টানা ৫ দফায় কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ নিয়ে টানা ৫ দফায় সোনার দাম কমানো হয়েছে মোট ৬ হাজার ৮১২ টাকা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৪০২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা।

এ নিয়ে গত ১১ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৮ বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৬ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। সবশেষ ৫ সমন্বয়েই হ্রাস পেয়েছে সোনার দাম।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৮ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

   

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে বৈদেশিক ঋণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে একদিনের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় গত মার্চে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৪২০ কোটি ডলার।

গত বৃহস্পতিবার টাকার অবমূল্যায়নের আগে ডলারের দাম ১১০ টাকা হিসাবে এর পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার থেকে ১১৮ টাকা হিসাবে ঋণ বেড়েছে ৪৯ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।

এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার বাড়ায় বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সুদের টাকা যোগ করলে মোট অঙ্ক দাঁড়ায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।

সূত্র জানায়, বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিয়ে তা দেশীয় মুদ্রায় রূপান্তর করে উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ঋণ ফেরত দেওয়ার সময় স্থানীয় মুদ্রাকে বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করতে হয়। ওই সময়ে বাজারে প্রচলিত ডলারের দামে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে হয়। এ কারণে ডলারের দাম বাড়লে বৈদেশিক ঋণ টাকার হিসাবে বেড়ে যায়।

এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার বাড়লে ঋণের অঙ্কও বাড়ে। কারণ, ঋণ পরিশোধের সময় প্রচলিত বিনিময় হার ও সুদহারে ঋণ পরিশোধের শর্ত থাকে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেশি থাকলে ঋণের ঝুঁকি আরও বেশি বাড়ে। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেশি। এ কারণে ঋণ পরিশোধের চাপও বেশি। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী রয়েছে।

একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়ছে। বর্তমানে নিট রিজার্ভ ১৮৪৮ কোটি ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে তা বেড়ে সর্বোচ্চ গ্রস রিজার্ভ ৪৬০৮ কোটি ডলারে উঠেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। ওই সময়ে ডলারের দাম ছিল ১০৩ টাকা। ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার। ওই সময়ে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। এতে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা।

আলোচ্য সময়ে ঋণ বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার। গত মার্চে তা আরও বেড়ে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭২ কোটি ডলারে। ফলে গত ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ঋণ বেড়েছে ৪২০ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বর থেকে বুধবার পর্যন্ত ডলারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১০ টাকা। এ হিসাবে ঋণ বেড়েছে ৪৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

গত বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের দাম বেড়ে ১১৮ টাকা হয়। এতে একদিনের ব্যবধানে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।

এদিকে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ঋণের সুদের হারও বেড়েছে। করোনার আগে লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেটে (লাইবর) ডলারে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার ছিল দেড় থেকে ২ শতাংশ। এর সঙ্গে আড়াই থেকে ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ নির্ধারিত হতো। এ হিসাবে সুদের হার পড়ত ৪ থেকে ৫ শতাংশ।

বর্তমানে লাইবর রেট বেড়ে ডলারে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সি রেট (সোফর) ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে উঠেছে। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করলে সুদের হার দাঁড়ায় ডলারে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ । তিন শতাংশ যোগ করলে সুদের হার আরও বেশি পড়ে। ফলে ঋণের সুদের হার বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে ঋণের স্তিতি বাড়ছে।

এছাড়া ঋণ পরিশোধ মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানোর ফলে বাড়তি সুদের পাশাপাশি দণ্ড সুদও দিতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে এর বিপরীতে দণ্ড সুদসহ চড়া সুদ দিতে হয়।

গত বছর স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদ পরিশোধ করা হয়েছিল ৯৩ কোটি ডলার। ডলারের দাম ১১০ টাকা হিসাবে ১০ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। চলতি বছরে পরিশোধ করতে হবে ১১৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৫০ কোটি ডলার ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। আরও ৬৩ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। সাময়িক হিসাবে ডলারের দাম ১১০ টাকা হিসাবে ৬৯৩০ কোটি টাকা। ১১৮ টাকা হিসাবে ৭৪৩৪ কোটি টাকা। বেশি পরিশোধ করতে হবে ৫০৪ কোটি টাকা।

করোনার সময় থেকে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। ফলে ঋণের অঙ্কও বেড়েছে। এর মধ্যে ঋণ পরিশোধ বাড়লেও ঋণের স্থিতি গত বছরের মার্চে কিছুটা কমলেও এখন আবার বেড়ে গেছে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ছিল ৭ হাজার ২২১ কোটি ডলার। গত মার্চে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯৮১ কোটি ডলার। বেড়েছে ৭৬০ কোটি ডলার। ডলারের দাম ১১০ টাকা হিসাবে ঋণের পরিমাণ ৮৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ১১৮ টাকা হিসাবে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৮৯ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ খাতে ঋণ বাড়ছে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা।

সরকারি খাতের বেশির ভাগ ঋণই দীর্ঘমেয়াদি। যে কারণে এগুলো দীর্ঘ সময় নিয়ে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। এতে ঝুঁকির মাত্রা কম। কিন্তু বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেশি। এগুলো ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। সুদহারও বেশি। যে কারণে এগুলোতে ঝুঁকি বেশি। এসব ঋণই বেশি স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বেশি মাত্রায় পরিশোধও হচ্ছে।

বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২৪৩১ কোটি ডলার। গত মার্চে তা কমে দাঁড়ায় ২০৯৫ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে ঋণ কমেছে ৩৩৬ কোটি ডলার। ডলারের দাম ১১০ টাকা হিসাবে ঋণ কমেছে ৩৬ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। ১১৮ টাকা হিসাবে কমেছে ৩৯ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ঋণ কমার মাত্রা বেড়েছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।

বেসরকারি খাতের ঋণের মধ্যে আমদানি খাতের ঋণই বেশি। এর মধ্যে ট্রেড ক্রেডিট ও বৈদেশিক এলসির দায় বাড়ছে। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

অন্যান্য খাতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঋণ ছিল ১১৪২ কোটি ডলার। গত মার্চে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭৮ কোটি ডলার। ঋণ বেড়েছে ৩৬ কোটি ডলার। ডলারের দাম ১১০ টাকা হিসাবে ঋণ বেড়েছে ৩৯৬০ কোটি টাকা। ১১৮ টাকা হিসাবে বেড়েছে ৪২৪৯ কোটি টাকা। টাকার অবমূল্যায়নজনিত কারণে ঋণ বেড়েছে ২৮৮ কোটি টাকা।

;

মহাপরিকল্পনায় জাইকার সহায়তা চান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা অনুসারে এলাকাভিত্তিক বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা করতে জাইকার সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন হচ্ছে, চাহিদার ধরণ ভিন্ন, যোগান প্রক্রিয়াও ভিন্নতর।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে জাইকার আভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. তাৎসুফুমি ইয়ামাগাতার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়িতে ফেজ-২ না হওয়ার এ জায়গায় বিকল্প কোন জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র করলে অধিক লাভজনক এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও সম্ভাব্য গ্রাহক কারা হবে তা বিবেচনার সময় এসেছে। সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করার কিছু প্রস্তাব এসেছে। এলএনজি টার্মিনাল করার বিষয়ে আলোচনা অনেক এগিয়েছে।

তিনি বলেন, অব্যাহত উন্নয়নের জন্য জ্বালানি চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দ্রুত ল্যান্ড বেজড এলএনজি টার্মিনাল করা প্রয়োজন।

জাইকার আভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে, যা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ভালো। চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড এবং মিডি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে।

উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও জাপান এক্সট্রানাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইয়ুমি মুরায়ামা বলেন, ঢাকার উজ্জ্বল্য দেখে আমি মোহিত। এ সময় শিল্পায়নের বৈচিত্রময়তা ও বিনিয়োগের পরিবেশ, জ্বালানি হাব, মিডি এলাকার কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৌশল ও মিডি এলাকায় শিল্পায়নের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, জাইকা সদর দফতরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক জন সাওতম, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহাইদ ইচিগুচি, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক ড. ফুমিহিকো সেটা ও মিডি নীতি উপদেষ্টা কোজি তাকামাতসু উপস্থিত ছিলেন।

;

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ মে) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান খেলার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক কর কাঠামো অপসারণ করা উচিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় চালু করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ প্রয়োজন। তিনি স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সভায় আসা সুপারিশ, অভিযোগ এবং দাবিগুলি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মনোনীত আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শোহেলার রহমান চৌধুরী বলেন, তারা দেশে শতভাগ ক্রয় ব্যবস্থাকে ই-জিপি পদ্ধতিতে আনতে চান।

তিনি বলেন, বিপিপিএ ক্রয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে ক্রমাগত সংশোধন করছে। প্রতিকার সহজতর করার জন্য বিদ্যমান তিন-পদক্ষেপের অভিযোগের সমাধানকে এক ধাপে নামিয়ে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম ‘গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্র্যাকটিস: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। "সিওআই সরকারী কর্মকর্তা এবং চুক্তি বা পরামর্শ শিল্পের মধ্যে সম্ভাব্য অনানুষ্ঠানিক বা অপ্রকাশিত সম্পর্কের থেকে উদ্ভূত হয়। সরকারী কর্মকর্তা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সংস্থায় একই ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন এমন উদাহরণ রয়েছে। তিনি বিপিপিএকে কোনো আইন বা নিয়ম প্রণয়নের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।

আইবিএফবির উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ আবদুল মজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদ ও সময়ের অপচয় কমাতে আর্থিক বছরে সংস্কার আনার সুপারিশ করেন। তিনি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কর কাঠামোর পরিবর্তে দেশি-বিদেশি কোম্পানির ওপর সমান কর আরোপের ওপর জোর দেন।

আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী সরকারকে পাবলিক আমদানিসহ সব পর্যায়ে অভিন্ন কর আরোপের আহ্বান জানান। তিনি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী কাজের পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) উপদেষ্টা প্রকৌশলী এসএম খোরশেদ আলম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ধারা বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিডের পরিমাণের পরিবর্তে ক্রয়ের সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।

এছাড়াও সেমিনারে ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্রান্সফরমার অ্যান্ড সুইচগিয়ারের (ম্যাটিএস) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল আলম প্রকল্পের পুরস্কার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় কোম্পানিগুলোর অসঙ্গতি দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।

;

সোনালীর সঙ্গে একীভূত হওয়ার চুক্তি করল বিডিবিএল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) সমঝোতা চুক্তি করেছে।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই চুক্তি সই হয়। এ সময় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির ফলে এখন ব্যাংক দুটির সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই নানা প্রক্রিয়া শেষে একীভূত হবে ব্যাংক দুটি।

বিডিবিএল সূত্র জানায়, মার্জারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায়। দুটো সরকারি ব্যাংক একমত হওয়ায় মার্জ (একীভূত) হবে। ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার পরে আজ চুক্তি হলো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্জার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের ফলে বিডিবিএলের কর্মীদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। ব্যাংকটি আরও সবল হবে; অডিট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামিমা নার্গিস বলেন, বিডিবিএলের চার সূচকের মধ্যে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা আছে, সময় পাওয়া গেলে এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যেত; তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে একীভূত হতে হচ্ছে।

;