রোজার আগেই লাগামহীন খেজুর!



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রোজার আগেই লাগামহীন খেজুর!

রোজার আগেই লাগামহীন খেজুর!

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযম সাধনাই রমজানের অন্যতম লক্ষ্য। গোটা বিশ্বের এই মাসে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। দেওয়া হয় নানা রকমের ছাড়! অথচ রমজানে উলটো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। যে-যেভাবে পারেন রমজানে পণ্যের দাম বাড়তি নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। ফলে প্রতিবছর রমজানে সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায় অসাধু ব্যবসায়ীদের মাঝে।

বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে অস্থিরতা চলছে সাধারণ ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, রমজানকে সামনে রেখে দামের বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। বর্তমান বাজারের পণ্যমূল্য দেখে রোজার কথা ভেবে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। তাদের মনে একটাই প্রশ্ন- রোজায় দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে তো? ক্রেতাদের দাবি, ঈদকে সামনে রেখে লাভের সঙ্গে লোভ যুক্ত হওয়ায় রোজায় বাড়ে পণ্যের দাম! তারা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার দাবি জানান।

সাধারণত রমজান এলে, খেজুর, ছোলা, বুট, বেসন, গরম মসলা, চিনি, মরিচ, বেগুন, ডাল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, মাছ এবং শাকসবজি ফলমূল সহ সকল পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন ক্রেতারা। যদিও এবার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর রোজার এই আট পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এসব পণ্য ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা যাবে। এই সুবিধার সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ।

রোজা মাসে ইফতারে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার খেজুর। বাংলাদেশ খেজুর আমদানি করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। আমদানিকৃত খেজুরের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়- মেডজল, খুরমা খেজুর, দাপাশ, আজোয়া, বড়ই খেজুর, মরিয়ম, খালাস। এছাড়া তিউনিসিয়া ও আলজেরিয়া থেকে আসা ডালালা জাতের খেজুর সবচেয়ে জনপ্রিয়।

লন্ড্রি ব্যবসায়ী মোফাজ্জল জানান, রোজা ছাড়াও তিনি নিয়মিত বাসায় খেজুর খেয়ে থাকেন। খেজুর একদিকে যেমন অনেক শক্তি যোগায় অন্যদিকে ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে রমজান মাসে খেজুর দিয়ে ইফতার করা উত্তম।

তিনি বলেন, গত বছর রমজানে যে সাধারণ খেজুর কিনেছিলাম ২২০ টাকা করে কিন্তু এবার সেই খেজুর এখনি বাজারে ৩০০-৩৫০ টাকা চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সুতরাং রমজান মাস এলে যে কি হবে তা আল্লাহ ভালো জানে। মূলত লাভের সঙ্গে লোভ যুক্ত হবার কারণে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। সরকারের উচিৎ আরও বেশি বেশি মনিটরিং করা।

আরেকজন ষাটোর্ধ্ব ক্রেতা মো: আব্দুস সালাম জানান, তিনি নিয়মিত খেজুর কেনেন। কিন্তু বর্তমানে খেজুরের যে দাম তা আগে কখনো দেখেননি তিনি। দাম বাড়ার পিছনে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং ডলার সংকটকেই দায়ী বলে মানেন তিনি।

বিদেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, সৌদি আরবে যে খেজুর দশ রিয়ালে বিক্রি হয় মানে বাংলাদেশি টাকায় ১৮০-২০০টাকায় সেই খেজুর দেশের বাজারে বিক্রি হয় ৪৫০-৬০০ টাকায়।

ঢাকায় মিরপুর-১, মিরপুর-১০ এবং শেওড়াপাড়ার কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে বর্তমানে, খুরমা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি যা আগে বিক্রি হতো ২০০-২২০ টাকা দরে। দাপাস জাতের খেজুর ৪৫০টাকা কেজি যা আগে বিক্রি হতো ২২০-২৫০ টাকা কেজি। রেজিস্ট বড়ই ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিলো ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি। এছাড়া মরিয়ম ৭৫০,খালাস খেজুর ৪০০, তিনিউশিয়া এবং  আলজেরিয়া থেকে আসা ডালালা জাতের খেজুর ৫৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দামী জাতের খেজুর আজোয়া আগে ১০০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত রমজানের চাইতে এবার খেজুরের দাম এখনই অনেক বেশি। কেজিপ্রতি খেজুরের দাম এরই মধ্যে ১০০-১৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই এবার রমজানে দাম আরও বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা আছে বলেও জানায় ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ গত বার সরকার খেজুরে ২৭০ টাকা কেজি প্রতি ভ্যাট ধরার কারণে খেজুরের দাম এতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মিরপুরের ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন ফলমূল বিক্রি করতেন। তবে গত পাঁচ সাত বছর ধরে তিনি খেজুরের ব্যবসা করছেন। তার দাবি খেজুরের মূল্য বৃদ্ধির পিছনে শুধু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দিলে হবে না। সরকারের এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে হবে।


তিনি বলেন, খেজুর প্রতিদিন এলসি হয়না। তার অভিযোগ মাসরুক জাতের  খেজুর দশ কেজির বক্স ২৮০০-২৯০০ টাকা এনে এক সপ্তাহের মাথায় প্রথমে ৩০০টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও তারপর সেই খেজুর আবার ৩২০০ এবং তারপর ৪০০০ টাকা দরে তাকে কিনতে হয়েছে। এতে এখন তার খেজুর কিনতেই কেজিপ্রতি গুনতে হয়েছে ৪০০ টাকা করে।

এখন তার প্রশ্ন যদি ৪০০ টাকা দরে এক কেজি খেজুর কিনি তাহলে বিক্রি করবো কতো। দোকানের স্টাফ, বিদ্যুৎ বিল, লাইন ম্যানের চাঁদা, রাস্তার খরচ সবমিলিয়ে খেজুরের দাম পরে ৪৩০ টাকার বেশি। এক কেজি খেজুর বিক্রি করে যদি বিশ টাকা চল্লিশ টাকা লাভ না হয় তাহলে তো ব্যবসা গুটিয়ে বাসায় বসে থাকতে হবে। এরপর মালের মধ্যে পচা, ওজনে ঘাটতি সহ নানা রকমের সমস্যা রয়েছেই। এদিকে সংসার চালানোই এখন দায়। তার উপর ভোক্তা অধিদপ্তর এর লোকজন এসে জরিমানা করে। নানান সমস্যা।

আরেক ব্যবসায়ী কাওসার জানান, আমরা এক কেজি খেজুরের সর্বোচ্চ মেডজল বা আমবার জাতের খেজুর ৭০০০ টাকা থেকে কাটুন ১৪০০০ টাকায় কেনা পরলে ১৫০-২০০ থেকে লাভে বিক্রি করি।

এক কনটেইনার মাল মানে দুই কার্গো মালের ২০২২ সালে ছিলো ১৭ লাখ টাকা ভ্যাট। আর এখন ২০২৩ সালে ৫০ লাখ টাকা ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। তাহলে দাম বাড়বে না কেনো?

রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে কারণ জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন বার্তা ২৪.কম’কে বলেন, রমজান মাস আসলে কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। যেমন-খেজুর, ছোলা, ভোজ্য তেল ইত্যাদি।  চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে যদি সরবরাহের উন্নতি না হয় তাহলে দাম বাড়াটা স্বাভাবিক। সরবরাহ পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে দাম বাড়বে না।

তিনি আরও বলেন, একটা প্রবণতা আমরা অনেক সময় দেখি সেটি হলো, যারা বিত্তবান, যারা একসাথে বেশি জিনিস কিনেন, যাদের বাড়তি চাহিদা রয়েছে এটা পরিহার করা উচিত। যার যতটুকু প্রয়োজন শুধু ততটুকুই ক্রয় করা উচিত। একসাথে ১৫ দিন বা ১ মাসের জিনিসপত্র ক্রয় করা উচিত নয়। তবে বাজারে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুত থাকে সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা উচিত। একসাথে যাতে বেশি পণ্য না কিনে সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত বলে মনে করেন গোলাম রহমান।

   

মঙ্গলবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে বিক্রি শুরু করা হবে।

সোমবার (৬ মে) সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বারিধারা পার্কের পাশে উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

একজন কার্ডধারী সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ৬০ দামে বিক্রি করা হবে।

;

ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি, দাবি নতুন চেয়ারম্যানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। 

সোমবার (০৬ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোনো বিশেষ গোষ্ঠী কি ব্যাংকটি দখল করেছে? জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, ‘না না এটি সঠিক নয়, ব্যাংকটি দখল হয়নি।’

তবে নতুন গঠিত পর্ষদের অনেক পরিচালক নিজেরাও জানেন না তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে নতুন পর্ষদ। পরে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে’ বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করেন চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (০২ মে) আগের পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ চার জন পদত্যাগ করেন। পরে রোববার (৫ মে) নতুন পর্ষদ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি দখলে নিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন ডাকে নতুন পর্ষদ।

প্রতিনিধি পরিচালকরা কে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন এবং ওই প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের কত শতাংশ শেয়ারের মালিক তা জানতে চান উপস্থিত সাংবাদিকরা। এসময় চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেননি পরিচালকদের। তিনি বলেন, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তা লিখিত আছে। সিএফও পরে জানাতে পারবেন।

এরপর উপস্থিত থাকা প্রতিনিধি পরিচালকদের কাছে তাদের পরিচয় ও কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়েছেন তা জানতে চাওয়া হলে তারাও পরিচয় দিতে পারেননি। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করে চলে যান চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। সেখানে প্রতিনিধি পরিচালকদের নাম উল্লেখ করা হয়– ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রতিনিধি পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সফিকুর রহমান, প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধি পরিচালক এরশাদ মাহমুদ, প্রতিনিধি পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল করিম, প্রতিনিধি পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ড. রত্না দত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদার নাম বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুর দিকে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিকভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের মূলধনে শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবেন। এছাড়া পরে আরও তিন হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন আমানত সংগ্রহ ক্যাম্পেইনের ও প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এতে ন্যাশনাল ব্যাংকের চলমান তারল্য সংকট নিরসন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খারাপ হয়ে যাওয়া ঋণ পুনরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশেষত খারাপ ঋণ পুনরুদ্ধারে কাউকেই কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ জানায়।

ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে কি না– জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, আগে ব্যাংকটির অনেক টাকা এদিক-সেদিক হয়েছে। পরিচালকদের লুটপাটের কারণে ব্যাংকটি দুর্বল হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক উন্নতির শর্ত দিয়েছে। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে ওই শর্ত পূরণ করার চেষ্টা করব।

;

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন উদ্যোক্তা পরিচালক আলহাজ খলিলুর রহমান।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে।

সোমবার ন্যাশনাল ব্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়, খলিলুর রহমান দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি)।

তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম পটিয়া সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি উক্ত ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য শেয়ারের অধিকারী। এছাড়াও তিনি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার। তিনি ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন লায়ন্স ক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট লিমিটেড (সিনিয়রস ক্লাব), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ও জিরি জনকল্যাণ ট্রাস্টের আজীবন সদস্য।

শিক্ষাক্ষেত্রের বিস্তারেও আলহাজ খলিলুর রহমানের রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও খলিলুর রহমান মহিলা কলেজ, খলিল মীর ডিগ্রি কলেজ, খলিল রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করতলা বেলখাইন মহাবোধি উচ্চ বিদ্যালয়, খলিলুর রহমান শিশু নিকেতন (কিন্ডার গার্টেন), সাবেরিয়া খলিলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও সান্দাইর গাউসিয়া তৈয়েবিয়া দেলোয়ারা বেগম সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সমূহের সভাপতি। এর পাশাপাশি তিনি সুপরিচিত জনহিতৈষী এবং দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

;

লোডশেডিং শূন্যে নেমে এসেছে, দাবি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে গ্রামাঞ্চলে যে লোডশেডিং ছিল তা শূন্যে নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাপপ্রবাহে দেশের কোথাও কোথাও লোডশেডিং করতে হয়েছিল। সে পরিস্থিতি এখন নেই।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানে। এটা গত এক মাস ধরে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। এছাড়া, তেলেরও স্বল্পতা ছিল। এ সব বিষয় নজরদারিতে নিয়ে আমরা এখন একটা ভালো পজিশনে এসেছি।

তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। গ্রামাঞ্চলে যত দ্রুত পারা যায় তার ব্যবস্থা নিতে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নিয়েছি, এখন আমরা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামের লোডশেডিং কমাতে শহরে বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে আরেক স্থানে দিতে হবে। আমি মনে করি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের অধিকার আছে সংসদে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা তুলে ধরেছেন। সেগুলো প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় করা শুরু করেছে। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড হলেও সর্বোচ্চ চাহিদাও রয়েছে। এবার গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এটার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যতটুকু প্রস্তুতি ছিল সে পর্যন্ত আমরা দিয়েছি। তার ওপরে আমরা যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের হাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না।

;