়না, বরং বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়ে পড়াশোনা করেও সামগ্রিক অর্থনীতি, উন্নয়ন ও ব্যাংকিং খাতের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে যুক্ত থেকে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ থাকায় ক্রমেই চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্রমবর্ধমান এই আবেদনকারীদেরকে টপকে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পড়াশোনা, পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি। নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিলে সাফল্য আসা সময়ের ব্যাপার। অবশ্য বেশিরভাগ চাকরিপ্রত্যাশী অনেক আগ থেকেই প্রস্তুতি পর্ব শুরু করেছেন।

শুরুটা হতে পারে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন দেখে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

সহকারী পরিচালক পদের বাছাই প্রক্রিয়া সাধারণত তিনভাগে ৩০০+২৫ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপটি নকআউট ভিত্তিক বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপর্ব বা এমসিকিউ। চাকরি প্রার্থীদের জন্য এটি টিকে থাকার লড়াই। তাই স্কোর যা-ই তুলতে পারেন না কেন টিকে থাকলেই চলবে। ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সব বল খেলার মত সব প্রশ্নের উল্টর দিতে যাবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। কারো পক্ষেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনও নেই।

প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ৬০ মিনিট সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটির জন্য গড়ে ৩৩ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে ০.২৫ নম্বর।

স্বাভাবিকভাবেই মনস্তাত্বিক চাপ থাকবে। তাই এই অংশে ভাল করার জন্য সময় সতকর্তা, তাতক্ষনিক বুদ্ধিমত্তা, মনোযোগ ও মনোবল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথোপযুক্ত প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দিতে পারা এক ধরণের বাড়তি দক্ষতা। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে হাতে যতটুকু সময় পান প্রতিদিন অনুশীলন করুন। সাফল্য আসবেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় সাধারণত বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, গনিতে ৩০,সাধারণ জ্ঞান থেকে ২০ এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি অংশে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। বাংলার ক্ষেত্রে সাহিত্য ও ব্যাকরণ থেকে সমান সংখ্যক প্রশ্ন হতে পারে তবে ইংরেজিতে সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দসহ অ্যানালজি, বাক্যে ভুল নির্নয়, বাক্য সম্পূর্ণ ক্রিয়ার ব্যবহার সংক্রান্ত বেশি প্রশ্ন দেখা যায়। বাংলায় প্রশ্নের ক্ষেত্রে সমসাময়িক সাহিত্যকর্মের প্রাধান্য থাকে। এছাড়া শুদ্ধিকরণ, প্রবাদ প্রবচন, বাগধারা, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয় ও এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন হয়। এ অংশে পড়াশোনার জন্য নবম-দশম শ্রেণীর ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটিসহ প্রচলিত ভাল মানের গাইড বই রাখতে পারেন। তবে আনুপাতিকভাবে গনিতে নম্বর বেশি এবং পরীক্ষায় উত্তর করতেও বেশি সময় লাগে বলে অনুশীলন বাড়াতে হবে। ক্যালকুলেটর ছাড়াই বিভিন্ন বই থেকে ইংরেজিতে অংক করার অভ্যাস করুন। ভয় কেটে যাবে। মনোবল বৃদ্ধি পাবে। কম্পিউটার ও প্রযুক্তি নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। এ অংশ থেকে দশটি প্রশ্ন থাকে। সিলেবাস সীমিত তাই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় ভালভাবে আয়ত্ত্ব করতে পারলে এ অংশে পূর্ণ নম্বর পেতে পারেন। কম্পিউটার প্রযুক্তির জন্য নবম-দশম বা উচ্চমাধ্যমিকের কম্পিউটার বইসহ বাজারের যেকোনো গাইড বই আদ্যেপান্ত ভালভাবে পড়ে ফেলুন। পাশাপাশি দৈনিক পত্রিকার টেক বা প্রযুক্তি পাতা নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করলে কাজে আসবে। পত্রিকায় প্রতিদিন সমসময়িক নানা ঘটনার বিবরণ-বিশ্লেষণ পড়লেই সাধারণ জ্ঞান অংশের প্রস্তুতি অনেকখানি হয়ে যাবে। বাকিটা যেকোনো বই থেকে পড়লেই প্রিলিমিনারীর জন্য চলবে। 

প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার বৈতরনী পার হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ পক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল লিখিত পরীক্ষা। দুই ঘন্টার দুইশত নম্বরের এই পরীক্ষার উপরই অনেকটা নির্ভর করে চূড়ান্ত নিয়োগের সম্ভাবনা।

যেহেতু প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার নম্বর যোগ হবেনা এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর তুলনামূলক কম তাই লিখিত অংশে ভাল করার বিকল্প নেই। ভাল করতে চাওয়া মানে বাড়তি চাপ নেওয়া নয়। যেহেতু সবচেয়ে কঠিন এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ ধাপ পেড়িয়ে এসেছেন তার মানে আপনার প্রস্তুতি যথেষ্ট ভাল। প্রয়োজনীয় খুটিনাটি বিষয় আপনার দখলে। লিখিত পরীক্ষায় সেগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরাই আপনার কাজ। তাছাড়া লিখিত’র জন্য যে কয়েক মাস সময় পাবেন তা কীভাবে কাজে লাগাবেন সে পরিকল্পনা করে ফেলুন এখনই। এজন্য প্রয়োজনীয় রসদ জোগাড় করতে থাকুন। বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজিতে ফোকাল রাইটিং (নির্দিষ্টি বিষয়ে নির্ধারিত জায়গার সংক্ষিপ্ত রচনা) ক্রিয়েটিভ রাইটিং, বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ অনুশীলন করতে পারেন। এগুলো প্রিলিমিনারী ও লিখিত উভয় অংশে কাজে লাগবে। যেমন বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স, বৈদেশিক মুদ্রার বিজার্ভ, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়ন, দরিদ্রতা হ্রাস, কয়েক বছরের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি(জিডিপি), রপ্তানী বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিস্তিতি, ব্যাংকিং বিকাশ ও আর্থিক অন্তভূক্তিসহ সমসাময়িক বিষয়গুলো সূত্রসহ ছক আকারে কয়েক পৃষ্টার মধ্যে লিখে রাখতে পারেন। বাংলা কিংবা ইংরেজি যে মাধ্যমই হোক, লিখতে গেলে এ তথ্যগুলো কাজে আসবে। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান বা বিশিষ্ট ব্যক্তির পর্যবেক্ষন নির্ভর মন্তব্য বা উক্তিও আরেক পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করে রাখলে লেখার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া ইংরেজি ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয় কলাম, অর্থ ও বানিজ্য পাতা, বিঞ্জান ও সাহিত্য সাময়িকী নিয়মিত পড়লে ভাল লেখার পাশাপাশি অনুবাদ দক্ষতাও বাড়ে।

এখন থেকে আপনার ধারাবাহিক পড়াশোনা নিয়োগের সর্বশেষ ধাপ মৌখিক পরীক্ষায়ও ইতিবাচক ফল দেবে, এগিয়ে রাখবে সাফল্যের দৌড়ে। প্রস্তুতি পর্বে এগিয়ে থাকলে দেখা হবে বিজয়ে।

 পরামর্শ দিয়েছেন:

 নাজমুল হুদা
 পেশা বিষয়ক লেখক ও
 উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

   

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৬৮১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর সর্বমোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। 

পরীক্ষার ফলাফল http://ntrca.teletalk.com.bd/result/ লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়াও উত্তীর্ণদের মোবাইলে এসএমএস'র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

একই দিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।

জানা যায়, ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকুরীপ্রার্থী আবেদন করেন।

;

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫৪৫৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৫৬ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ২২ জেলায় (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এসব প্রার্থী পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশিত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.govt.bd এ পাওয়া যাবে। 

উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

;

দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চাই সবসময় : আবির হাসান



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র কৃষক-গৃহিণী দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেন আবির হাসান। কে জানতো এই আবির হাসানই একদিন সেনাবাহিনীর অফিসার হয়ে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন পাবনার চাটমোহর এলাকার সন্তান আবির হাসান।

চাটমোহর এলাকার আবির হাসান ছিলেন ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। ইচ্ছে ছিল একদিন অনেক বড় হবেন, কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্রতা। তবে দারিদ্রতা যে সফলতার রাস্তার বাঁধা হতে পারে না, সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন আবির।

বাবার সঙ্গে লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চাষ করেছেন আবার ঠিকই লেখাপড়াও করেছেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছেলে সে। তার মনের বাসনায় ছিল পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। পরিবারের সবার ছোট ছেলেটাই এখন আর্মি অফিসার।

যদিও প্রথমে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না তার, তবুও পরিবারের চাওয়ায় যুক্ত হোন সেনাবাহিনীতে। তার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা সৃজন দিয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আবির হাসান।

গ্রাম থেকে নবম শ্রেণি পাশ করে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হোন, সেখান ভালো ফলাফল করে। গ্রাজুয়েশনের জন্য ভর্তি হোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিউপি)। সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেন। আমেরিকান কমান্ডো ট্রেনিংও করেছেন আবির।

দরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠার কারণে দারিদ্রতা কাছ থেকেছেন আবির। তাই দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেন সবসময় আবির। মানুষের দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হতে চেষ্টা করেন। যেমন তিনি নিয়েছেন নিজ পরিবারের দায়িত্ব, তেমনি গরীব পরিবারের দায়িত্বও নিজ হাতে নিয়েছেন তিনি।

আবির হাসান বলেন, দারিদ্রতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সফল। আমি দরিদ্র মানুষেরদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আবির হাসান সবসময় নিজেকে একজন আর্দশবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার প্রত্যাশা আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

;

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৩৬.৩৩ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়।

বিকেলে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এবছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ৭৫ নম্বরের উপরে ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে ৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ৩১০৮৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ফলাফল প্রকাশের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;