আমে আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বড় বাজার!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, সরিষাখাসের ছড়াছড়ি! সকাল হতেই গাড়িভর্তি আমের ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যানের লম্বা লাইন। সাতক্ষীরার সকালের বাজারে আম আসায় এক চিমটি জায়গাও নেই সেখানে। আমে আমে সয়লাব! যেদিকে তাকানো যাবে, সেদিকেই আম আর আম! ভৌগোলিক অবস্থার কারণে আগেভাগে বাজারে আসে সাতক্ষীরার আম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সাতক্ষীরা বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা ডেনাইট কলেজ মোড় থেকে শুরু করে বড় বাজার পর্যন্ত বড় লম্বা লাইন। আমের গাড়ি ঢুকছে আর বের হচ্ছে। তবে যেন লাইন আর শেষ হচ্ছে না!

এদিকে, একে একে চলছে, আমের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষি। গোবিন্দভোগ ২ হাজার ৭শ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকা মণ, গোপালভোগ ২ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে অনেকেই বলছেন, আমের সাইজ এবং রঙ অনুযায়ী দামদর করা হচ্ছে। যে আমের সাইজ অনেক ভালো, তার দর বেশি হচ্ছে।

আমে আমে সয়লাব সাতক্ষীরার বড় বাজার, ছবি- বার্তা২৪.কম

এদিকে, আমের মৌসুমে সাতক্ষীরার সুমিষ্ট আম ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে কুরিয়ারে করে সবার ঘরে পৌঁছে দিতে আম নিয়ে কাজ করছেন অনেক যুব উদ্যোক্তা।

তাদের মধ্যে একজন অপূর্ব রায়। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা এই সময় আম নিয়ে কাজ করি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমের দামদর নিয়ে পোস্ট করি এবং মার্কেটিং করি। তারপর ক্রেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা আম তাদের ঘরে পৌঁছে দিই। আমরা শুধু মাধ্যম হয়ে কাজ করি, যার ফলে আমাদের কিছু লাভ থাকে। এই সময়টা সাতক্ষীরাসহ বাইরের অনেক উদ্যোক্তা এখানে অবস্থান করে অনলাইনে আমের ব্যবসা করেন।

আম কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার আম মানে ব্র্যান্ড! দেশের অন্য জায়গার আমের থেকে সাতক্ষীরার আম সুমিষ্ট এবং স্বাদে ভরপুর। আম খেলে যাচাই করা যায়, এটা সাতক্ষীরার আম! সাতক্ষীরার আম দেশ ছাড়িয়ে প্রতিবছর বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তাছাড়া এই আমের কদরও অনেক বেশি রাজধানী ঢাকাতে।

বাগান চাষি সাব্বির মোড়ল বলেন, আজকের আমের দামটা আগের দিনের তুলনায় বেশি। কোনদিন দাম বেশি হবে, কোনদিন কমবে, এটা আগেভাগে বলা যায় না। তবে এবছর আমের দাম অনেকটা বেশি আগের বছরের তুলনায়; যার ফলে এবছর আম বাগান থেকে পুষিয়ে নিতে পারবো।

সাতক্ষীরার বড় বাজারে এখন গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, সরিষাখাস আমের ছড়াছড়ি, ছবি- বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২শ ৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬শ ৫৮ হেক্টর, তালায় ৭শ ১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩শ ৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮শ ২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১শ ৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১শ ৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২শ ৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১শ চাষি রয়েছেন। সবমিলে ৪ হাজার ১শ ১৮ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালী আম সংগ্রহ করা হবে। মনে রাখতে হবে, গাছের সব আম একসঙ্গে পাকে না। সুতরাং আমের রং আসার আগে না-পাড়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

   

ঈদুল আজহার পশুর হাট

‘শোরুমের একদাম, ১১ মণ দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা’



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪, রুস্তম-এর দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা

ছবি: বার্তা২৪, রুস্তম-এর দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মেরাদিয়া পশুর হাটে প্রবেশ করতেই দেখা মিললো সাদা-লালের সংমিশ্রণে ডোরাকাটা মাঝারি দেহের ‘রুস্তম’।

‘বড় গরু না হলে মালিকের শোরুমের একদাম ১১ মণ দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা’র হাঁকডাকে ক্রেতাদের ভিড় এখানে।

‘রুস্তম’ রোজ সকালে নিয়ম করে সাইলেজ, দুপুরে নেপিয়ার ঘাস, বিকেলে খেজুর, রাতে কলা খায়। রুস্তমের আরেকটি বড় সৌখিন স্বভাব রয়েছে। তিন বেলা সে ঘুমায়। ঘুম ভাঙলে তাকে দিতে হয়, গমের ভাঙানো ভূষি দিয়ে কুসুম-গরম পানি।

মেরাদিয়া হাটের এই রুস্তম এসেছে নাটোর জেলা থেকে। কৃষক কালাম মিয়া তিনবছর লালন-পালন করে রুস্তমকে নিয়ে এসেছেন এবারের পশু কোরবানির হাটে।

কালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রস জাতের গরুটির বয়স তিন বছর। লালন-পালনের পর গরুটির ওজন এখন ১১ মণ। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার দিয়েছি। হাটে আনার আগে ওজন মেশিনে পরিমাপ করে দেখেছি, এর ওজন প্রায় ৪শ ৫০ কেজি।

রুস্তমের খাবারের সৌখিন স্বভাব নিয়ে কালাম মিয়া বলেন, রুস্তমকে সকালে দানাদার খাবার সাইলেজ দিতে হয় ২ কেজি ও দুপুরে নেপিয়ার কাঁচাঘাস, বিকেলে নিয়ম করে দুটো খেজুর খাওয়াতে হয়। সেইসঙ্গে রোজ রুস্তমকে গমের ভূষি, খেসারি, জব, ধানের কুড়া খাওয়ানো হয়। দেখতে গম্ভীর হলেও স্বভাবে বেশ শান্ত রুস্তম।

মেরাদিয়ার গরুর হাট, ছবি- বার্তা২৪.কম

রুস্তমকে একদামে কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কালাম মিয়া বলেন, রুস্তম আমার অনেক শখের গরু আর বড় করার ইচ্ছেও ছিল। হঠাৎ করে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় টাকার প্রয়োজনে রুস্তমকে বিক্রি করতে হচ্ছে। শখের গরুকে কেউ যাতে দামাদামি করে ছোট করতে না পারে, সে কারণে শোরুমের মতো একদাম বলে দিয়েছি।

মেরাদিয়া হাটে মহাখালী থেকে আসা ক্রেতা নূর উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, গরুটি পছন্দ হয়েছে। দাম একটু বেশি। একদামে কী আর গরু বিক্রি হয়! তাই আরেকটু দেখবো।

এদিকে, হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাটে সব ধরনের পশুর সরবরাহ বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে হাটে নিয়ে এসেছেন। এখনো ঈদের ছুটি হয়নি; তাই হাটগুলোতে এখনো বেচাবিক্রি তেমন একটা শুরু হয়নি। ব্যবসায়ীদের আশা, শুক্রবার থেকে হাটে বেচাবিক্রি বাড়বে।

;

‘প্রস্তাবিত বাজেটে ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘প্রস্তাবিত বাজেটে ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে’

‘প্রস্তাবিত বাজেটে ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে’

  • Font increase
  • Font Decrease

ভবিষ্যতের যানবাহন হচ্ছে ইলেক্ট্রিক যানবাহন (ইভি)। প্রস্তাবিত বাজেটে (২০২৪-২৫) ইভির ক্ষেত্রে কোন সহায়তা দেখিনি। বিনিয়োগের শর্তে যদি ডিউটি সুবিধা দেওয়া যায় তাহলে বিকাশ সম্ভব, না হলে এই খাতের বিকাশ কঠিন।

বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এসেম্বলার্স এন্ড ম্যানুফ্যাকক্সারার্স এসোসিয়েশন (বামা) নেতৃবৃন্দ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এসেম্বলার্স এন্ড ম্যানুফ্যাকক্সারার্স এসোসিয়েশন (বামা) প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে সরকার ভালোভাবে বাজেট দিয়েছে, আমরা মনে করেছিলাম সব জায়গায় ডিউটি আরোপ হবে তেমনটি হয়নি। তবে বাজেটে অনেক আশা ছিল, কিছু সাপোর্ট পাবো, কিছু সাপোর্ট পেয়েছি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে অন্য ক্ষেত্রে সেভাবে পাওয়া যায়নি। ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। চীন পনের বছর ধরে সহায়তা দিয়েছে, ভারত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশেও সহায়তা প্রয়োজন, না হলে এই খাতটি বিকশিত হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খরচ হয়েছিল ২ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা, আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। সরকার যদি বহুচাকার ট্রাকে ছাড় দেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। সারাবিশ্বে বহুচাকার ট্রাকের উপর ছাড় দেওয়া হয়। রোড, ব্রীজ ও ফেরীর টোল কমিয়ে আনা উচিত। তাহলে বড়গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেলে সড়কের ক্ষতি কমে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে খুবই বিব্রত, সরকারও বিব্রত। আমরা যে চ্যাসিস দেই, সবাই বডি বানায়। আমার মনে হয় বডি বানানোর ক্ষেত্রে নীতিমালা থাকা উচিত। সরকার অনুমোদিত ছাড়া কেউ বডি বানাতে পারবে না, সরকারের রেগুলেশন করা দরকার। টায়ারের ডিউটি বেশি অনেকে টায়ার নির্ধারিত সময়ে বদলাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনার হার বাড়ছে। চাকার ডিউটি শূন্য না হলেও অর্ধেকে নামিয়ে আনা উচিত।

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, অতীতে যে প্রোনোদনা দিয়েছে, তার ভিত্তিতে টু হুইলার শিল্পে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ইভির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও সহায়তা দেওয়া জরুরি।

ইজিবাইক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর রহমান খান বলেন, টেকনিক্যাল বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত আসবে। এটাকে কিছুটা আধুনিকায়ন করে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

আকিজ মটরস এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ আমিন উদ্দিন বলেন, সবার আগে হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্য। আজকে ঢাকার অবস্থা কি, আমাদের গর্ভবতী মায়েদের কি অবস্থা এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিতে হবে। ইভি পরিবেশ বান্ধব যানবাহন সারাবিশ্বে এর ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশে সহায়তা দেওয়া না হলে পিছিয়ে পড়বে এই খাত। আমরা চাই কমপ্লিট ইভি নীতিমালা।

বিভাটেক এন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান পরাগ, ইফাদ গ্রুপের পরিচালক আবির বকশীসহ অনেক উদ্যোক্তা এতে অংশ নেন। তারা সরকারের কাছে বাজেট রিভিউ করার দাবি জানান।

;

‘শিক্ষায় অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বরাদ্দে অবহেলা’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ঐতিহাসিকভাবে প্রতিশ্রুতি থাকলেও জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো বছরই তা অনুসরণ করা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, শিক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ সামান্য করে বাড়লেও প্রতি বছর শিক্ষার্থী বাড়ছে ব্যাপক হারে। এর ফলে সরকারের শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ কমে আসছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের আয়োজনে বাজেট বিষয়ক এক ডায়ালগে বুধবার (১২ জুন) তিনি এ সব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের অপ্রতুলতা তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

‘১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ট বিনিয়োগ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বাজেটে এর প্রতিফলন নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন নিয়ে কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলি। কিন্তু স্বপ্নের বাস্তবায়নটা কোথায়?’ প্রশ্ন রাখেন রাশেদা কে চৌধুরী।

তিনি বলেন, এখনও শিক্ষা খাতে সরকারের ব্যয়কে বরাদ্দ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অথচ, এত বছর আগেও এটাকে বিনিয়োগ হিসেবে চিহ্নিত করে গেছেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষায় প্রাধান্যের কথা বলা হলেও বরাদ্দের ক্ষেত্রে অবহেলা করা হয়ে থাকে। এই বরাদ্দের পুরোটা আবার ব্যয় না করে ফেরত দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সংশোধনের সময় অন্যান্য খাতে ছুরি দিয়ে কাঁটা হলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বরাদ্দ কাঁটা হয়েছে কোদাল দিয়ে।

শিক্ষা খাতের ১২ হাজার কোটি টাকা ও স্বাস্থ্য খাতে চার হাজার কোটি টাকা এডিপি বরাদ্দ কমিয়ে আনায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বাজেট কাঁটছাটে শিক্ষায় কেন আঘাত সবার আগে আসে? বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই কেনো?

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল লার্নিং, ডিসটেন্স লার্নিং এর কথা বলা হলেও মোবাইলের ভয়েজ কল, ডাটা ডিও ভাইসে কর বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইসিটির কথা বলা হয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণের কথা বলা, ডিজিটাল ল্যাবের কথা বলা হয়, বাস্তবতা হচ্ছে, এ সব অবকাঠামোর বেশিরভাগই অকেজো।

;

বিকাশ-এ সম্মানী পাবেন ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারির কর্মীরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-এর ‘অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৩’ প্রকল্পে নিয়োজিত ১ লাখ ২৫ হাজার তালিকাকারী, গণনাকারী এবং সুপারভাইজারদের সম্মানী দেয়া হবে বিকাশ-এ। অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশ-এর সম্মিলিত উদ্যোগে সম্মানীবাবদ প্রকল্পের ৪০০ কোটি টাকা শুমারিকর্মীদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফজলুল করিম এবং বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ। এ সময় অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিনা আখতার, কাজী আব্দুর রহমান, মো. আবুল বাশার এবং বিকাশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, গভার্নমেন্ট পার্টনারশিপ মেহমুদ আশিক ইকবাল সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

বিকাশ-এর মাধ্যমে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শুমারিকর্মীরা সহজেই ও নিরাপদে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সম্মানীর অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন এবং তা দিয়ে মোবাইল রিচার্জ, সেন্ড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ও সঞ্চয় স্কিম সহ বিকাশ-এর বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, নিকটস্থ যেকোনো বিকাশ এজেন্ট থেকে তাদের সম্মানী বিনা খরচে ক্যাশ-আউটও করতে পারবেন তারা। এর মাধ্যমে, অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৩ প্রকল্পের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে।

চুক্তির বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আব্দুর রহমান বলেন, “দেশের সরকারি যেকোনো ব্যাংকিং লেনদেনে অগ্রণী ব্যাংক একটি আস্থার নাম, আর মোবাইল আর্থিক সেবায় বিকাশ। সব কমপ্লায়েন্স মেনে দেশজুড়ে সব শুমারিকর্মীদের সম্মানী মুহূর্তেই তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই পার্টনারশিপ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্মানী-ভাতা দেয়ার ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে, যা দৈনন্দিন লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দিবে।”

শুমারিকর্মীদের সম্মানী ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিতরণের বিষয়ে বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে কার্যকর করতে দেশজুড়ে সবার জন্য সহজ, নিরাপদ ও সময় সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। এমনি একটি কাজের উদ্যোগ নেয়ায় এবং আমাদেরকে এর অংশীদার হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়ায় অগ্রণী ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই।”

উল্লেখ্য, অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন নির্ধারণ করতে চলতি বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যন ব্যুরো চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু করতে যাচ্ছে। এই শুমারির মাধ্যমে দেশের ছোট-বড়-মাঝারি আকারের কলকারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ, আয়-ব্যয়, শ্রমিকের সংখ্যাসহ নানা তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে। অর্থনৈতিক শুমারির মূল উদ্দেশ্য জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক গাইডলাইন সিস্টেম অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস (এসএনএ), ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাসিফিকেশন (আইএসআইসি) এবং জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ অনুযায়ী দেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকানা, কাঠামো, লিগ্যাল স্ট্যাটাস, কর্মকাণ্ডের ধরন, উৎপাদিত পণ্য বা সেবার ধরন, কর্মসংস্থান, স্থায়ী সম্পদের মূল্য ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা।

;