বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী টেক ইভেন্ট আমেরিকার সিইএস ফেয়ারে ওয়ালটন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী টেক ইভেন্ট আমেরিকার সিইএস ফেয়ারে ওয়ালটন

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী টেক ইভেন্ট আমেরিকার সিইএস ফেয়ারে ওয়ালটন

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জমকালো টেক ইভেন্ট ‘কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো (সিইএস)-২০২৩’। আমেরিকার লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিতব্য সর্ববৃহৎ এই প্রযুক্তি মেলায় যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সিইএস ফেয়ারে বিশ্বের বড় বড় টেক জায়ান্টগুলো তাদের প্রযুক্তির উৎকর্ষতা উপস্থাপন করে থাকে।

অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ব্র্যান্ডের অগ্রযাত্রায় ওয়ালটন এ মেলায় যুগান্তকারী উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে। উপস্থাপন করবে আগামী প্রজন্মের সর্বাধুনিক ফিচারের নানা প্রযুক্তিপণ্য। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্প খাতের জন্য এটি বিশাল মাইলফলক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে।

উল্লেখ্য, প্রযুক্তি খাতের মেগা শো সিইএস হচ্ছে বিশ্বসেরা উদ্ভাবকদের মিলনমেলা। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ মেলায় নতুন উদ্ভাবনী পণ্য ও ধারণা প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলো নতুন ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সুপরিচিত প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘লাস ভেগাস কনভেনশন সেন্টার’ এ ২ দশমিক ৬ মিলিয়নেরও বেশি বর্গফুট জায়গাজুড়ে এ মেলার আয়োজন করেছে কনজ্যুমার টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন (সিটিএ)। চলতি বছর ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মেলা।

এবারের মেলায় প্রযুক্তি খাতের খ্যাতনামা গ্লোবাল ব্র্যান্ডসহ সাড়ে ৪ হাজারের বেশি কোম্পানির অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রায় ২০ হাজার নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শিত হবে। এতে ১৬০টিরও বেশি দেশের দেড় লাখ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী, প্রযুক্তিবিদ, কনজ্যুমার টেকনোলজি সরবাহকারী ও ডেভেলপার অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। তাই, সিইএস ফেয়ারে ওয়ালটনের অংশগ্রহণকে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য খাতের জন্য মাইলফলক বলে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা শাখা) নায়েম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফেয়ারগুলো এই অর্থনৈতিক কূটনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। সেক্ষেত্রে সিইএস অবশ্যই একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটন প্রথমবারের মতো এ প্ল্যাটফর্মে অংশ নিতে যাচ্ছে, এটি সুসংবাদ। আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্ব দরবারে দেশকে তুলে ধরার প্রয়াসে কাজ করছি। ইতিবাচক কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ে জোর দিচ্ছি। এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্মে ওয়ালটন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এ আয়োজনে ওয়ালটনের সফলতা এবং মঙ্গল কামনা করছি।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভিউল্যুশনে ওয়ালটনের অনেক বড় ভূমিকা আছে। আমাদের ইলেকট্রনিক্স খাতে ওয়ালটন যে অবদান রাখছে, তা বাংলাদেশের জন্য সত্যিই গর্বের। ওয়ালটন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। ওয়ালটন তাদের পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। এছাড়া, বিভিন্ন দেশে শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে। ওয়ালটনের সিইএস ফেয়ারে অংশগ্রহণের ফলে ইলেকট্রনিক্স খাতে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান বলেন, ইউরোপের কয়েকটি দেশে আমাদের দেশ থেকে ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিতব্য কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো বা সিইএস-২০২৩ আমেরিকার বাজারে ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানির জন্য একটি ‘নকিং ডোর’ হতে পারে। এই ফেয়ারে ওয়ালটন আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে, এটি অবশ্যই সুসংবাদ। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম আরো সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছি।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, বিশ্ব প্রযুক্তিপণ্য খাতের ফ্ল্যাগশিপ ট্রেড শো ‘সিইএস’-এ ওয়ালটন প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশগ্রহণ করছে। যেখানে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত আগামী প্রজম্মের সর্বাধুনিক ফিচারের উদ্ভাবনী প্রযুক্তিপণ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হবে। এটি শুধু ওয়ালটনেরই নয়; বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্প খাতের জন্যও এক বিশাল মাইলফলক। এর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে, অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।

ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার ও সিইএস মেলার সমন্বয়ক প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন জানান, ওয়ালটনের ভিশন ‘গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই তারা ‘সিইএস’-এ অংশ নিয়েছেন। মেলার ১৭৯২৮ নাম্বার প্যাভিলিয়নটি ওয়ালটনের। তিনি সবাইকে ‘সিইএস’ ফেয়ারে ওয়ালটনের জায়ান্ট প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের আহ্বান জানান।

জানা গেছে, ‘সিইএস-২০২৩’ আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) বেজড অত্যাধুনিক ফিচারের প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন করবে ওয়ালটন। এর মধ্যে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট এয়ার কন্ডিশনার (এসি); ৩ডি এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি, ক্লাউড কানেকটিভিটি, স্মার্ট অ্যালার্ট সিস্টেম, সুপার ফ্রিজিং টেকনোলজি, ফাস্ট আইস মেকিং, ইউনিফরম কুলিং ফ্লো এবং আল্ট্রা লো নয়েজ ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্ট রেফ্রিজারেটর; ফোর-কে রেজ্যুলেশনের ওয়েবওএস অপারেটিং সিস্টেম, ভিডিএস সনদপ্রাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার বাল্ব ও ফায়ার প্রোটেকশন এজেন্ট, ডলবি অ্যাটোমসের মতো সর্বাধুনিক ফিচারের গুগল সার্টিফায়েড অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি, ১১ জেনারেশনের ল্যাপটপ, পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড), স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট টেবিল, সাইলেন্ট ফিচারের পরিবেশবান্ধব কম্প্রেসর, স্মার্টফোন, অ্যারোডাইনামিক ডিজাইনের লো-নয়েজ ফ্যান।

সিইএস-এ প্রদর্শিতব্য ওয়ালটনের পণ্য তালিকায় আরও আছে—অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও গ্লাস ডোর, ওক্সিফ্রেশ, এয়ার ট্র্যাশ, স্টেইন ট্র্যাশ, ইন্টেলিজেন্ট ড্রাইং, ওয়াইফাই স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচারের ওয়াশিং মেশিন, আইস ক্র্যাশার, চপার, এসএস ব্লেন্ডার, ওয়াইফাই বেজড স্মার্ট কন্ট্রোল এলইডি লাইট, ডিজিটাল কুকার, রাইস কুকার, ইন্ডাকশন কুকার, স্মার্ট স্টিম মোড, মাইক্রোফাইবার প্যাড স্ট্রাকচার এবং এলইডি ডিসপ্লে উইনডো ফিচারের ভ্যাকুয়াম ক্লিনার।
পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি ‘সিইএস-২০২৩’ এ ১৭৫টির বেশি কনফারেন্স সেশন হবে। এসব সেশনে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) ও রোবোটিক্স, পরিবেশ ও স্থায়িত্ব, মেটাভার্স ও গেমিং, ডিজিটাল স্বাস্থ্য, স্মার্ট হোম ও লাইফস্টাইল, যানবাহন প্রযুক্তি ও উন্নত গতিশীলতা, হোম বিনোদন, স্ট্রিমিং এবং আরও অনেক কিছুর অগ্রগতি তুলে ধরা হবে।

   

মঙ্গলবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে বিক্রি শুরু করা হবে।

সোমবার (৬ মে) সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বারিধারা পার্কের পাশে উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

একজন কার্ডধারী সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ৬০ দামে বিক্রি করা হবে।

;

ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি, দাবি নতুন চেয়ারম্যানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। 

সোমবার (০৬ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোনো বিশেষ গোষ্ঠী কি ব্যাংকটি দখল করেছে? জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, ‘না না এটি সঠিক নয়, ব্যাংকটি দখল হয়নি।’

তবে নতুন গঠিত পর্ষদের অনেক পরিচালক নিজেরাও জানেন না তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে নতুন পর্ষদ। পরে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে’ বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করেন চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (০২ মে) আগের পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ চার জন পদত্যাগ করেন। পরে রোববার (৫ মে) নতুন পর্ষদ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি দখলে নিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন ডাকে নতুন পর্ষদ।

প্রতিনিধি পরিচালকরা কে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন এবং ওই প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের কত শতাংশ শেয়ারের মালিক তা জানতে চান উপস্থিত সাংবাদিকরা। এসময় চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেননি পরিচালকদের। তিনি বলেন, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তা লিখিত আছে। সিএফও পরে জানাতে পারবেন।

এরপর উপস্থিত থাকা প্রতিনিধি পরিচালকদের কাছে তাদের পরিচয় ও কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়েছেন তা জানতে চাওয়া হলে তারাও পরিচয় দিতে পারেননি। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করে চলে যান চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। সেখানে প্রতিনিধি পরিচালকদের নাম উল্লেখ করা হয়– ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রতিনিধি পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সফিকুর রহমান, প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধি পরিচালক এরশাদ মাহমুদ, প্রতিনিধি পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল করিম, প্রতিনিধি পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ড. রত্না দত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদার নাম বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুর দিকে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিকভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের মূলধনে শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবেন। এছাড়া পরে আরও তিন হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন আমানত সংগ্রহ ক্যাম্পেইনের ও প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এতে ন্যাশনাল ব্যাংকের চলমান তারল্য সংকট নিরসন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খারাপ হয়ে যাওয়া ঋণ পুনরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশেষত খারাপ ঋণ পুনরুদ্ধারে কাউকেই কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ জানায়।

ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে কি না– জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, আগে ব্যাংকটির অনেক টাকা এদিক-সেদিক হয়েছে। পরিচালকদের লুটপাটের কারণে ব্যাংকটি দুর্বল হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক উন্নতির শর্ত দিয়েছে। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে ওই শর্ত পূরণ করার চেষ্টা করব।

;

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন উদ্যোক্তা পরিচালক আলহাজ খলিলুর রহমান।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে।

সোমবার ন্যাশনাল ব্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়, খলিলুর রহমান দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি)।

তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম পটিয়া সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি উক্ত ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য শেয়ারের অধিকারী। এছাড়াও তিনি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার। তিনি ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন লায়ন্স ক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট লিমিটেড (সিনিয়রস ক্লাব), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ও জিরি জনকল্যাণ ট্রাস্টের আজীবন সদস্য।

শিক্ষাক্ষেত্রের বিস্তারেও আলহাজ খলিলুর রহমানের রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও খলিলুর রহমান মহিলা কলেজ, খলিল মীর ডিগ্রি কলেজ, খলিল রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করতলা বেলখাইন মহাবোধি উচ্চ বিদ্যালয়, খলিলুর রহমান শিশু নিকেতন (কিন্ডার গার্টেন), সাবেরিয়া খলিলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও সান্দাইর গাউসিয়া তৈয়েবিয়া দেলোয়ারা বেগম সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সমূহের সভাপতি। এর পাশাপাশি তিনি সুপরিচিত জনহিতৈষী এবং দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

;

লোডশেডিং শূন্যে নেমে এসেছে, দাবি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে গ্রামাঞ্চলে যে লোডশেডিং ছিল তা শূন্যে নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাপপ্রবাহে দেশের কোথাও কোথাও লোডশেডিং করতে হয়েছিল। সে পরিস্থিতি এখন নেই।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানে। এটা গত এক মাস ধরে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। এছাড়া, তেলেরও স্বল্পতা ছিল। এ সব বিষয় নজরদারিতে নিয়ে আমরা এখন একটা ভালো পজিশনে এসেছি।

তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। গ্রামাঞ্চলে যত দ্রুত পারা যায় তার ব্যবস্থা নিতে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নিয়েছি, এখন আমরা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামের লোডশেডিং কমাতে শহরে বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে আরেক স্থানে দিতে হবে। আমি মনে করি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের অধিকার আছে সংসদে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা তুলে ধরেছেন। সেগুলো প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় করা শুরু করেছে। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড হলেও সর্বোচ্চ চাহিদাও রয়েছে। এবার গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এটার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যতটুকু প্রস্তুতি ছিল সে পর্যন্ত আমরা দিয়েছি। তার ওপরে আমরা যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের হাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না।

;